বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

সুস্পষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে দক্ষিণাঞ্চল সহ উপকূলীয় এলাকায় ২০-২৫ কিলোমিটার বেগের ঝড়ো হাওয়া

সাগর কিছুটা উত্তাল

বরিশাল ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৬ আগস্ট, ২০২০, ৪:৫২ পিএম

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশ এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে দেশের দক্ষিণাঞ্চল সহ উপকূলীয় এলাকায় মঙ্গলবার দুপর থেকে বৈরী আবহাওয়া বুধবার দুপুর থেকে কিছুটা ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটেছে। লঘুচাপটি বর্তমানে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত বরিশালে ১১.৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের পরে বিকেল ৫টা পর্যন্ত আর কোন বৃষ্টি হয়নি। তবে দক্ষিণ ও দক্ষিন-পূর্বদিক থেকে ঘন্টায় ২০-২৫ কিলোমিটার বেড়ে ঝড়ো হাওয়া সহ মাঝেÑমাঝে দমকা হাওয়া বইছিল। সাগর কিছুটা উত্তাল রয়েছে। বুধবার দিনভরই ৩-৫ ফুট উচ্চতার ঢেউ কুয়াকাটা সৈকতে আছড়ে পড়ছিল।
আবহাওয়া বিভাগ থেকে আরো দুদিন বৃষ্টিপাত প্রবনতা বৃদ্ধির কথা বলা হয়েছে। দক্ষিণ ও দক্ষিণÑপূর্ব দিক থেকে ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যবার কথা জানিয়ে বরিশাল সহ দক্ষিণাঞ্চলের সব নদী বন্দরকে ২ নম্বর নৌ হুশিয়ারী সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। ফলে অনধীক ৬৫ ফুট দৈর্ঘের সব নৌযানের চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

এদিকে গত সপ্তাহে ভাদ্রের অমাবশ্যায় ভর করে সৃষ্ট লঘুচাপ ও বর্ষনের সাথে উজানের ঢলে প্লাবিত দক্ষিণাঞ্চল সহ উপকূলভাগে প্লাবন পরিস্থিতির আরো কিছুটা উন্নতি হয়েছে বুধবার দুপুর পর্যন্ত। তবে এখনো বিপুল পরিমান ফসলী জমির পানির তলায়। প্লাবনমূক্ত হবার পরে উঠতি আউশ,রোপা আমন ও আমন বীজতলা কতটুকু রক্ষা পাবে তা নিয়ে এখনো কোন মন্তব্য করতে পারছেন না মাঠ পর্যায়ের কৃষিবীদগন। প্লাবিত পুকুর,দীঘী ও বরোপীটের মাছ ভেসে গেছে খাল থেকে নদীতে। এবারের এ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে দক্ষিণাঞ্চলের কৃষক ও মৎস্য চাষীগগন।

এদিকে আবহাওয়া বিভাগের থেকে, সুস্পষ্ট লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে ভাারতের আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত থাকার কথা জানিয়ে মৌসুমী বায়ু দেশের দক্ষিণাঞ্চলে সক্রিয় ও উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে প্রবলবস্থায় রয়েছে। বরিশাল সহ দক্ষিণাঞ্চলে এবং উপকূলীয় এলাকায় অস্থায়ীভাবে দমকা ঝড়ো হাওয়া সহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি এবং বজ্র বৃষ্টির সম্ভবনার কথাও বলা হয়েছে আবাহাওয়া বুলেটিনে। সে সাথে দক্ষিাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরেনর ভারী থেকে ভারী বর্ষনও হতে পারে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরারত সব ট্রলার ও নৌকাকে উপক’লের কাছাকাছি থেকে সতর্কতার সাথে চলাচল করতেও বলেছে আবহাওয়া বিভাগ।

 

 

 

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন