রাজধানীর উত্তরখানে কলেজছাত্র সোহাগ হত্যাকান্ডের ঘটনায় আরও দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য (উত্তরা) বিভাগ। গ্রেফতারকৃতরা হলো-সাদ আল রাফী (২০) ও নাজমুল হুদা ওরফে নাদিম (২১)। সাদ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত তিন নস্বর আসামি। ডিএমপির গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য (উত্তরা) বিভাগের এডিসি কায়সার রিজভী কোরায়েশী জানান, সোহাগ হত্যাকান্ডের ঘটনাটি নিয়ে থানা পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের উত্তরা বিভাগ ছায়া তদন্ত করছিল। এর ধারাবাহিকতায় শনিবার রাজধানীর খিলগাঁও গোড়ান এলাকা থেকে আসামি সাদ আল রাফীকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় ওই দিন রাত সাড়ে ৯টার দিকে গাজীপুরের গাছা এলাকা থেকে হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত অপর আসামি নাজমুল হুদাকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানিয়েছেন, বন্ধু হৃদয়ের শরীরে রিকশার চাকা থেকে কাঁদা ছিটকে লাগে। পরে হৃদয় রিকশাচালককে মারধর করেন। এতে প্রতিবাদ জানান সোহাগ। পরে বাকবিতন্ডার একপর্যায় সোহাগ হৃদয়কে থাপ্পড় মারেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে হৃদয় ও মাহবুবুল ইসলাম ওরফে রাসেল ওরফে কাটার (২০) সোহাগের পেটে ছুরিকাঘাত করে। এরপর তারা সবাই সেখান থেকে পালিয়ে যায়। উল্লেখ্য গত ২৭ আগস্ট রাত সাড়ে ৮টার দিকে উত্তরখান থানার রাজবাড়ী খ্রিস্টানপাড়া এলাকায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোহাগকে ছুরিকাঘাত করেন একদল বখাটে। গুরুতর আহতাবস্থায় স্থানীয়রা সোহাগকে উদ্ধার করে উত্তরা নর্দান হাসপাতালে নিলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় পরদিন নিহত সোহাগের বড় ভাই মেহেদী হাসান সাগর একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ওই মামলার পরপর এজাহারভুক্ত চার নম্বর আসামি সাব্বির হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে হত্যাকান্ডের মূল আসামি মাহাবুবুল ইসলাম রাসেল ওরফে কাটার এবং হৃদয় এখনও পলাতক রয়েছেন। নিহত সোহাগ পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন