হবিগঞ্জ শহরে ছুরিকাঘাতে জাহাঙ্গীর মিয়া (৩০) নামের এক যুবক নিহত হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ সুমন মিয়া (১৮) নামের এক যুবককে আটক করেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সুমন ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। মাদক বিক্রির পাওনা টাকা ও প্রেম সংক্রান্ত ঘটনার জের ধরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। মঙ্গলবার রাত ৯ টার দিকে হবিগঞ্জ শহরের দক্ষিণ অনন্তপুর এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছোরাটি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া গ্রেফতারকৃত সুমনের ঘর থেকে আরো ৩টি ছোরা, গাঁজা, গাঁজা সেবনের সরঞ্জাম পুলিশ উদ্ধার করেছে।
জানা যায়, দক্ষিন অনন্তপুর এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় স্ত্রী ও কন্যা সন্তান নিয়ে বসবাস করতো জাহাঙ্গীর। পার্শ্ববর্তী বাসায় ভাড়া থাকে গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ী সুমন মিয়া।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, নিহত মাদকসেবী জাহাঙ্গীর নকল স্বর্ণ ব্যবসার জড়িত ছিল। গ্রেফতারকৃত সুমন মাদক বিক্রির পাওনা চাইতে গিয়ে ২/৩ পূর্বে সুমন ও জাহাঙ্গীরের মাঝে তর্কবিতর্ক হয়। এ সময় আশপাশের লোকজনের হস্তক্ষেপের পর এরা চলে যায়। মঙ্গরবার রাত ৯টার দিকে জাহাঙ্গীর বাসায় যাচ্ছিল। বাসার অদুরে অন্ধকার গলি পথে সুমনসহ কয়েকজন জাহাঙ্গীরের উপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা জাহাঙ্গীরের বুকে ছুরিকাঘাতে করে। এ সময় জাহাঙ্গীরের চিৎকারে পার্শ্ববর্তী বাসা থেকে লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করে। তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় সিলেট প্রেরণ করা হয়। সিলেট নিয়ে যাবার পথে নবীগঞ্জ সড়কের সাদকপুরের নিকট জাহাঙ্গীর মারা যায়।
এদিকে মারা যাবার পূর্বে জাহাঙ্গীর তার উপর হামলাকারীদের নাম তার বড় ভাই আছকিরের নিকট বলে যায়। এ সূত্রধরে পুলিশ অভিযান মাদক ব্যবসায়ী সুমন মিয়া (২৪) কে তার ঘর থেকে গ্রেফতার করে। এ সময় তার ঘর থেকে গাজা, গাঁজা সেবনের সরঞ্জাম, ৩টি ছোরা উদ্ধার করা হয়। সুমন আজমিরীগঞ্জ উপজেলার মুরাদপুর গ্রামের আহাদ মিয়ার পুত্র। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে সঙ্গীয়দের সাথে নাম পুলিশকে জানিয়েছে। মাদক বিক্রির পাওনা টাকা এবং সুমন মিয়ার শালীকা রুবীর সাথে জাহাঙ্গীরের প্রেম সংক্রান্ত ঘটনাই জাহাঙ্গীর হত্যাকান্ডের কারণ বলে সুত্রে জানা গেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন