বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

নারায়ণগঞ্জে মৃত্যুর দেড়মাস পর জীবিত অবস্থায় নাটকীয় ভাবে ফিরে আসা জিসামনির সংবাদে তোলপাড়!

নারায়ণগঞ্জ থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৬ আগস্ট, ২০২০, ১১:১০ এএম

শিল্প ও বন্দর নগরী নারায়ণগঞ্জে মৃত্যুর দেড়মাস পর জীবিত অবস্থায় নাটকীয় ভাবে ফিরে আসা জিসামনির সংবাদে তোলপাড় ছিলো শহর ও শহরতলীর প্রতিটি অলিগলি ও চায়ের দোকানগুলোতে । মৃত মানুষ জীবিত ফিরে আসা এবং আটককৃতদের রিমান্ডে এনে মারধর করে জোরপূর্বক জবানবন্দি দেয়া এবং টাকা লেনদেন নিয়ে আলোচনা হয় সাধারণ মানুষগুলোর মাঝে। ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়ার পর আবারও রিমান্ডে এনে মারধর করে আটকদেও স্বজনদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়ার বিষয়ে সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক শামীম আল মাসুদকে যিনি সার্বিক সহযোগিতা করেছেন তিনি হলেন শহরের গলাচিপা এলাকার অন্যতম মাদক ব্যবসায়ী ও পুলিশের সোর্স কিসলু।
মঙ্গলবার ( ২৫ আগষ্ট ) স্কুল ছাত্রী জিসামনির কথিত প্রেমিক ( পুলিশের ভাষ্যমতে ) আবদুল্লাহ’র বাবা-মা’য়ের সাথে আলাপ করলে তারা সাংবাদিকদের জানান, আমরা আগেও বলেছি এখনও বলছি আমার ছেলে নির্দোষ। জিসামনির ঘটনার পর পুলিশের কাছে আটক হওয়ার পর থেকে এসআই শামীম আমার ছেলেকে রিমান্ডে মারধর না করার শর্তে প্রচুর টাকা দাবী করলেও সে সময় আমরা ৭ হাজার টাকা দিয়েছি। ১৬৪ ধারায় জবানবন্দির পরেও একদিন আমার ছেলে আবদুল্লাহকে রিমান্ডে আনেন এসআই শামীম। ঐ রাতে এসআই শামীমের ব্যবহৃত মুঠোফোন থেকে ( ০১৭১২৩৭১৭৪০ ) আমাদের ফোনে যোগাযোগ করে থানায় যেতে বলেন। পওে এসআই শামীম সোর্স কিসলুকে দিয়ে আমাদের কাছে টাকা দাবী করেন ওকে মারধর করা হবেনা বলে। আমরা প্রথমে ৫ হাজার টাকা দেই,তাতে অখুশি হয় শামীম স্যার। পরে আমার দোকানে সিগারেট কেনার জন্য রাখা টাকা থেকে আরও ২ হাজার টাকা দেই কিসলুর হাতে। সোর্স কিসলু ঘন্টাখানেক পর আমাদের ফোন করে বলেন,কাকা শামীম স্যারকে ৭ হাজার টাকা দিছি হে আমাকে চা খাইতে ৫০০ টাকা দিছে। আবদুল্লাহর বাবা আমজাদ আরও বলেন, মামলাটি রফাদফা করতে শামীম স্যার কিসলুকে দিয়ে আমাকে প্রস্তাবও দিয়েছে কিন্তু আমি তাতে রাজি হইনি। কারন ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়ার পর কিভাবে আমরা সমাধানে যাই। আমি তখন আমার মোবাইল থেকে আমার আইনজীবির সাথে কিসলুকে কথা বলতে দেই। তখন আমার আইনজীবি কিসলুকে বলেন,এটা সম্ভব নয়,যদি সম্ভব হয় তাহলে আমি নিজেই ৫ লাখ টাকা দিবো। অপরদিকে সোর্স কিসলুকে দিয়ে এসআই শামীম কয়েকদিন পর পর আমজাদ বিরক্ত করা শুরু করেন টাকার জন্য। এ জন্য আমাকে এলাকায় না থাকতে ভয়ভীতি দেখায় সোর্স কিসলু।

এদিকে গতকাল জীবিত জিসামনিকে থানায় আনার পর গনমাধ্যমকর্মীদের অনেক প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ও তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শামীমকে। আটকদের স্বজনদের কাছ থেকে ৪৭ হাজার টাকা নেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন ওসি আসাদুজ্জামান ও এসআই শামীম সাংবাদিকদের কাছে। কিন্তু রাত প্রায় ১১ টায় সোর্স কিসলুকে দিয়ে আসামী আবদুল্লার বাবা আমজাদকে ফোন দেয়ায় এসআই শামীম। আবদুল্লাহ’র বাবা আমজাদ নিজে রিসিভ না করে তার স্ত্রীকে দিয়ে তা রিসিভ করানো হয়। আবদুল্লাহ মা ফোন রিসিভ করলে সোর্স কিসলু বলেন,কাকী আপনের মোবাইল বন্ধ কে,আপনের মোবাইল বন্ধ পাইতাছি। কাকার তো মাতা গরম,আপনে তো বুদ্ধিমান আপনে বুঝবেন। আপনে যে শামীম স্যারকে টাকা দিছেন তা ফিরত নিয়ে যান। আমি টাকাতো ফিরত নিমুনা। আমার ছেলেরে যে মাইরডা,ইজ্জত সম্মানটা গেছে হেইডাকি ফিরত দিতে পারবো।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন