রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিনা চিকিৎসায় মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীর মৃত্যু এবং ইন্টার্ন চিকিৎসকদের হামলায় মুক্তিযোদ্ধা ও তার সন্তানের ওপর হামলার প্রতিবাদে গতকাল সকালে নগরীর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের রাজশাহী জেলা ও মহানগর ইউনিট কমান্ড মানববন্ধন করেছে। মানববন্ধনে মুক্তিযোদ্ধারা বলেছেন, রামেক হাসপাতালে চিকিৎসা অবহেলায় মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীর মৃত্যু এবং মুক্তিযোদ্ধা ও তার সন্তানের ওপর হামলার ঘটনাটি ঘটিয়েছেন ইন্টার্ন নামের কিছু মাফিয়া চিকিৎসক। এ হামলার ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই। আর বিচার না হলে মুক্তিযোদ্ধারা শরীরে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করবে। আগুন জ্বলবে পুরো রাজশাহীতে।
মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, ভালো চিকিৎসক হবার আগে ভালো মানুষ হতে হবে। কিন্তু চিকিৎসকরা চিকিৎসাসেবা দেন না। শুধু মুক্তিযোদ্ধারাই নন, দেশের সাধারণ মানুষও চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত। কিছু চিকিৎসককে মনে হয়, এরা মাফিয়া গ্যাংয়ের সদস্য। আর হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জামিলুর রহমান মাফিয়া সর্দার। ইন্টার্ন চিকিৎসকরা তার সহযোগী। তারা বলেন, রামেক হাসপাতালে বর্তমানে দুর্নীতি চরমে পৌঁছেছে। আর এ দুর্নীতি আড়াল করতেই হাসপাতালে সাংবাদিকদের প্রবেশ করতে দেন না পরিচালক। আমরা অবিলম্বে রামেক হাসপাতালে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার চাই। হাসপাতালের দুর্নীতি সাংবাদিকরা প্রকাশ করেন। জাতি জানতে চায়, চিকিৎসক নামধারী স্বাস্থ্য প্রশাসকরা দেশের অর্থ কীভাবে লুট করছে।
পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণার জন্য আগামী সোমবার ৭ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টায় রাজশাহী মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে সংবাদ সম্মেলন করা হবে বলেও মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে ঘোষণা করা হয়। মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, মুক্তিযোদ্ধাকে মারধরের বিচার নিশ্চিত করেই তারা ঘরে ফিরবেন। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। উল্লেখ্য, গত ২ সেপ্টেম্বর হাসপাতালে পারুল বেগম (৬৫) নামের এক নারীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। চিকিৎসকের গায়ে হাত তোলার অভিযোগে ওই নারীর ছেলেকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। রাজপাড়া থানায় একটি মামলা করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সেদিন বিকেলে আদালত থেকে জামিন নিয়ে রাকিবুল ইসলাম নামের ওই ব্যক্তি মায়ের দাফনের কাজে অংশ নেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন