মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

বংশাই নদীর তীব্র ভাঙন

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:০০ এএম


টাঙ্গাইলের মির্জাপুর পৌর এলাকায় বংশাই নদীর ভাঙনে বিলীন হচ্ছে ঘরবাড়ি, রাইস মিলসহ জনপথ। ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে নদীর ওপর নির্মিত আলহাজ একাব্বর হোসেন সেতু। চলতি বছরের দীর্ঘ মেয়াদি বন্যার পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে মির্জাপুর পৌর এলাকার বংশাই নদীর ভাঙনের চিত্র ফুটে উঠেছে। ইতোমধ্যে পুষ্টকামুরী পূর্বপাড়া (সওদাগড়পাড়া) এবং বাওয়ার কুমারজানী উত্তরপাড়ার বেশ কয়েকটি বাড়ি গাছপালা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। পানি আরও নেমে গেলে এই ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করবে বলে ভুক্তভোগীরা জানান। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পুষ্টকামুরী পূর্বপাড়া বংশাই নদীর তীর ঘেঁষে প্রায় ২৫০টি পরিবারের বসবাস। এদের মধ্যে অধিকাংশ দরিদ্র শ্রেণির। তারা বেশিরভাগ পরিবারই ভ্রাম্যমাণ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। এবারের বন্যায় ওই পাড়ার প্রায় সব বাড়িতেই বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়। ফলে প্রায় শতাধিক পরিবার আশ্রয় নেয় সেতুর ওপর পলিথিনের ছাউনিতে। এ অবস্থায় তাদের আশ্রয়স্থলটুকুও হারিয়ে যেতে বসেছে। এদিকে নদী ভাঙনের ফলে বংশাই নদীর ওপর নির্মিত আলহাজ একাব্বর হোসেন সেতুও রয়েছে ঝুঁকিতে।

নদী ভাঙনের কবলে পড়া ওই পাড়ার বাসিন্দা মজিবর রহমান বলেন, বাওয়ার কুমারজানী উত্তরপাড়ার বিল্লাল হোসেন, বাবুল হোসেন ও মন্টু মিঞা জানান, বন্যার পানি কমতে শুরু করছে। কিন্তু তাদের বাড়িও আস্তে আস্তে নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এ থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায় খুজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে তিনি বলেন।

বাবুল বলেন, প্রতি বছর আমরা নদী ভাঙনের কবলে পড়ি। কিন্তু আমাদের সহায়তায় কেউ এগিয়ে আসে না। খাবার দিয়ে অনেকে সাহায্য করলেও আমাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই রক্ষায় কোনো কাজ হচ্ছে না।

মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল মালেক বলেন, নদী ভাঙন সম্পর্কে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবহিত করা হয়েছে। তারা এলাকা পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন। সেতুটি যাতে হুমকির মধ্যে না পড়ে সেদিকে নজর রাখা হবে বলেও তিনি বলেন।

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন