শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

চট্টগ্রামে ওসি প্রদীপের বিরুদ্ধে মামলা

২ ভাইকে তুলে নিয়ে ‘ক্রসফায়ার’

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:০০ এএম

চট্টগ্রাম থেকে দুই ভাইকে তুলে নিয়ে আট লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে কক্সবাজারের টেকনাফে কথিত ক্রসফায়ারে হত্যার অভিযোগে ওসি প্রদীপসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গতকাল বুধবার চট্টগ্রামের একটি আদালতে নিহত দুই যুবকের বোন রিনাত সুলতানা শাহীন বাদী হয়ে এ মামলা করেন।

চট্টগ্রামের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামরুন্নাহার রুমীর আদালত মামলাটি গ্রহণ করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বাদীর আইনজীবী এ এম জিয়া হাবীব আহসান। আদালত চট্টগ্রামের আনোয়ারা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে অভিযোগ তদন্ত করে ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

নিহত আমানুল হক হারুন ও আজাদুল হক আজাদ চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার কাঞ্চননগর ইউনিয়নের ফকিরপাড়ার আমিনুল হকের পুত্র। মামলায় অভিযুক্তরা হলেন- মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ হত্যা মামলার প্রধান আসামি টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, একই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইফতেখারুল ইসলাম, কনস্টেবল মাজাহারুল ইসলাম, দ্বীন ইসলাম, এবং আমজাদ হোসেন। একই মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ৫-৬ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

রিনাত সুলতানা শাহীন জানান, তার বড় ভাই আমানুল হকের মোবাইল সার্ভিসিংয়ের দোকান ছিল। লকডাউন শুরুর পর দোকান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তিনি পেয়ারার চাষ শুরু করেন। ছোট ভাই আজাদ বিদেশে থাকতেন। গত রমজানের সময় তিনি দেশে ফিরেন। গত ১৩ জুলাই রাতে আমানুলকে এবং ১৫ জুলাই আজাদকে চন্দনাইশ থানা পুলিশের সহযোগিতায় টেকনাফ থানা পুলিশ বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। ১৫ জুলাই রাতে তাদের ছাড়িয়ে আনতে আট লাখ টাকা দাবি করে ফোন করা হয়। পরদিন যোগাযোগ করা হলে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গ থেকে তাদের লাশ নিয়ে যেতে বলে টেকনাফ থানা পুলিশ। পুলিশের কথামতে, ১৬ জুলাই মর্গে গিয়ে পরিবারের সদস্যরা দুই ভাইয়ের লাশ শনাক্ত করে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Mohammed Shah Alam Khan ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৮:২৩ এএম says : 0
বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কতটা দুর্ধর্ষ ক্ষিপ্র ভয়াবহ মানব রক্ত লোভী দানব ছিল সেটা এখন ক্রমান্বয়ে সামনে আসবে এটাই প্রকৃতির নিয়ম। এধরনের দূষ্কৃতিকারিরা যখন ক্ষমতায় থাকে তখন তাঁরা যতই খারপ কাজ করুক না কেন সেটা সামনে আসবেনা এটাই সচারিত দেখা যায়। আবার যখনই এধরনের দুষ্কৃতকারিরা ক্ষমতা চুত্যু হয় তখনই তাঁর সকল কৃতকর্ম সামনে চলে আসে। ওসি প্রদীপের হাজার হাজার কোটি টাকা কিভাবে মানুষের রক্ত চুষে হাতিয়ে নিয়েছে সেসব ঘটনা এখন সামনে আসতে থাকবে। কক্সবাজারের বর্তমান এসপি সাহেবের কি অবস্থা এটা জানার খুবই ইচ্ছা। তিনি প্রদীপ বাবুর একজন মদদ দাতা এটা তাঁর কৃতকর্মে প্রমাণ করেছে। সেজন্যে জানার ইচ্ছা তাঁর সাথে সরকার কি ব্যাবহার করছে। আবার ভয়ও হয় নাজানি এসপি সাহেব আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে আমার দফা রফা করে (বারোটা না বাজিয়ে) দেন। আল্লাহ্‌ আমাদের দেশের পুলিশ সদস্যদেরকে মানবিকতা সম্পর্কে জ্ঞান দান করুন। আমিন
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন