বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

গুম এই সরকারের প্রধান রাজনৈতিক কর্মসূচি

বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩০ আগস্ট, ২০২০, ১২:০০ এএম

বিরোধীদলশূণ্য একদলীয় কর্তৃত্ববাদী শাসন ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখতে গুম বর্তমান সরকারের প্রধান রাজনৈতিক কর্মসূচি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, বিরোধীদলশূণ্য একদলীয় কর্তৃত্ববাদী শাসন ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখার জন্যই গুমকে পথের কাঁটা দূর করার প্রধান হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। এই নৃশংস গুমের শিকার হয়েছেন ইলিয়াস আলী, সাইফুল ইসলাম হিরু ও চৌধুরী আলম, সুমন, জাকিরসহ অসংখ্য মানুষ। আন্তর্জাতিক গুম দিবস উপলক্ষে গতকাল শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানে এক বিবৃতিতে তিনি এই মন্তব্য করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশে গুমের আতঙ্ক এখন সর্বত্র পরিব্যাপ্ত। দুঃশাসন থেকে উৎপন্ন হয় গুম ও বিচার বহিভর্‚ত হত্যার মত মানবতা বিরোধী হিং¯্রতা। স্বৈরাচারি সরকারের গড়ে তোলা আইন প্রয়োগকারি সংস্থার পরিচয়ে বিরোধী দলের প্রতিবাদী নেতাকর্মীদেরকে তুলে নিয়ে যাওয়া এখন নিত্যকার ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এরা বিরোধীদল ও মতের মানুষদের অল্পদিন-দীর্ঘদিন অথবা চিরদিনের জন্যে নিখোঁজ করে দেয়। গুম হচ্ছে একদলীয় দুঃশাসনের নমুনা।
তিনি বলেন, অভিনব গুমের শিকার হয়েছেন সাবেক মন্ত্রী ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তাকে দুই মাস গুম করে রাখার পর পাচার করা হয়েছে অন্য দেশে। এই নতুন ধরনের ঘটনা দেশবাসীকে অজানা আতঙ্কে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, গুম হওয়া মানুষদের বেদনার্ত পরিবাররা এখনও পথ চেয়ে বসে আছে প্রিয়জনদের ফিরে আসার সম্ভাবনায়। রাষ্ট্র সমাজে মানুষের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতার বোধ সৃষ্টির জন্যই গুমকে কৌশল হিসেবে ব্যবহার করে নিষ্ঠুর শাসকগোষ্ঠী। মূল লক্ষ্য বিরোধী কন্ঠকে নির্মূল করা, সমালোচনার অবসান ঘটানো। গুমের অব্যাহত পরিস্থিতিতে দেশে সৃষ্টি হয়েছে এক ভয়ঙ্কর নৈরাজ্য। জনসমর্থনহীন ও ভোটারবিহীন সরকারের টিকে থাকার অবলম্বনই হচ্ছে গুম। এই ধারা বয়ে চললে বাংলাদেশ অরাজকতার ঘন অন্ধকারে ডুবে যাবে। মানুষের স্বাভাবিক জীবন-যাপন সম্পূর্ণভাবে বিপর্যস্ত হয়ে যাবে।

গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, কেবলমাত্র একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে প্রকৃত গণতান্ত্রিক সরকার গঠন হলেই গুম, অপহরণ, খুন ও বিচার বহিভর্‚ত হত্যার মতো মানবতাবিরোধী অপরাধ দূর হবে। জন-জীবনে স্বস্তি ফিরে আসবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Mohammed Shah Alam Khan ৩০ আগস্ট, ২০২০, ১১:১৪ পিএম says : 0
আজকের রাজনৈতিক এই দৈন্যতার জন্যে কে দায়ী সেটাই এখন সবার গবেষণা করে বের করা উচিৎ। আমি আমার ব্যাক্তিগত রাজনৈতিক জীবন থেকে কিছু কথা বলতে চাই। আমার বাবা ছিলেন একজন জমিদার, জমিদারী চলে যাবার পর নির্বাচনে ইউনিয়ন পরিষদের প্রেসিডেন্ট হয়ে পরবর্তীতে আজীবন চেয়ারম্যান ছিল তাঁর প্রজাদের সঠিকভাবে দেখা শুনার কারনেই তারা তাঁকে ভোট দিয়ে বার বার নির্বাচিত করেছিল। এমনকি আমার বাবার ১৯৬৮ সালে মৃত্যুর পর আমার মাকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছিল। কাজেই সেই বৃটিশ আমল থেকেই আমাদের পরিবার একটি রাজনৈতিক পরিবার। তাছাড়া সরকারের পদস্ত পদের দায়িত্বেও আমাদের পরিবারের লোকজন ছিল। সেকারনেই আমি পারিবারিক ভাবে রাজনৈতিক ভাবে জড়িত। আমি আমার পরিবারে ঐতিহ্য মোতাবেক ১৯৬৫ সালে এসএসসি পাশ করে বেশী টাকা পাবার স্টাইপেন্ড পাবার লোভে জগন্নাথ কলেজে ভর্তি হই এবং সেখানে ছাত্র রাজনীতির সাথে জড়িত হয়ে ছাত্রলীগে যোগদেই। সে সময়ে রাজনীতিতে একদল অপর দলের নেতাদেরকে নিজ দলে নেয়ার জন্যে চেষ্টা করতে আমি দেখিনি। যে কারনে যে যেই দল করছে সেই দলেরই নেতা হয়ে সেই দলকেই আকড়িয়ে ধরে থাকতো। কিন্তু ১৫ আগষ্ট ১৯৭৫ সালের পটপরিবর্তনের পর আমি দেখেছি কিভাবে মুক্তিযোদ্ধা, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও মাইনোরিটিদের উপর অত্যাচার শুরু হয়েছিল। শুধু তাই নয় এদেরকে গুম, হত্যা থেকে শুরু করে দল পরিবর্তন করাও শুরু হয়। সেসময়ে মুক্তিযোদ্ধারা পরক্ষ বা প্রত্যক্ষ ভাবে আওয়ামী লীগ বা যুবলীগের সাথেই বেশী জড়িত ছিল। আমি দেখেছি এদেরকে পুলিশ বা ডিজিডিএফআই এর সদস্যরা ধরে নিয়ে তাদেরকে আওয়ামী লীগ থেকে সড়েযাবার জন্যে চাপ দিতো। কেহ যদি তখন জিয়া মিয়ার সমর্থনে যেতে না চাইতেন তাহলে আওয়ামী লীগ না করার জন্যে মোচলেকা দিয়ে রক্ষা পেতেন। আমি নিজে জিয়া মিয়ার যাতা কল থেকে ডাক্তার বি চৌধুরীর হস্তক্ষেপে রেহাই পেয়েছিলাম। তাই এবিষয়ে আমার ব্যাক্তিগত মতামত হচ্ছ দেশের রাজনৈতিক আবস্থার সর্বনাশ করেছে জিয়া...। তাছাড়া জিয়া.. অগণিত জনসভায় ইংরেজিতে বলতেন “I will make politics difficult” পরবর্তীতে জিয়া... তাঁর ৬ বছর শাসন আমলে তাঁর এই কথাকে বাস্তবে রূপায়িত করে রাজনীতির বারোটা বাজিয়ে গেছেন। আজ জিয়া পথেই আওয়ামী লীগ হাটছে। জিয়া ...এরশাদ চাচা ও খালেদা জিয়া এনারা তিন প্রজন্মই সেনানিবাস থেকে রাজনীতিতে এসে কুরাজনীতি সুপ্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছে। এনারা অবশ্য তাদের নিজেদের করা পন্থায় ক্ষমতা ধরে রাখতে পারেনি তবে আওয়ামী লীগ তাদের পথে হেটেই ক্ষমতা ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে। আর এজন্যে দায়ী হচ্ছে ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচন। সেই নির্বাচনে যদি আওয়ামী লীগ ক্ষমতা এসেযেত তাহলে দেশে সঠিক রাজনীতির প্রচলন চালু হয়ে যেত। কিন্ত জননেত্রী শেখ হাসিনা যখন প্রকৃত রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে হোচট খেয়েছে তখন তিনি জিয়ার রাজনীতিকে আকড়িয়ে ধরে আজ একাধারে পরপর তিনবার ক্ষমতাশিন হয়েছেন। আমার ব্যাক্তিগত অভিমত হচ্ছে জননেত্রী শেখ হাসিনা বেঁচে থাকলে আবারো তিনি ক্ষমতায় আসবেন। আল্লাহ্ বাংলাদেশের রাজনীতিবিদদেরকে সঠিক ভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করার ক্ষমতা দান করুন। আমিন
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন