শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

মেজর (অব.) সিনহা হত্যা মামলা : স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিতে আদালতে লিয়াকত

কক্সবাজার ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৩০ আগস্ট, ২০২০, ১২:৩৮ পিএম

অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় তৃতীয় দফায় তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের একদিন পরই ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে প্রধান আসামী বরখাস্ত এসআই লিয়াকত আলীকে আদালতে তোলা হয়েছে।

আজ রোববার (৩০ আগস্ট) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে জবানবন্দি দিতে তাকে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহর আদালতে আনা হয়েছে। মামলার তদন্তকারী সংস্থা র‌্যাবের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

র‌্যাব সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার তৃতীয় দফায় বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, এসআই লিয়াকত আলী, এএসআই নন্দ দুলাল রক্ষিতের তৃতীয়বারের মতো তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

তৃতীয় দফায় তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের একদিন পরই আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ার জন্য বরখাস্ত এসআই লিয়াকত আলীকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আদালতে আনা হয়।

র‌্যাব সূত্র মতে, আত্মসমর্পণের পর গত ৬ আগস্ট ওসি প্রদীপ, লিয়াকত ও নন্দ দুলালসহ সাত পুলিশের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
সাত দিনের রিমান্ড শেষে দ্বিতীয় দফায় ২৪ আগস্ট আরো সাত দিনের রিমান্ড চেয়েছিল র‌্যাব। আদালত চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন।

ওই চার দিন রিমান্ড শেষ হলে তদন্তের স্বার্থে তৃতীয় দফায় আরো চার দিনের আবেদন করা হলে গত শুক্রবার (২৮ আগস্ট) আদালত তাদের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত ৩১ জুলাই রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলীর গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান।

ঘটনার পর পুলিশ বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় দুটি ও রামু থানায় একটি মামলা করে। মামলায় এ পর্যন্ত সাত পুলিশ সদস্য, এপিবিএনের তিন সদস্য ও টেকনাফ পুলিশের করা মামলার তিন সাক্ষীসহ ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

এপিবিএনের তিন পুলিশ সদস্য পৃথকভাবে বুধ ও বৃহস্পতিবার আদালতে ১৬৪ ধারা মতে জবানবন্দি দেন। যার কারণে এ তিন পুলিশ সদস্য কারাগারে রয়েছেন।
গত ৫ আগস্ট কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যা মামলা করেন সিনহা মো. রাশেদ খানের বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। এতে ৯ জনকে আসামি করা হয়। পরে আরো ছয়জনকে আসামী করা হয়। দুইজন ছাড়া সব আসামী গ্রেফতার হয়েছে।

অপরদিকে গত শুক্রবার (২৮ আগস্ট) ওসি প্রদীপের জামিনের জন্য চট্টগ্রাম কোর্টের প্রবীণ আইনজীবী এহেছানুল হক হেনার নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি আইনজীবী প্রতিনিধি দল কক্সবাজার আদালতে হাজির হয়ে রিমান্ডের বিরোধিতা করেন এবং জামিনের আবেদন করেন। আলাদত তাদের জামিন আবেদন নাকচ করে দেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন