বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সম্পাদকীয়

চিঠিপত্র

| প্রকাশের সময় : ২৭ আগস্ট, ২০২০, ১২:০১ এএম

করোনাকালে বাল্যবিয়ে বাড়ছে

করোনার কারণে ঘরের বাইরে যাওয়া নিষেধ। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন জায়গায় চলছে গোপনে বাল্যবিয়ের আয়োজন। এক পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, বিশ্বের ৪০ লাখ কন্যাশিশুকে বাল্যবিয়ের ঝুঁকিতে ফেলেছে করোনা মহামারী। স্কুল বন্ধ থাকা, দারিদ্র্য বেড়ে যাওয়াসহ করোনা সম্পর্কিত নানা কারণে বাল্যবিয়ের ঝুঁকির মুখে পড়েছে বিশ্বের বিপুলসংখ্যক কন্যাশিশু। মহামারীর কারণে যে অর্থনৈতিক সংকট শুরু হয়েছে, তা থেকে বাঁচার জন্যও অনেক দরিদ্র পরিবার এ বাল্যবিয়ের আশ্রয় নিচ্ছে। এর মাধ্যমে তারা পরিবারের সদস্য সংখ্যা কমানোর চেষ্টা করছে। আর এসব বাল্যবিয়ের ফলে সমাজে যৌতুক লেনদেনেরও সুযোগ সৃষ্টি হবে। বাল্যবিয়ে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সুখের হয় না। বাল্যবিয়ে দেশে মা ও শিশুর মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ। কিশোরী মায়ের মৃত্যুঝুঁকি প্রাপ্তবয়স্ক মায়ের তুলনায় অন্তত চারগুণ বেশি। তাই এ সময় বাল্যবিয়ে যাতে রোধ করা যায়, সেদিকে কঠোর দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন।
মোহাম্মদ জীবন আহমেদ
সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, সিলেট।


নিরাপদ সোশ্যাল মিডিয়া চাই
বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন থাকা সত্ত্বেও কতিপয় দুর্বৃত্ত সাইবার ক্রাইম করে যাচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে খুব করে যে ব্যাপারটি লক্ষনীয়। তাহলো সেলিব্রিটিরা সাইবার বুলিং এর শিকার হচ্ছেন। তাঁরা তাঁদের কাজের স্বার্থে বিভিন্ন রকমের ছবি বা ভিডিও আপলোড করে থাকেন, ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম, টুইটার ও ইউটিউবে।একশ্রেণীর মানুষ সেইসব ছবি/ভিডিওতে আপত্তিকর মন্তব্য করে থাকেন। যা পরবর্তীতে তাঁদের ব্যক্তি জীবনে প্রভাব ফেলে। আর, সেলিব্রেটিদেরও তাঁদের ছবি প্রকাশে সচেতন হওয়া প্রয়োজন। বাংলাদেশের কালচারের সাথে বেমানান এমন ছবি এবং ভিডিও ভেবে চিন্তেই আপলোড করা উচিত। সম্প্রতি সাকিব আল হাসানের কন্যা আইলানার একটা ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আপলোড করা হয়। আর তাতে কিছু মানসিক বিকারগ্রস্থ মানুষ অশালীন মন্তব্য করে। এটা সম্পূর্ণরূপে সাইবার অপরাধ। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের লঙ্ঘন। আমরা মনে করি, শিশু আলাইনার ছবিতে অশালীন মন্তব্যকারী এবং তার ছবির উপর এডিট করে বসানো অশালীন মন্তব্যসহ ভাইরাল করা লোকদেরও শাস্তি হওয়া উচিত। এইসব বিকারগ্রস্তদের আইনের আওতায় এনে সোশ্যাল মিডিয়াকে নিরাপদ করা প্রয়োজন।
তাসনিম হাসান মজুমদার
শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম কলেজ।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন