বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

মোদির পতনকেই তরান্বিত করছে

বাবরি মসজিদে রাম মন্দির নির্মাণ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:০০ এএম

মানববন্ধনে আওয়ামী ওলামা লীগ নেতৃবৃন্দ
ভারতের অযোধ্যায় ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদের জায়গায় রাম মন্দির নির্মাণ শুরু করে মোদি সরকার নিজের পতনকেই তরান্বিত করছে। রাম মন্দির নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তুর স্থাপন হিন্দুত্ববাদী বিজিপি সরকারের এক ঐতিহাসিক ভুল। একদিন এ ভুলের খেসারত দিতে হবে ভারতকে। বাবরি মসজিদের স্থানে গায়ের জোরে রাম মন্দির স্থাপনের উদ্যোগ নিয়ে মুসলিম উম্মাহর হৃদয়ে কুঠারাঘাত করা হয়েছে।
বাবরি মসজিদের স্থানে রাম মন্দির নির্মাণের প্রতিবাদসহ দশ দফা দাবিতে গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আওয়ামী ওলামা লীগসহ সমমনা ১৩টি ইসলামী দলের মানববন্ধনে বক্তারা এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগের সভাপতি পীরজাদা বীর মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা মুহাম্মদ আখতার হোসেন বুখারীর সভাপতিত্বে এতে আরো বক্তব্য রাখেন, দলের মহাসচিব কাজী মাওলানা মো. আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী, সম্মিলিত ইসলামী গবেষণা পরিষদের সভাপতি আলহাজ হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুস সাত্তার, মাওলানা মুহাম্মদ শওকত আলী শেখ ছিলিমপুরী, হাফেজ ক্বারী মুহাম্মদ শাহ আলম ফরাজী, মাওলানা মুহাম্মদ ওমর ফারুক গোপালগঞ্জী, ফেরদৌস আহমেদ কোরেশী ও মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুস সবুর মিয়া। বক্তারা বলেন, ভারতকে কোন মতেই বাংলাদেশের বিমানবন্দর ব্যবহার করতে দেয়া যাবে না। তারা বলেন, স¤প্রতি বিমান প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলো থেকে যারা লন্ডন যেতে চান তাদের দিল্লি গিয়ে ফ্লাইটে উঠতে হয়। সেক্ষেত্রে তারা যদি সিলেট বিমানবন্দর থেকে লন্ডনের যাত্রী হন তাহলে কষ্ট কম হবে। ভারতকে রোড ট্রানজিট, ট্রানশিপমেন্ট, মংলা পোর্ট, চট্টগ্রাম পোর্ট দিয়ে কোন কিছুতেই বাংলাদেশ লাভবান হয়নি বরং সবকিছুই বাংলাদেশের জন্য আত্মঘাতি এবং সার্বভৌমত্বের প্রতি আঘাতস্বরূপ হয়েছে। সেক্ষেত্রে আবার বিমানবন্দর ট্রানজিট দেয়া মোটেই উচিত হবে না। কাজেই সরকারকে এরূপ আত্মঘাতি পদক্ষেপ থেকে সরে আসতে হবে।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সুইডেন এবং নরওয়েতে পবিত্র কুরআন শরীফের অনুলিপি পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা জানানো উচিত। বক্তারা আরও বলেন, ভারতীয় অনলাইন জুয়া ‘শিলং তীর’এ নিঃস্ব হচ্ছে বাংলাদেশীরা। অবিলম্বের এর বিরুদ্ধে সরকারি প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। সিলেটের সীমান্তবর্তী ভারতের শিলং ও গৌহাটি এলাকা থেকে চালু হয়েছে ‘শিলং তীর’ নামের জুয়া। এখন খোদ রাজধানীসহ বাংলাদেশের জেলায় জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে। এসব জুয়া খেলায় জড়িয়ে স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ সর্বশান্ত হচ্ছে। লোভে পড়ে খেলা সম্পৃক্ত হলেও অধিকাংশ অংশগ্রহণকারীদের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে জুয়া পরিচালনাকারীরা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন