বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

রাজশাহীতে শিক্ষাঙ্গন কেন্দ্রীক অর্থনীতি

চাকা শিক্ষার্থীরা ঘোরাচ্ছে

রেজাউল করিম রাজু : | প্রকাশের সময় : ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:০০ এএম

শিক্ষানগরী রাজশাহীর অর্থনীতিতে বড় ভ‚মিকা রাখে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। প্রতিদিন লেনদেন হয় কোটি কোটি টাকা। এখানে বিভিন্নস্থান থেকে বিশ্ববিদ্যালয়, রুয়েট, মেডিকেল কলেজ, সার্ভে ইনস্টিটিউট, পলিটেকনিক, মহিলা পলেটেকনিক, প্যারামেডিকেল, রাজশাহী কলেজসহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসে লাখ দেড়েক শিক্ষার্থী। করোনার কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা এসকল শিক্ষার্থী ফিরছে নিজ নিজ বাড়িতে। যার বিরূপ প্রভাব পড়েছে এখানকার অর্থনীতিতে। বহু মানুষের রুটি রুজি ছিল এদের উপর নির্ভরশীল। তারাও পথ চেয়ে আছে আগামী দিনগুলোর দিকে। প্রত্যাশা সহসাই খুলছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। মুখরিত হবে রাজশাহী। গতি লাভ করবে ব্যবসা বাণিজ্যর।

করোনায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থীরা ফিরেছে নিজ নিজ আবাসে। ছন্দপতন ঘটেছে জীবন যাত্রার। এসব শিক্ষার্থীর জন্য নগরীর আনাচে কানাচে গড়ে উঠেছে মেস, ছাত্রাবাস আর ছাত্রী নিবাস। যেমন টিন শেডের মেস রয়েছে তেমনি রয়েছে পাঁচ-সাত তলা ভবন। এসব ছাত্রবাস এখন খাঁ খাঁ করছে। শিক্ষার্থীরা না থাকায় মেস মালিকদের সাথে সাথে বিপাকে পড়েছে মেস ছাত্রাবাস কেন্দ্রীক কাজের বুয়া, রান্নার লোকসহ এর সাথে জড়িত অনেক মানুষ। এখন সবাই বেকার। মেস থেকেই বেতন আর খাবার মিলতো। এসব শিক্ষার্থীর কারণে নগরীর নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজার ছাড়াও বিভিন্ন বিপণী বিতান ছিল জমজমাট। এদের লক্ষ্য রেখেই নামী দামি ব্রান্ডের শো-রুম করা হয়েছে। আর আনাচে কানাচে গড়ে উঠেছে ফাস্টফুডের দোকান।

পদ্মার তীরজুড়ে রয়েছে যেমন ফাস্টফুডের দোকান। তেমনি ভ্রাম্যমাণ চা, কফি, ফুচকা, চটপটি, পেয়ারা, বারোভাজা আর মাসকালাইয়ের রুটির দোকান। এখন সব বন্ধ। ক’মাস ধরে চলছে করোনার মন্দা প্রভাব। আয় কমে গেছে রিকশাচালক মুচি আর সেলুনগুলোর। এদের মূল খদ্দের শিক্ষার্থীরা। এরাই মাতিয়ে রাখে পদ্মার তীরসহ বিভিন্ন ফাস্টফুড থেকে ফুটপাতের দোকানগুলো।

সবাই অপেক্ষার প্রহর গুনছে করোনার দুঃসহ অবস্থা থেকে মুক্তি পেয়ে ফের স্বাভাবিক জীবনের। ইতোমধ্যে অফিস আদালত চালু হয়েছে। মানুষও বিভিন্নভাবে করোনা নামক দানবের সাথে মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছে। ভর করা আতঙ্ক বেশ খানিকটা কাটিয়ে উঠেছে। প্রত্যাশা খুব শিগগিরই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বিধি মেনে খুলে যাবে। অনলাইনে শুরু হয়েছে একাদশে ভর্তি পরীক্ষা। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইনে ক্লাস শুরু করেছে। যদিও অসংখ্য কোচিং সেন্টার বন্ধ।

আগামী সেপ্টেম্বরে খুলতে পারে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমন প্রত্যাশায় নগরীতে ফিরতে শুরু করেছে অনেক শিক্ষার্থী। ফাস্টফুডের দোকানগুলো খুলতে শুরু করেছে। তাছাড়া প্রায় চারমাস নিজ গ্রাম আর বাড়িতে থাকতে থাকতে হাঁপিয়ে ওঠারা একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে ছুটে আসছে। সীমিত হলেও এখন অনেক মেস বাড়িতে তাদের পদচারণা। কবে খুলবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তা জানার জন্য সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে খোঁজ নেয়া। আর অবসরে পদ্মার পাড়ে আর বিনোদন কেন্দ্রগুলোয় সময় কাটানো। সবার প্রত্যাশা খুব শিগগিরই খুলবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আবারো জমে উঠবে প্রিয় ক্যাম্পাস, বাজার আর আড্ডার স্থানগুলো।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন