এক কিশোরীকে অপহরণ করে ১৫ দিন আটকে রেখে ধর্ষণ করার অভিযোগে এক যুবক ও তার সহযোগী নারীকে আটক করেছে সিলেট পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে আসামীদের। অপরদিকে, ভিকটিম সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি বিভাগে রয়েছে চিকিৎসাধীন। পুলিশ জানায়, সিলেটের সদর উপজেলার (জালালাবাদ থানধীন) মইয়ারচর গ্রামের মৃত আব্দুল মালিকের পূত্র সাদিকুর রহমান (২২) গত ১৮ আগস্ট দুপুর দেড়টায় একই এলাকার ১৪ বছরের এক কিশোরীকে অপহরণ করে। পরে তার সহযোগী এক মহিলার বাসায় আটকে রেখে ১৫দিন যাবত জোরপূর্ব ধর্ষণ করে ওই কিশোরীকে সাদিক।
এদিকে, কিশোরী নিখোঁজের পর জালালাবাদ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (নং-৭২০ (১৭/০৮/২০২০) করা হয়। সেই জিডির ভিত্তিতে জালালাবাদ থানার এসআই কাজী জামাল উদ্দিনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ অনুসন্ধান চালিয়ে গত ২ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৭টায় সিলেট শাহজালাল মাজার হতে কিশোরীকে উদ্ধার করে। উদ্ধারের পর ওই কিশোরী পুলিশকে জানায়, সাদিকুর রহমান তাকে অপহরণ করে একটি বাসায় আটকে রেখে ১৬ আগস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন সময় একাধিকবার করা হয় ধর্ষণ। পরে ভিকটিমের পিতা আব্দুর নুর বাদি হয়ে জালালাবাদ থানায় মামলা দায়ের (নং-০১, ৩/০৯/২০২০) করেন। মামলা দায়েরের পরপরই জালালাবাদ থানা পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে আজ বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টায় মইয়ারচর এলাকা থেকে আসামি সাদিকুর রহমান ও তার সহায়তাকারী মহিলা (৪৩)-কে গ্রেফতার করে। পরে আজ আসামিদ্বয়কে আদালতের মাধ্যমে প্রেরণ করা হয় কারাগারে।