টাঙ্গাইলের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। যমুনা ধলেশ^রীসহ জেলার আভ্যন্তরীন নদ-নদীর পানি কমেছে। তবে তৃতীয় দফা বন্যার ফলে বিভিন্ন স্থানে বাঁধ, ব্রীজ, কালর্ভাট ও রাস্তা ভেঙ্গে যে সমস্ত এলাকায় পানি প্রবেশ করেছে সে সব এলাকার মধ্যে বাসাইল, কালিহাতী, টাঙ্গাইল সদর ও মির্জাপুর উপজেলার হাজারও পরিবার এখনও পানিবন্দি রয়েছে। ফলে চলাচলে বেড়েছে দুর্ভোগ। খাদ্য সহায়তা না পাওয়ার অভিযোগ রয়েছে অনেক পরিবারের।
এদিকে যে সব এলাকায় পানি নেমে গেছে সে সব এলাকায় ঘর বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এখনও অনেক লোক গৃহে ফিরতে পারে নি।
বন্যায় টাঙ্গাইলের ১১টি উপজেলার ৫ হাজার ৩২৭টি পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। মৎস বিভাগ সূত্র জানায়, এতে মৎস চাষীদের প্রায় ২৬ কোটি টাকার উপরে অবকাঠামো সহ ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে।
শিক্ষা বিভাগ সূত্র জানায়, জেলার ১২টি উপজেলার মধ্যে ১০টি উপজেলার ৫৬৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৮ কোটি ৩৯ লক্ষ ৩১ হাজার টাকা, ১৪২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২ কোটি ৪৭ লাক্ষ ২৫ হাজার টাকা, ৬৮টি মাদ্রাসার ১ কোটি ৪৩ লাক্ষ ৭৫ হাজার টাকা ও ১২টি কলেজের ৩৪ লাক্ষ টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সর্বমোট ১৩ কোটি ৪১ লাক্ষ ৩১ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
জেলার এজিইডি কার্যালয় সূত্রে জানাযায়, ১২টি উপজেলার মধ্যে ১১টি উপজেলায় ৩২৮টি রাস্তা, ৭৩টি ব্রীজ ও কালর্ভাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে প্রায় পনে ৩’শ কোটি টাকার ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন