শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

নতুন মাইলফলকে রিজার্ভ

চলতি সপ্তাহে ৩৯ বিলিয়ন ডলার ছাড়াবে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩০ আগস্ট, ২০২০, ১২:০০ এএম

সাধারণত ঈদের সময়ে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ে। কিন্তু এবার ঘটছে ভিন্ন। কোরবানির ঈদের পরও রেমিট্যান্সের ইতিবাচক ধারা অব্যাহত রয়েছে। করোনার মধ্যেই দেশে বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ আরেকটি মাইলফলক অতিক্রম করতে চলেছে। গত বৃহস্পতিবার দিন শেষে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৩৮ দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলার, যা অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। সংশ্লিষ্টদের মতে, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নগদ দুই শতাংশ প্রণোদনা পাওয়ায় টাকা পাঠানোর বেআইনি পন্থা (হুন্ডি) অবলম্বন ছেড়ে দিয়ে প্রবাসীরা বৈধ পথে টাকা পাঠানোর দিকে ঝুঁকছেন। ফলে রেমিট্যান্স বাড়ছে হুহু করে।

সূত্র মতে, চলতি সপ্তাহের শুরুতেই রিজার্ভ (৩৯ বিলিয়ন ডলার) তিন হাজার ৯০০ কোটি ছাড়াবে বলে আশা করা হচ্ছে। করোনায় দেশে রেমিট্যান্সের গতি থামেনি। বরং তা আরও বেড়েছে। কোরবানির ঈদের পরও রেমিট্যান্সের ইতিবাচক ধারা অব্যাহত রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকার ২ শতাংশ নগদ প্রণোদনা দেওয়ায় প্রবাসীরা এখন বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাতে আগ্রহী হচ্ছেন। তাই প্রতিনিয়তই রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ছে। অথচ এক সময় প্রবাসীরা বেশির ভাগ অর্থই পাঠাতেন হুন্ডিতে। এখন হুন্ডিতে পাঠানোর মাত্রা কমে এসেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, দুই শতাংশ প্রণোদনা অব্যাহত থাকলে বৈধ পথে রেমিট্যান্স আরও বাড়বে। একই সঙ্গে হুন্ডি কমাতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর তদারকি বাড়ানো জরুরি এবং প্রবাসীদের হুন্ডির ব্যাপারে সচেতনতা বাড়াতে পারলে এক সময় হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠানোর মাত্রা শ‚ন্যে নেমে আসবে। এতে একদিকে বৈধ পথে লেনদেন বাড়বে। প্রবাসীরাও নগদ প্রণোদনার অর্থে লাভবান হবেন। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও শক্তিশালী হবে। যা দেশের বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্য ও বৈদেশিক বাণিজ্যকে বিশ্বে ইতিবাচকভাবে তুলে ধরবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি অগাস্ট মাসের ২০ দিনে ১৩৪ কোটি ১০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। গত বছরের পুরো আগস্ট মাসে ১৪৪ কোটি ৪৭ লাখ ডলার রেমিটেন্স এসেছিল দেশে। আগের মাস জুলাইয়ে ২৬০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। বাংলাদেশের ইতিহাসে এর আগে কখনই এক মাসে এতো বেশি রেমিট্যান্স আসেনি। এর আগে এক মাসে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছিল গত জুনে, ১৮৩ কোটি ৩০ লাখ ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এখন বৈধ পথে রেমিট্যান্স আসছে। এ ছাড়া আমদানি ব্যয়ের চাপ কম, দাতা সংস্থা বিশ্ব ব্যাংক, আইএমএফ ও জাইকার বৈদেশিক ঋণ সহায়তা ও বিশ্ব সংস্থার অনুদানের কারণে রিজার্ভ বাড়ছে। ##

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (8)
Helal Masud ৩০ আগস্ট, ২০২০, ১:০৪ এএম says : 0
ফকিরের হাতে কিছু টাকা হলে বার বার গুনে গুনে চাই কয় টাকা হইছে.. আমাদের বাঙালিদের ও এখই অবস্থা, মিসর ইন্ডিয়া পাকিস্তান সহ অন্য অন্য দেশে ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন রেমিটেন্স জমা হইতেছে প্রতি মাসে কেউ এই রকম চিল্লতোইছেনা, বাঙ্গালীরাই শুধু গুনতেই আছে আর লাফালাফি করতেছে, অথচ পাশের দেশের চিরশত্রু ইন্ডিয়া আমাদের পিছনে লেগে আছে তারা হিংসায় মরবে বাঙালির হাতে এত টাকা দেখলে, তারা ষড়যন্ত্র শুরু করে দিবে এতো চিল্লাচিল্লি করলে বোবার কোন শত্রু নাই চুপ মেরে থাকলে সমস্যা কি হয় এতো এতো চিল্লাচিল্লি না করে..!!
Total Reply(0)
Rasel Khan ৩০ আগস্ট, ২০২০, ১:০৪ এএম says : 0
যারা এনে দিচ্ছে ( প্রবাসী) তারা তাদের অধিকার ও পায় না
Total Reply(0)
Hossain Iqbal ৩০ আগস্ট, ২০২০, ১:০৫ এএম says : 0
বিদেশে সেটেল ব্যবসা, বানিজ্য করার উপর প্রবাসীদের আস্তা কমে যাচ্ছে এমন কি টাকা জমিয়ে রাখতেও ভয় পাচ্ছে কারন সর্বত্র করোনার মহামারি। আর এই জন্যই সবাই টাকা দেশে পাঠিয়ে দিচ্ছে। সামনের দিন গুলো খুব সুবিধা হবে বলে মনে হয় না।
Total Reply(0)
Jahangir Alam ৩০ আগস্ট, ২০২০, ১:০৫ এএম says : 0
এই অভয়দো সরকার প্রবাসিদের উপর জুলুম করতে আছে। আপনা রা অবগত আছেন র্বতমনে বিমানের টিকেটের উর্ধগতি ওহয়রানি নিয়ে মিডিয়া চুপ কেন জবাব দেও
Total Reply(0)
Belal Hossain ৩০ আগস্ট, ২০২০, ১:০৬ এএম says : 0
অর্থমন্ত্রীর প্রণোদনার কারণে রেমিট্যান্স( রিজার্ভ) বাড়তেছেনা। সৌদি সরকার কোম্পানিগুলো কে বাধ্য করেছে কর্মচারীদের বেতন ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে পরিশোধ করতে হবে। আর ব্যাংক গুলো প্রবাসী একাউন্ট হোল্ডারদের বাধ্য করছে, দেশে ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পাঠাতে, না পাঠালে একাউন্ট বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এখানে কেউ টাকা উঠাতে ও পারে না। আর দেশে এক লাখ টাকা পাঠালে যে দুহাজার টাকা প্রণোদনা দেওয়া হয় তাতেও বাটপারি, এখানে আমাদেরকে তিন হাজার টাকা কম দিয়ে, দেশে দুই হাজার টাকা দেওয়া হয়। অথাৎ আগে আমরা যদি ২২ টাকা ৮০ পয়সা পাইতাম সেখান এখন দিচ্ছে ২২ টাকা ৩০ পয়সা।
Total Reply(0)
Azmal Haque ৩০ আগস্ট, ২০২০, ১:০৬ এএম says : 0
আমাদের প্রিয় দেশ সব সময় সবকিছুতেই অনন্য রেকর্ড
Total Reply(0)
Niamul Kabir ৩০ আগস্ট, ২০২০, ১:০৬ এএম says : 0
Excellent
Total Reply(0)
Nurul Alam ৩০ আগস্ট, ২০২০, ৮:৫১ এএম says : 0
نحن نرسل فلوسنا بطريقة نظامية لكي يقوي اقتصاد بلادنا
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন