শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে রফতানি বৃদ্ধি করতে হবে

চা শিল্পের উন্নয়ন সংক্রান্ত সভায় বাণিজ্যমন্ত্রী

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৩ আগস্ট, ২০২০, ৪:৫৭ পিএম

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, দেশে চা’র চাহিদা বাড়ছে। বিদেশেও বাংলাদেশে উৎপাদিত চা’র চাহিদা রয়েছে। অভ্যন্তরিন চাহিদা মিটিয়ে চা রপ্তানি বৃদ্ধি করতে হবে। এক সময় চা বাংলাদেশের অন্যতম রপ্তানি পণ্য ছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, পাকিস্তাত, মধ্যপ্রচ্যের রিভিন্ন দেশসহ পৃথিবীর অনেক দেশে বাংলাদেশে উৎপাদিত চা’র প্রচুর চাহিদা রয়েছে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, চা’র উৎপাদন বৃদ্ধি এবং নতুন জাত উদ্ভাবনে গবেষণা বাড়াতে হবে এবং উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে, একই সঙ্গে চা বাগানের সংখ্যাও বাড়াতে হবে। এজন্য চা বাগানের মালিকদের এগিয়ে আসতে হবে। সরকার দেশের চা শিল্পের উন্নয়নে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। দেশে চা বাগানের সংখ্যা বৃদ্ধি করার সুযোগ রয়েছে, এ সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে। চা শিল্পের উন্নয়নে সরকার ‘উন্নয়নের পথনকশা’ গ্রহণ করেছে এবং তা বাস্তবায়ন চলছে। চায়ের ক্রমবর্ধমান অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণ, রপ্তানি বৃদ্ধি বিষয়টি সামনে রেখে আগামী ২০২৫ সালে দেশে ১৪০ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী রোববার (২৩ আগষ্ট) ঢাকায় সরকারী বাসভবনের অফিস কক্ষে বাংলাদেশের চা শিল্পের উন্নয়ন সংক্রান্ত সভায় সভাপতিত্ব করে এসব কথা বলেন। বৈঠকে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ উপস্থিত ছিলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী টি বোর্ডের ‘উন্নয়নের পথনকশা’ বাস্তবায়নে চা বাগান মালিকদের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করে বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫৭ সালের ৪ জুন থেকে ১৯৫৮ সালের ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত প্রথম বাংগালী চা বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন। দেশের চা শিল্পের উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু ব্যাপক কার্যক্রম হাতে নিয়েছিলেন। চা শিল্পের উন্নয়নে বাংলাদেশ চা বোর্ড এবং চা বাগানের মালিকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। দিন দিন চা’র অভ্যন্তরিন চাহিদা বাড়ছে। সে কারনে প্রত্যাশিত রপ্তানি বাড়ছে না। চা’র উৎপাদন বাড়িয়ে রপ্তানি বৃদ্ধি করতে হবে।

বাংলাদেশ টি এ্যাসোসিয়েশন এর উন্নয়নের বিষয়ে বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন এবং সরকারের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন। বাণিজ্যমন্ত্রী এ বিষয়ে আন্তরিকার সাথে সবধরনের সহযোতিা করার আশ্বাস দেন।

উল্লেখ্য, দেশে ২ লাখ ৭৮ হাজার ১৪১ হাজার ৬৯একর জমিতে ১৬৭টি চা বাগানে ২০১৯ সালে ৯৬ দশমিক ০৭মিলিয়ন কেজি চা উৎপাতি হয়েছে। এ সময় অভ্যন্তরীণ চায়ের চাহিদা ছিল ৯৫ দশমিক ২০ মিলিয়ন কেজি।

সভায় বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন, বাংলাদেশ টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. জহিরুল ইসলামএনডিসি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রফতানি) মো. ওবায়দুল আজম, বাংলাদেশ টি এ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট এম শাহ আলম, সদস্য আরদাশির কবীর, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (রফতানি) জিনাত আরা উপস্থিত ছিলেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন