শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

অতিদারিদ্র্যে নেমে যাবে ১০ কোটি মানুষ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৪ আগস্ট, ২০২০, ১২:০১ এএম

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত গোটা বিশ্ব। এই ভাইরাসের তান্ডবে ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত হয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ও ক্ষমতাধর আমেরিকাসহ ব্রিটেন, ব্রাজিল, স্পেন, ইতালি, ফ্রান্স ও মেক্সিকোর মতো দেশ। মহামারী রূপ নিয়ে বিশ্বব্যাপী কমপক্ষে ২১৩টি দেশ ও অঞ্চলে একযোগে তান্ডব চালাচ্ছে এই ভাইরাস। এই মহামারীর কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে, এর প্রভাবে প্রায় ১০ কোটি মানুষ ভয়াবহ দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছে বিশ্ব ব্যাংক। সম্প্রতি এ বিষয়ে সতর্ক করে বিশ্ব ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপ্যাস জানিয়েছেন, গরিব দেশগুলোকে ঋণের বোঝা থেকে স্বস্তি না দিতে পারলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। এই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছেন তারা। মহামারীর কারণে বিশ্বজুড়ে লকডাউন শুরু হওয়ার পর প্রাথমিক হিসাবে বিশ্ব ব্যাংক জানিয়েছিল, উৎপাদন ও পরিষেবা ক্ষেত্রেগুলোতে কাজ বন্ধ হয়ে পড়ায় দীর্ঘ লড়াইয়ে দারিদ্র্যসীমা পেরিয়ে আসা ৬ কোটি মানুষ ফের সেই দারিদ্র্যের অন্ধকারে ফিরে যাবে। মহামারীর প্রভাব আগের হিসাবের চেয়ে দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে স্বীকার করে নিয়ে রাষ্ট্রগুলোকে ঋণদানের সর্ববৃহৎ আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিশ্ব ব্যাংক। সংস্থাটির প্রেসিডেন্ট নতুন যে হিসাব দিচ্ছেন, তাতে আগের ৬ কোটির সংখ্যাটি বেড়ে ৭ থেকে ১০ কোটিতে দাঁড়াতে চলেছে। সংস্থাটির প্রধান ম্যালপ্যাস জানান, স্বাভাবিকভাবে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতিতে আছে বিশ্বের গরীব দেশগুলো। ঋণ ফেরত দেওয়ার বিষয়টি যাতে তাদের কাছে বোঝা হয়ে না দাঁড়ায়, সেজন্য অসুবিধায় পড়া দেশগুলোর সঙ্গে নতুন করে আলোচনা দরকার। জি২০ সংগঠনের সদস্য উন্নত দেশগুলো গরীব দেশগুলোর ঋণ ফেরত আপাতত স্থগিতের কথা ঘোষণা করেছে। কিন্তু বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট মনে করেন, পরিস্থিতি এখন যে জায়গায়, তাতে এতেই সমস্যা মিটবে না। গরিব দেশগুলো যাতে তাদের নাগরিকদের জীবনধারণের মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ করে সামাজিক সুরক্ষা দিতে পারে, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। এই উদ্দেশ্যে আগামী বছরের জুন থেকে বিশ্ব ব্যাংক ১০০টি সবচেয়ে গরিব দেশের জন্য ১৬ হাজার কোটি ডলার বরাদ্দের প্রকল্প নিয়েছে। তবে মহামারীর ফলে জনজীবন যত বেশি দিন স্তব্ধ থাকবে, দারিদ্রসীমার নীচে নেমে যাওয়া মানুষের সংখ্যাটাও তত বাড়বে বলে জানিয়েছেন বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট। কিন্তু তারপরও বিশ্ব ব্যাংকের চিফ ইকনমিস্ট কারমেন রেনহার্টের সুরে পরিস্থিতিকে এখনই তিনি ‘মহামারিজনিত মন্দা’ বলতে রাজি নন। ম্যালপ্যাস বলেন, “পরিস্থিতিকে মন্দার সূচনা বলা যেতে পারে বড় জোর।” ওয়াশিংটন পোস্ট, ম্যানিলা স্ট্যান্ডার্ড।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন