শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

কুয়াকাটার ভাঙন রোধে জরুরী ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ফেলার উদ্যোগ

পটুয়াখালী জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৯ আগস্ট, ২০২০, ৪:৫৭ পিএম

গত ২০ আগস্ট থেকে বঙ্গোপসাগরের প্রবল তাণ্ডবে অস্বাভাবিক ঢেউয়ের তোড়ে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের ব্যাপক এলাকা ভাঙন কবলিত হয়।
গত ২০ আগস্ট থেকে ২-৩ দিন চলমান অস্বাভাবিক জোয়ারের তাণ্ডবে পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতসহ এর তীরভূমি ভেঙে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সৈকতে যাওয়ার মূল সড়কটির কমপক্ষে ২৫ ফুট ভেঙে গিয়ে ঝুঁকির মধ্যে পড়ে ঐ সড়কের পূর্ব পাশের মসজিদ, মন্দির এলাকা, পশ্চিম পাশের পর্যটন পুলিশের ছাউনি, এর লাগোয়া পৌরসভার শৌচাগার। সৈকতের পূর্ব পাশের ফার্মস এন্ড ফার্মস লিমিটেড নামের বাগানের বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা উপড়ে পড়ে। পর্যটন পার্ক, পাশের জাতীয় উদ্যানের অসংখ্য ঝাউগাছ উপড়ে যায়। ভাঙ্গনের তীব্রতায় সৈকতের জিরো পয়েন্টের বালুর নিচে থাকা সাবমেরিন কেবলের আর্টিকুলেটেট পাইপ লাইন বের হয়ে পুনরায় হুমকীর মুখে পড়ে যায় সাবমেরিন কেবলের ইন্টার নেট সেবা। ভাঙনের কারণে সৈকতের ভ্রাম্যমান সব দোকানগুলো সৈকত থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। সৈকত লাগোয়া কিংস হোটেলটির কিছু অংশ বিলীন হয়েছে। এর পাঁকা স্থাপনাও যে কোনো সময় সাগরগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। ঢেউয়ের ঝাপটায় কুয়াকাটার বন্যানিয়ন্ত্রন বাঁধ চরম ঝুঁকিতে পড়েছে।
এদিকে এ ভাংগনের ফলে হুমকীর মধ্যে থাকা দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশন কর্তৃপক্ষ সাগর পাড়ের ভাঙ্গন স্থায়ীভাবে প্রতিরোধের ব্যবস্থা করা না হলে এ ভাঙ্গন ক্রমাগত বিস্তার লাভ করে সংলগ্ন বেড়ীবাঁধ ভেঙ্গে সাবমেরিন ক্যাবল সিস্টেমের বীচ ম্যানহোলটি হুমকির সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে উল্লেখ করে পানিউন্নয়ন বিভাগকে ২৩ মার্চ চিঠি প্রদান করেন। সেখানে তারা উল্লেখ করেন বীচ ম্যানহোলটি কোন কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হলে কুয়াকাটা সাবমেরিন ক্যাবল সিস্টেমটি সম্প‚র্ণ বন্ধ হয়ে যাবে। যাতে দেশের ইন্টারনেট ও আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ সেবা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
গত ২৪ আগষ্ট ‘ কুয়াকাটা সাবমেরিন ল্যান্ডিং স্টেশনের "বীচ ম্যানহোল" রক্ষায় সৈকত সংলগ্ন রাস্তার ভাঙ্গন প্রতিরোধে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণে পানি উন্নয়ন বিভাগকে চিঠি ” শিরোনামে দৈনিক ইনকিলাব এর অনলাইনে খবর প্রকাশিত হয়।
কলাপাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী খান মোহাম্মদ ওয়ালিউজ্জামান বলেন, ‘সৈকতের পূর্ব ও পশ্চিম দিকের ২৭০ মিটার তীরভূমি রক্ষার জন্য জরুরী উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তা ছাড়া ভাঙন রোধে ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে আপাতত তিন হাজার ২০০টি বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হবে। সামনের সপ্তাহেই এ কাজ শুরু হবে।’
এদিকে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব:) জাহিদ ফারুক আজ শেষ বিকেলে কুয়াকাটা সাগর সৈকতে ভাংগন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করবেন বলে জানিয়েছেন কলাপাড়া পানি উন্নয়ন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী খান মোহাম্মদ ওয়ালিউজ্জামান।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ কুয়াকাটায় ভাংগন কবলিত এলাকা পরিদর্শনে এসে জানিয়েছিলেন , ‘কুয়াকাটা সৈকত রক্ষায় একটি স্থায়ী প্রকল্প তৈরি করে মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হয়েছে। প্রকল্পটি অনুমোদন পেলে গোটা সৈকত রক্ষায় কাজ শুরু হবে।’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন