শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের চেষ্টা করছে ন্যাটো : বেলারুশের প্রেসিডেন্ট

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৩ আগস্ট, ২০২০, ৩:৫১ পিএম

ন্যাটো শক্তি বেলারুশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে বলে দেশটির প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্দার লুকাশেঙ্কোর এমন অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশন (ন্যাটো)।
বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো অভিযোগ করেছেন, তার দেশের সীমান্তে সেনা মোতায়েনের চেষ্টা করছে ন্যাটো। কিন্তু ন্যাটোর পক্ষ থেকে এমন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলা হয়েছে, আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোর দাবি ভিত্তিহীন।
গত ৯ আগস্টের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বেলারুশে বিক্ষোভ চলছেই। প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কোর পদত্যাগ দাবি করে গতকাল শনিবারও রাজধানী মিনস্কে জড়ো হয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।
গত ২৬ বছর ধরে বেলারুশ শাসন করা এই নেতা দাবি করেন, ন্যাটো ব্লক বেলারুশকে বিভক্ত করে মিনস্কে নতুন প্রেসিডেন্টের হাতে তুলে দেয়ার চেষ্টা করছে। পোল্যান্ড এবং লিথুয়ানিয়ায় সেনারা প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ কারণে বেলারুশের সশস্ত্র বাহিনীকে দেশের পশ্চিম সীমান্তে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তারা আমাদের দেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে এবং সরকারকে পরাজিত করার চেষ্টা করছে।
তিনি জানান, শীর্ষ সেনাকর্মকর্তাদের দেশের আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষার জন্য কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ন্যাটো এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, বেলারুশ বা অন্য কোনও দেশের জন্য কোনও হুমকি নয় তারা। এই অঞ্চলে কোনও সামরিক অবস্থানও নেই। তাদের দৃষ্টিভঙ্গি কঠোরভাবে রক্ষণাত্মক।
এদিকে লিথুয়ানিয়ার প্রেসিডেন্ট গীতানাস নওসেদা এএফপিকে জানান, বেলারুশ সরকার কল্পিত ও বাহ্যিক হুমকি সম্পর্কে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বক্তব্য দিয়ে বেলারুশের অভ্যন্তরীণ সমস্যা থেকে মনোযোগ সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে।
পোল্যান্ডের এক কর্মকর্তা বলেন, বেলারুশিয়ানরা সীমান্ত পরিস্থিতির কথা বলে ‘প্রোপাগান্ডা’র পরিকল্পনা করছে। যা ‘দুঃখজনক ও অবাক বিষয়’। এতে পোল্যান্ডের কোন উদ্দেশ্য নেই। তবে ন্যাটো বেলারুশকে তার নাগরিকদের মৌলিক মানবাধিকারের প্রতি সম্মান দেখানোর আহ্বান জানিয়েছে।
ন্যাটো জানিয়েছে, তারা বেলারুশের পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে, কিন্তু তারা পূর্ব ইউরোপে নতুন করে সামরিক উপস্থিতি বাড়ায়নি। ন্যাটোর মুখপাত্র জানিয়েছেন, পূর্ব ইউরোপে জোটের যে বহুজাতিক উপস্থিতি আছে, তা কাউকে বিপদে ফেলার বা ভয় দেখানোর জন্য নয়। ওটা আত্মরক্ষার জন্য এবং কেউ যাতে শান্তি ভঙ্গ করতে না পারে এবং কোনো বিরোধ যাতে না হয় তার জন্য।
প্রায় আটদিন হয়ে গেল বেলারুশ বিক্ষোভে উত্তাল। লুকাশেঙ্কো জয়ের দাবি করার পর থেকেই তাঁর বিরোধীরা রাস্তায় নেমেছেন। দুই জন প্রতিবাদকারী মারা গেছেন। কয়েক হাজার প্রতিবাদকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দশ দিন আটক করে রাখার পর বেলারুশে ডিডাব্লিউ-র সাংবাদিককে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন