শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আইন হঠকারী -মাহবুব তালুকদার

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৬ আগস্ট, ২০২০, ৫:০২ পিএম

রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আইনের বিরোধিতা করে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সভায় আবারো নোট অব ডিসেন্ট (ভিন্নমত) দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার। রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আইনকে তিনি ‘হঠকারী’ বলে অভিহিত করেন। এর আগে ২৪ আগস্ট কমিশন সভায় প্রস্তাবিত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের সংশোধনী (আরপিও) এবং স্থানীয় সরকার পরিষদ নির্বাচন পরিচালনা আইনেরও তিনি বিরোধিতা করেন।
মাহবুব তালুকদার বলেন, আমি আগেও বলেছি, ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ সালের একটি ঐতিহাসিক আইনি দলিল, যা বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার অনন্য স্মারক। নির্বাচন কমিশনের নতুন আইনের প্রস্তাব গৃহীত হলে ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২’-এর অঙ্গহানি ঘটবে। এতে করে এই আদেশকে বিকলাঙ্গ মনে হবে।
বুধবার নিজ কার্যালয়ে মাহবুব তালুকদার নিজেই সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। এসময় তিনি জানান, ইসির ৭০ তম কমিশন সভায় ভিন্নমত পোষণ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা ও চার নির্বাচন কমিশনারের কাছে লিখিতভাবে তিনি ‘নোট অব ডিসেন্ট’ দিয়েছেন।
মাহবুব তালুকদার বলেন, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২’এর ষষ্ঠ অধ্যায়টি কর্তন করে ‘রাজনৈতিক দলসমূহের নিবন্ধন আইন, ২০২০ প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমি এই সিদ্ধান্তের সম্পূর্ণ বিরোধিতা করি। আরপিও থেকে একটি অংশ নিয়ে আলাদাভাবে আইন প্রণয়ন করলে সেটি হবে হঠকারী সিদ্ধান্ত।
তিনি বলেন, প্রস্তাবিত ‘রাজনৈতিক দলসমূহের নিবন্ধন আইন, ২০২০’এর শুরুর অংশে সংক্ষিপ্ত শিরোনাম, প্রয়োগ ও প্রবর্তন ইত্যাদি পরিবর্তন বিষয়ে আমি একমত নই। এতে সংজ্ঞা পরিবর্তন করে নতুন যে পদ-পদবী প্রস্তাব করা হয়েছে, তা আমার কাছে অনাবশ্যক মনে হয়। রাজনৈতিক দল ও সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে যে ৫০টি মতামত পাওয়া গেছে, তাতে এসব পদ-পদবী পরিবর্তনের বিষয়ে বিতর্ক রয়েছে। কী কারণে বা কোন যুক্তিতে এই পরিবর্তন প্রয়োজন, তা আমার বোধগম্য নয়। প্রয়োজন মনে হলে বাহাত্তরের আরপিও সংশোধন করা যেতে পারে, যা আগেও করা হয়েছে। আমি মনে করি, আইনের পরিবর্তন আইন কমিশনের কাছে ন্যস্ত থাকাই সমীচীন।
মাহবুব তালুকদার বলেন, সভার কার্যপত্রে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের ৬৩তম সভার সিদ্ধান্তের আলোকে ‘রাজনৈতিক দলসমূহের নিবন্ধন আইন-২০২০’এর খসড়া প্রস্তুত করা হয়। এই আইন সম্পর্কে প্রাথমিক আলোচনায় নির্বাচন কমিশনে নানারূপ মতদ্বৈততা ছিল। আইনটি মতামত যাচাইয়ের আগে অধিকতর যাচাই বাছাই ও এর প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে নির্বাচন কমিশনে আরও আলোচনার প্রয়োজন ছিল। দেশের অন্যতম বড় দুইটি রাজনৈতিক দলসহ অন্যান্য দলও এই আইন প্রণয়নের বিরোধিতা করেছে। সার্বিক পরিস্থিাতি বিবেচনায় ‘রাজনৈতিক দলসমূহের নিবন্ধন আইন- ২০২০ সম্পর্কে ভিন্নমত পোষণ করে আমি ‘নোট অব ডিসেন্ট’ দিয়েছি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
ABM Abdur Rahman ২৬ আগস্ট, ২০২০, ৬:২১ পিএম says : 0
No Necessary of Political Parties Registration.Activities of the Commission are not for Free & Fare Election.
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন