বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

সুদানকে সন্ত্রাসী তালিকা থেকে বাদ দিতে মোটা অঙ্কের অর্থের দাবি যুক্তরাষ্ট্রের

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৬ আগস্ট, ২০২০, ৫:৪৭ পিএম

সুদানের রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসী পৃষ্ঠপোষকের তালিকা থেকে নাম অপসারণ করতে মোটা অঙ্কের অর্থের দাবি করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল মঙ্গলবার সুদানের রাজধানী খার্তুম সফরকালে এমন প্রস্তাব দেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, আল-কায়েদার হামলার শিকার হওয়া ভুক্তভোগীদের ৩৩ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দিলে দেশটিকে সন্ত্রাসবাদ সমর্থনকারী দেশের তালিকা থেকে সরিয়ে ফেলবে যুক্তরাষ্ট্র। পম্পেওর এই প্রস্তাবে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে সুদানে। নব্বইয়ের দশকে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ওমর বশিরের আতিথেয়তায় সুদানে অবস্থান করেছিলেন আল-কায়েদার প্রয়াত নেতা ওসামা বিন লাদেন। তখন থেকেই যুক্তরাষ্ট্র দেশটিকে সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে চিহ্নিত করে রেখেছে। এ খবর দিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান।

খবরে বলা হয়, গত বছর বশিরের পতনের পর ক্ষমতায় আসা সুদানের নতুন অন্তবর্তী সরকারের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন জানাতে দেশটিতে সফর করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখানে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আব্দাল্লা হামদকের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। বৈঠকে দেশটির ওপর থেকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়।
ওই আলোচনায় অর্থের বিনিময়ে সন্ত্রাসী তালিকা থেকে সুদানের নাম সরিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেন তিনি। এছাড়া, ইসরাইলের সঙ্গে সম্পোর্কন্নয়নের জন্য হামদককে চাপ দেন তিনি।

সাম্প্রতিক বছরগুলোয় সুদানের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে একইসঙ্গে তারা এটাও দাবি করে আসছে যে, দেশটিকে মার্কিন প্রশাসনের আইনি দাবি মেনে নিতে হবে। প্রসঙ্গত, সুদানের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসবাদ সমর্থনকারী দেশের তালিকায় রয়েছে ইরান, সিরিয়া ও উত্তর কোরিয়াও।
পম্পেওর প্রস্তাবে উষ্মা প্রকাশ করেছে সুদানের মন্ত্রী, বিরোধী নেতা ও সাধারণ জনগণও। কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন, নতুন সংস্কারবাদী সরকারকে কেন পতন হওয়া স্বৈরাচারী শাসকের ভুলের মাশুল দিতে হবে। মানবাধিকারকর্মী মোহাম্মদ বাবিকের বলেন, সুদানের সমস্যা আরো তীব্র করতে চাইছে যুক্তরাষ্ট্র। আমরা বশিরের সরকারের বিরোধিতা করেছি। সেটির পতন ঘটিয়েছি। এখন সে সরকার যে ভুল করেছে তার জন্য আমাদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। অনেকে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষতিপূরণের দাবিই উড়িয়ে দিয়েছেন। বলেছেন, সুদান বহু আগ থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সহযোগিতামূলক আচরণ করে আসছে। তাদের কথা মেনে লাদেনকে দেশ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে ২০০১ সালে হামলার দুই বছর আগেই তিনি সুদান ছেড়ে চলে যান। সুদানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আব্দুল রহমান বলেন, লাদেন সুদানে থাকাকালে তাকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তরের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। সে সময় যুক্তরাষ্ট্র এই প্রস্তাব গ্রহণ করেনি।

এদিকে সুদানের রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসী পৃষ্ঠপোষকের তালিকা থেকে নাম অপসারণ করতে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে দৌড়ঝাপ করছেন সৌদি যুবরাজ সালমানও। ইতিমধ্যে তালিকা থেকে দেশটির নাম অপসারণে যুক্তরাষ্ট্রকে অনুরোধ জানিয়েছে তিনি।
সম্প্রতি সুদানের সার্বভৌম কাউন্সিলের প্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহানের সঙ্গে টেলিফোনে আপাল করে সৌদি যুবরাজ মোহাম্ম বিন সালমান। টেলি বার্তায় কাউন্সিলের প্রধানকে তিনি বলেন, সন্ত্রাসের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকের তালিকা থেকে নাম কাটতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সৌদি। এর আগে সৌদি আরব জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রকে সন্ত্রাসবাদের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতার তালিকা থেকে সুদানের নাম অপসারণের জন্য অনুরোধ করেছিল।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Monjur Rashed ২৬ আগস্ট, ২০২০, ৬:১৩ পিএম says : 0
US friend Saudi Arabia can pay the money on behalf of Sudan. Terrorist Laden was also Saudi citizen. Moreover,all the terrorists associated with 9/11 incident were Saudi citizens.
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন