শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

নিষিদ্ধ করল আ.লীগ

নরসিংদীতে শোক আনুষ্ঠানের বক্তৃতা

সরকার আদম আলী, নরসিংদী থেকে : | প্রকাশের সময় : ২৮ আগস্ট, ২০২০, ১২:০২ এএম

জাতীয় শোক দিবসে নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় নেতাকর্মীদের বক্তৃতার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের পাল্টাপাল্টি সমাবেশে এক পক্ষ আরেক পক্ষের বিরুদ্ধে সমালোচনায় সৃষ্ট উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
জেলা আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা জানিয়েছেন, দলীয় গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে আওয়ামী লীগের একজন নেতা মাদক ব্যবসায়ী ও অস্ত্রবাজ সন্ত্রাসীদেরকে নিয়ে বাহিনী গঠন প্রকাশ্যে তাদেরকে নেতৃত্ব দিতে থাকে। সে এই বাহিনী নিয়ে মাদক ব্যবসা, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, এককভাবে নিজ নেতৃত্বাধীন প্রতিষ্ঠানের কোটি কোটি টাকার টেন্ডার দখল ও সরকারি-বেসরকারি ভূমি দখল করে হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক বনে যায়। এসব ঘটনায় দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার অভিযোগকে কেন্দ্র করে প্রথমে জেলা আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরে কোন্দল দেখা দেয়।
এরপর থেকে জেলা আওয়ামী লীগ দুই ভাগে ভাগ হয়ে যায়। সভাপতি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে এক গ্রুপে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন ভূইয়া ও নরসিংদীর পৌর মেয়র কামরুজ্জামান কামরুল এবং মূল গ্রুপে রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী লে. কর্নেল (অব) মো. নজরুল ইসলাম হিরু এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়ালিউর রহমান আজিম, ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি এসএম কাইয়ুম, উপদলীয় কোন্দলে বিভক্ত হয়ে যাবার পর নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগ এক মঞ্চে কোন সমাবেশ করতে পারেনি।
এক বছর ধরেই চলছে দুই গ্রূপের পাল্টাপাল্টি সমাবেশ। গত ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জেলা আওয়ামী লীগের আলোচনা সভাও একমঞ্চে করতে পারেনি। কর্নেল হিরু গ্রুপ কর্মসূচি ঘোষণা করার পাশাপাশি মতিন-কামরুল গ্রুপও পাল্টা কর্মসূচি ঘোষণা করে। ১৫ আগস্টের দিন থেকেই প্রকাশ্য সমাবেশে শুরু হয় দুই গ্রুপের পাল্টাপাল্টি সমালোচনা। বিদ্রোহী গ্রুপের এক নেতা কনেল হিরু এমপির পরিচয় ও তার মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ নিয়ে প্রশ্ন তুললে শুরু হয় দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনাকর বক্তব্য। এসব ঘটনা পত্র পত্রিকায় প্রকাশের পর কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ গতকাল জেলা আওয়ামী লীগের শোক দিবসের আলোচনা সভায় বক্তৃতা নিষিদ্ধ করেছেন। শুধু মিলাদ মাহফিল ও দোয়া অনুষ্ঠানের অনুমতি দিয়েছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন