বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

প্রার্থী হতে মুখিয়ে আছেন নেতারা

ফারুক হোসাইন | প্রকাশের সময় : ২৪ আগস্ট, ২০২০, ১২:০২ এএম

আন্দোলন-সংগ্রাম কিংবা রাজপথের কর্মসূচিতে আগ্রহ না থাকলেও নির্বাচনের বিষয়ে বিপরীত অবস্থানে বিএনপির প্রার্থীরা। হোক সেটি জাতীয় সংসদ, স্থানীয় সরকার কিংবা কোন সমিতির ভোট। নির্বাচন এলেই প্রার্থীর অভাব হয়না রাজপথের প্রধান এই বিরোধীদলে। সাম্প্রতিক সময়ে অনুষ্ঠিত যেসব উপনির্বাচনে বিএনপি অংশ নিয়েছে তার একেকটি আসনে ৩ থেকে ৫জন পর্যন্ত দলীয় মনোনয়ন কিনেছিলেন নেতারা। নতুন করে আরও পাঁচটি আসন শূণ্য রয়েছে। এর মধ্যে তিনটিতে ভোটের তারিখ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বিএনপি দলীয়ভাবে এখনো এসব নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত না নিলেও প্রার্থী হতে মুখিয়ে আছেন নেতারা। একেকটি আসনে দলীয় মনোনয়ন নিশ্চিত করতে কোথাও ৪-৫, কোথাও আবার তারও বেশি নেতা লবিং-তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রার্থী হওয়ার জন্য নিজ দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের চরিত্র হননেও ছাড়ছেন না তাদের কেউ কেউ।
জানা যায়, একাদশ জাতীয় সংসদেই ৩০০ আসনে প্রার্থী হওয়ার জন্য দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছিলেন সাড়ে ৪ হাজারের বেশি প্রার্থী। কিন্তু নির্বাচনের পর তাদের বেশিরভাগকেই এলাকায় খুঁজে পাননি স্থানীয়রা। কিন্তু এসব আসনের ও মধ্যেই কয়েকটিতে উপনির্বাচন হবে। বিগত নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছিলেন এবং প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন তারা নির্বাচনের পর নিষ্ক্রিয় হয়ে গেলেও আসন শূণ্য হওয়ার পর থেকেই ফের সক্রিয় হয়ে গেছেন। ঘন ঘন এলাকায় যাচ্ছেন, খোঁজ খবর নিচ্ছেন স্থানীয় নেতাকর্মীদের। দলের হাইকমান্ডের কাছে তুলে ধরছেন নিজেকে প্রার্থী করার প্রয়োজনীয়তা।

যদিও বিএনপির পক্ষ থেকে এখনো উপনির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, আমাদের সিদ্ধান্ত ছিল নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণার পর আমরা আলোচনা করে নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবো। আজকে (গতকাল) তিনটি আসনের নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। এখন দলের ফোরামে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো কিনা, করলে কিভাবে সেই বিষয়ে। সিদ্ধান্ত নিলে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে।

জানা যায়, ঢাকা-৫ আসনে প্রার্থী হতে চান বিএনপির বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক সালাহউদ্দিন আহম্মেদ কিংবা তার ছেলে তানভীর আহম্মেদ রবিন, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক সেলিম ভূইয়া, মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার, সহ-সভাপতি নবীউল্লাহ নবী।

ঢাকা-১৮ আসনে বিএনপি নেতা বাহাউদ্দিন সাদী, উত্তর বিএনপির সহ-সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম কফিল উদ্দিন আহম্মেদ, যুবদল মহানগর উত্তরের সভাপতি এসএম জাহাঙ্গীর আলম। একইভাবে নওগাঁ-৬, পাবনা-৪ ও সিরাজগঞ্জ-১ আসনেও একাধিক নেতা বিএনপির প্রার্থী হওয়ার জন্য মুখিয়ে আছেন। দল নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত দিলেই মনোনয়ন কিনতে নেতারা ঝাঁপিয়ে পড়বেন বলে মনে করেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান বলেন, দেশে এখন করোনা ও বন্যার ভয়াবহতা চলছে। এমন অবস্থায় আমরা কয়েকটি উপনির্বাচনে অংশগ্রহণ করিনি। এখন দলের স্থায়ী কমিটির নেতারা সিদ্ধান্ত নিবেন দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কিনা। সিদ্ধান্ত নিলেই আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন