মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

সিগনালে নামতেই গুলি লুটিয়ে পড়েন সিনহা

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী তিন এপিবিএন সদস্য রিমান্ডে

কক্সবাজার ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৩ আগস্ট, ২০২০, ১২:০১ এএম

টেকনাফ বাহারছড়া শামলাপুর চেকপোস্টে মেজর (অব) সিনহা পুলিশের সিঙ্গনাল অমান্য করেনি। লিয়াকত আলী ও এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিত সেখানে পৌঁছে গাড়িটি থামায়। ড্রাইভিং সিট থেকে মেজর (অব) সিনহা নিজেই গাড়ি থেকে নেমে আসেন। এরপর দেড় দুই মিনিটের মধ্যেই লিয়াকতের গুলিতে লুটিয়ে পরেন মেজর (অব.) সিনহা মোঃ রাশেদ খান। এর পরে সেখানে আসেন টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ। শুক্রবার ঘটনাস্থলে রেকিতে র‌্যাবের কাছে এমন চিত্র তুলে ধরেন প্রদীপ কুমার দাশ, কনস্টেবল লিয়াকত আলী ও এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিত। এর পরের দিন গতকাল শনিবার সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার প্রত্যক্ষদর্শী ৩ এপিবিএন সদস্যকে রিমান্ডে নিয়েছে মামলার তদন্ত সংস্থা র‌্যাব। তারা ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফ বাহারছড়া শামলাপুর মেরিন ড্রাইভ এপিবিএন চেক পয়েন্টে দায়িত্বরত ছিলেন। তারা পুলিশের গুলিতে নিহত সিনহা হত্যার ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী।

৩১ জুলাই টেকনাফের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান নিহত হওয়ার সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) এর ৩ সদস্যকে সকালে ৭ দিনের রিমান্ডে নিয়ে গেছে মামলার তদন্ত সংস্থা র‌্যাব।
তারা হলেন এপিবিএনের সাব ইন্সপেক্টর মো. শাহজাহান, কনস্টেবল মো. রাজিব ও কনস্টেবল মো. আবদুল্লাহ। শনিবার (২২ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে র‌্যাবের একটি দল কক্সবাজার জেলা কারাগারে পৌঁছেন।

এরপর পৌনে ১২টার দিকে কারান্তরীণ এই তিন আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র‌্যাব-১৫ এর কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কারাগারের সুপার মোকাম্মেল হোসেন। গত ১৮ আগস্ট এপিবিএনের এই তিন সদস্যের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক তামান্না ফারাহ্। তারা এখন সিনহা হত্যায় দায়েরকৃত জিআর ৭০৩/২০২০ (টেকনাফ) মামলার আসামি।
৩১ জুলাই রাতে টেকনাফ বাহারছরা শামলাপুর মেরিন ড্রাইভ সড়কে ১৬ এপিবিএন এর চেক পয়েন্টে মেজর সিনহার গাড়িটি পৌঁছালে দায়িত্বরত ইপিবির সদস্যরা গাড়িটি চলে যাওয়ার সিঙ্গেল দিয়েছিলেন। কিন্তু সাথে সাথে কনস্টেবল লিয়াকত আলী ও এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিত সেখানে পৌঁছে গাড়িটি থামায়। এর পর এক দুই মিনিটের মধ্যেই লিয়াকতের গুলিতে লুটিয়ে পরেন মেজর (অব.) সিনহা মোঃ রাশেদ খান। এর পরে সেখানে আসেন টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ।

প্রাপ্ত তথ্য উপাত্তে জানা গেছে, মেরিন ড্রাইভের এপিবিএন চেকপোস্টের আরো আগে টেকনাফ থেকে মেজর সিনহার গাড়িটি আসার সময় বিজিবি চেকপয়েন্টে নিজেই গাড়ি থামিয়ে পরিচয় দিয়ে বিজিবি সদস্যের সাথে তিনি কুশল বিনিময় করেছেন। তার ৩২ মিনিট পরে সিনহা এপিবিএন চেকপোস্টে পৌঁছান। সেখান থেকে পুলিশের সিঙ্গনাল অমান্য করে গাড়ি চালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি অবান্তর বলেই বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত উঠে আসছে।

র‌্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, ঘটনার সময় চেকপোস্টে দায়িত্বপালন করা এপিবিএন এর তিন সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদে মনে হয়েছে হত্যাকাÐে তারা সম্পৃক্ত। সব পর্যালোচনা করে তাদের গ্রেফতারের পর রিমান্ড চাওয়া হয়। আদালত তাদের ৭দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে। জিজ্ঞাসাবাদে আরো তথ্য বের হয়ে আসবে বলে র‌্যাবের প্রত্যাশা।

এর আগে এ হত্যা মামলায় উপ-পরিদর্শক (এসআই) লিটন, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন ও আবদুল্লাহ আল মামুন এবং সিনহা হত্যা মামলায় পুলিশের করা মামলার তিন সাক্ষী টেকনাফের বাহারছড়ার মারিশবনিয়ার নুরুল আমিন, নিজাম উদ্দীন ও মোহাম্মদ আইয়াছের ৭দিন করে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এদিকে রিমান্ডে থাকা সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলী, এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিতকে শুক্রবার রেকি করতে ঘটনাস্থলে নেওয়া হয়েছিল। এসময় হত্যার ঘটনার রেকি (লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ, আক্রমণপূর্ব পর্যবেক্ষণ, আক্রমণের কলাকৌশল) এবং ঘটনাস্থল পর্যবেক্ষণ করেন র‌্যাবের কর্মকর্তারা। ##

 

 

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (9)
মৌমিতা নূর জান্নাত ২৩ আগস্ট, ২০২০, ২:০৮ এএম says : 0
এ কেমন বর্বরতা! আফসোস লাগে,একজন সৎ মানুষকে হত্যা করলো নির্মমভাবে,আল্লাহই অপরাধীদের উচিত বিচার করবেন,দেশের আদালতে বিচার না হলেই বা কি! একদিন সবাই তার কৃত কর্মের শাস্তি পাবে!!
Total Reply(0)
Farhad Aziz Kiron ২৩ আগস্ট, ২০২০, ২:০৮ এএম says : 0
এত কিছু ওপেন জানার পর ও আর কত সময় খেপন করা হবে।বুঝতে পারছি না। যদি ভারতএর মানা থাকে তাহলে বিচার এর কি দরকার। খালাস করে দিলে হয়।
Total Reply(0)
Shahdot Hossin ২৩ আগস্ট, ২০২০, ২:০৯ এএম says : 0
এসপি মাসুদ কোথায়?
Total Reply(0)
তাসফিয়া আসিফা ২৩ আগস্ট, ২০২০, ২:১১ এএম says : 0
কি পাশাবিক ভাবে হত্যা করা হয়েছে। খুনী;দের একই ভাবে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হোক।
Total Reply(0)
হিমেল ২৩ আগস্ট, ২০২০, ২:১৩ এএম says : 0
প্রদীপ গংদের এই নির্মম হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার জন্য কঠোর শাস্তি দিতে হবে।
Total Reply(0)
আহমেদ করিম ২৩ আগস্ট, ২০২০, ৬:০০ এএম says : 0
ওসি প্রদীপ,এস আই লিয়াকত,নন্দন কে অবিলম্বে ফাঁসি কার্যকর করা হোক।অদুর ভবিষ্যতে আর যেন বিচার বহির্ভূত হত্যা কান্ড না হয় অবিলম্বে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সংসদে একটি আইন পাস করা হোক।
Total Reply(0)
Md Rejaul Karim ২৩ আগস্ট, ২০২০, ৭:০৭ এএম says : 0
মাননীয় সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল কর্তাবাবুরা আর কত প্রমাণ নিবেন??? এর চেয়ে প্রত্যক্ষ প্রমাণ কি থাকতে পারে??? এত কিছু প্রমাণ থাকার পর ও কি ক্রসফায়ার প্রযোজ্য হয় নি?? তাহলে কি প্রমানের ভিত্তিতে দেড় মিনিটে মেজর সিনহা কে ক্রসফায়ার দিলেন!!! এদের বাচিয়ে রেখে এদের জন্য পাচ পয়সা খরচ করা রাষ্ট্রের অপচয় নয় কি??? বাংলাদেশের মানুষের কাছে দায় মুক্ত হলে ক্রসফায়ার একেবারেই ফরজ।।।।
Total Reply(0)
মোঃ এনামুল হক ২৩ আগস্ট, ২০২০, ৭:৫৩ এএম says : 0
আমরা দেশবাসীর দাবী দ্রুত বিচার ট্রাইবভোলানে অপরাধীদের দৃষ্টান্ত মূলকশাস্তি দেওয়া হউক।
Total Reply(0)
habib ২৩ আগস্ট, ২০২০, ৯:৩০ এএম says : 0
eder hate bangladesh nirapod nai....era sobai indian raw er agent........
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন