রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আইনের বিরোধিতা করে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সভায় আবারো নোট অব ডিসেন্ট (ভিন্নমত) দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার। রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আইনকে তিনি হঠকারী বলে অভিহিত করেন। এর আগে ২৪ আগস্ট কমিশন সভায় প্রস্তাবিত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের সংশোধনী (আরপিও) এবং স্থানীয় সরকার পরিষদ নির্বাচন পরিচালনা আইনেরও বিরোধিতা করেন।
মাহবুব তালুকদার বলেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ সালের একটি ঐতিহাসিক আইনি দলিল, যা মহান স্বাধীনতার অনন্য স্মারক। নির্বাচন কমিশনের নতুন আইনের প্রস্তাব গৃহীত হলে ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২’-এর অঙ্গহানি ঘটবে। এতে করে এই আদেশকে বিকলাঙ্গ মনে হবে।
গতকাল নিজ কার্যালয়ে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। এসময় তিনি লিখিত বক্তব্যে জানান, ইসির ৭০তম কমিশন সভায় ভিন্নমত পোষণ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা ও চার নির্বাচন কমিশনারের কাছে লিখিতভাবে তিনি ‘নোট অব ডিসেন্ট’ দিয়েছেন।
মাহবুব তালুকদার বলেন, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২’এর ষষ্ঠ অধ্যায়টি কর্তন করে ‘রাজনৈতিক দলসমূহের নিবন্ধন আইন, ২০২০ প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সিদ্ধান্তের সম্পূর্ণ বিরোধিতা করি। আরপিও থেকে একটি অংশ নিয়ে আলাদাভাবে আইন প্রণয়ন করলে সেটি হবে হঠকারী সিদ্ধান্ত।
তিনি বলেন, আইনটি মতামত যাচাইয়ের আগে অধিকতর যাচাই বাছাই ও এর প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে নির্বাচন কমিশনে আরও আলোচনার প্রয়োজন ছিল। দেশের অন্যতম বড় দুইটি রাজনৈতিক দলসহ অন্যান্য দলও এই আইন প্রণয়নের বিরোধিতা করেছে।
দল নিবন্ধন আইনের খসড়ায় ইসির অনুমোদন : কমিশনার মাহবুব তালুকদার নোট অব ডিসেন্ট (ভিন্নমত) দিলেও রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আইনের খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রয়োজনীয় সংশোধনসহ এর অনুমোদন দেয়া হয়। সংশোধনীগুলো সম্পন্ন হলে এটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে গতকাল প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কমিশন সভায় এটি অনুমোদন পায়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন