বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

প্রদীপকান্ডের পর মামলার হিড়িক : আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য

রফিকুল ইসলাম সেলিম | প্রকাশের সময় : ২৮ আগস্ট, ২০২০, ১২:০২ এএম

কক্সবাজারের টেকনাফে প্রদীপকান্ডের পর আদালতে যাচ্ছেন ভুক্তভোগীরা। কতিপয় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে একের পর মামলা হচ্ছে। এসব মামলার অভিযোগে বের হয়ে আসছে ক্রসফায়ারের হুমকি দিয়ে চাঁদাবাজি, ঘুষ, দুর্নীতির চাঞ্চল্যকর তথ্য। তবে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং আইনজীবীরা বলছেন, এ ধরনের মামলার নিরপেক্ষ তদন্তে দোষীদের চিহ্নিত করে পুলিশ বাহিনীর ইমেজ বাড়ানোর সুযোগ তৈরি হয়েছে।

মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় জড়িত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও পরিদর্শক লিয়াকত আলী কারাগারে যাওয়ার পর তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে মামলা হচ্ছে। ওই দুজনের অপকর্মের শুরুটা হয় চট্টগ্রাম মহানগরীতে। চট্টগ্রামে যাদের উপর জুলুম করেছেন তারাও প্রতিকার চাইতে শুরু করেছেন। এর পাশাপাশি অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও নানা অভিযোগে মামলা হচ্ছে।

গত কয়েক দিনে চট্টগ্রামে এমন চারটি মামলা হয়। সর্বশেষ বুধবার লিয়াকত আলীসহ তিন পুলিশ কর্মকর্তা এবং আরও চারজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় ও পরে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগে ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মামলাটি করেন। আদালত তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে ডিবির উপ-কমিশনারকে নির্দেশ দেন।

ঘরে ঢুকে টাকা ও স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেওয়া এবং দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে রোববার রাউজানের সদ্য বদলি হওয়া ওসিসহ দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আরো একটি অভিযোগ করা হয়। কুÐেশ্বরীর কাঞ্চন চৌধুরীর অভিযোগের বিচারিক তদন্ত চলছে আদালতে। জমি নিয়ে আত্মীয়ের সঙ্গে বিরোধের জেরে বিরোধী পক্ষের টাকা খেয়ে পুলিশ এ ঘটনা ঘটায় বলে বাদীর অভিযোগ। ক্রসফায়ারের হুমকি দিয়ে ২ লাখ টাকা দাবি করা হয়। ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার পরও গণপিটুনির একটি মামলায় আসামি করে তাকে চালানা দেওয়া হয়।
১৯ আগস্ট আট লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে ইয়াবা দিয়ে চালান দেওয়ার অভিযোগে বায়েজিদ থানার ওসি তদন্তসহ আট পুলিশের বিরুদ্ধে আরো একটি মামলা হয়। ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মো. আবদুল ওয়াহেদের মামলাটি সিএমপির উত্তর জোনের উপ-কমিশনারকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। তার আগে ১৬ আগস্ট পটিয়া আদালতে প্রবাসী মো. জাফরকে তুলে নিয়ে ৫০ লাখ টাকার দাবিতে হত্যার অভিযোগে চকরিয়া থানার ওসি মো. হাবিবুর রহমান ও এসআই আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা হয়। মেজর (অব.) সিনহা হত্যার রাতেই জাফরসহ দুই জনকে ক্রসফায়ারে দেয়া হয় চকরিয়ায়।

পুলিশি অভিযানে এক স্কুলছাত্রের মৃত্যুতে ডবলমুরিং থানার এসআই হেলাল খানের বিরুদ্ধে মামলা হয়। আট লাখ টাকা না পেয়ে চন্দনাইশ থেকে দুই ভাই ফারুক ও আজাদকে তুলে নিয়ে হত্যার অভিযোগে ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ জয়েকজন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
কতিপয় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা প্রসঙ্গে সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার আমেনা বেগম বলেন, যে কেউ আদালতে অভিযোগ দায়ের করতে পারেন। প্রতিটি মামলা আদালতের নির্দেশে তদন্ত হচ্ছে। তদন্তে কেউ দোষী হলে তার বিরুদ্ধে মামলা চলবে একই সাথে বিভাগীয় ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।

চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী বলেন, ক্রসফায়ারের হুমকি দিয়ে টাকা আদায়সহ নানা অভিযোগে একের পর মামলায় পুলিশের ইমেজ কিছুটা হলেও ¤øান হচ্ছে। তবে নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে ইমেজ পুনরুদ্ধারের সুযোগও রয়েছে। করোনাকালে যেভাবে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে তাতে পুলিশ বাহিনীর ইমেজ বেড়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভুক্তভোগীদের এসব অভিযোগ তদন্তে নিরপেক্ষতা দেখাতে পারলে পুলিশের সুনাম আরো বাড়বে। কিছু ব্যক্তির দায় পুরো বাহিনী নিতে পারে না।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (9)
মোহাম্মদ আবুল হাশেম ২৮ আগস্ট, ২০২০, ২:২৭ এএম says : 0
পুলিশের একজন সিপাহিকে লাখ টাকা বেতন দিলেও কি ঘুষ খাওয়া বন্ধ করবে? মনে হয় না তা সম্ভব | কারণ, পুলিশের অবৈধ টাকা আয়ের নিশা যে ঈয়াবা থেকেও বেশী শক্তিশালী|
Total Reply(0)
প্রতিদিন কুমিল্লা ২৮ আগস্ট, ২০২০, ৪:১১ এএম says : 0
আরো কত খবর আইবো
Total Reply(0)
Abbas Ahmed ২৮ আগস্ট, ২০২০, ৪:১১ এএম says : 0
আগে মানুষ মামলা করেনি এইভেবে যে বিচার তো পাবেই না বরং প্রদীপের নির্যাতনের শিকার হতে হবে মামলা করলে। আর এমন প্রদীপদের বাংলাদেশে অভাব নেই
Total Reply(0)
মোঃ তোফায়েল হোসেন ২৮ আগস্ট, ২০২০, ৪:১১ এএম says : 0
প্রদীপ বাবুদের কিছুই হবে না। ওদের খুটির জোর অনেক গভীরে।
Total Reply(0)
হক কথা ভল ২৮ আগস্ট, ২০২০, ৪:১২ এএম says : 0
প্রধীপদের ভয়ে মানুষজন কথা বলতে পারে না। খোঁজ নিলে এই ধরনের বহু প্রদীপ পাওয়া যাবে তাতে সন্দেহ নেই।
Total Reply(0)
জাহিদ খান ২৮ আগস্ট, ২০২০, ৪:১৩ এএম says : 0
মামলা করে কোনো লাভ হবে না। কি চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া যাচ্ছে বলা হোক।
Total Reply(0)
a aman ২৮ আগস্ট, ২০২০, ৫:৪৭ এএম says : 0
Cox bazaar is one of the most impotent Zila in Bangladesh because of 1. Burma problem where millions of ROHINGAS being sheltered. 2. Also a possible war with BURMA is looming 3. A sea port and serous smuggling zone. 4. Separatist movement if Mountainous are like UDF and Shantu Larme operates. My question is how come so many minority officers ( In disproportionate numbers) working in such a important are ? was there any security checks being done ? Are these officers Link to India and BURMA TOO ? Do they send sensitive information to India and Burma ? These need to find out . Because I could see these officers are desperate and criminals . Last month a read an article in an Indian news paper and it said " RIGINGA CAMPS ARE NOW LINKED TO PAKISTAN AND TERRORISM !!" I felt sad about seeing these fake news for two reason . Number -1. ROHINGAS are the most suffering poor people in the world 2. Lining them with fake terror certificate will give them bad image . I guess these pro deep dadas are supplying news articles for Indian newspapers .
Total Reply(0)
সিদ্দিক ২৮ আগস্ট, ২০২০, ১০:৪২ এএম says : 0
পিবিআই সংস্থা শতশত গুনে ভাল থানা পর্যায়ে অফিস করুন জনগণ শান্তি পাবে।
Total Reply(0)
এডঃ এস.এম. মনিরুল আলম আশেক ২৮ আগস্ট, ২০২০, ১১:১৮ এএম says : 0
প্রতিটি লোক যেমন খারাপ নয়। তেমনিভাবে সকল পুলিশও খারাপ নয়। প্রদীপ, লেয়াকতদের মত কতিপয় পুলিশ সদস্যর জন্য পুরা পুলিশ বাহিনীর বদনাম। তবে তাদের সংখ্যা কম নহে। সরকারের উচিত যথাযথ পদক্ষেপ এর মাধ্যমে দুর্নীতিবাজ পুলিশ সদস্যদের চিহ্নিত করে বহিষ্কারের মাধ্যমে বাহিনীর সুনাম ধরে রাখা।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন