খুলনা মহানগরীর খালিশপুর লাল হাসপাতালের সামনের কফি হাউজে ছাত্রলীগ কর্মী হাসিবুর রহমান নিয়াজকে কুপিয়ে হত্যা মামলাটি প্রশসনে একটি চক্র তৎপর। খালিশপুর থানা মহিলা আ.লীগের সভাপতি শারমিন রহমান শিখা প্রকাশ্যে মামলার বাদী পরিবারকে হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাব সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেছেন হতাহতের অভিভাবকরা। গত ১৯ আগস্ট খালিশপুরের মি. ক্রিয়েটিভ কাটস্ এন্ড কফি হাউজে হাসিবুর রহমান নিয়াজকে কুপিয়ে হত্যা, নগর ছাত্রলীগের সদস্য মো. জুবায়ের হোসেন ও তার বন্ধু মো. রানাকে কুপিয়ে জখম করে সন্ত্রাসীরা।
এঘটনায় নিহত হাসিবুর রহমান নিয়াজের পিতা মো. হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে ২০জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলাটিতে এজাহারনামীয় সাত আসামিকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়েছে, গত ১৯ আগস্ট রাত সোয়া ৯টার দিকে খালিশপুর লাল হাসপাতালের সামনে কফি হাউজে হাসিব, জুবায়ের ও রানা কফি পান করছিল। ওই মুহুর্তে অতর্কিতভাবে ১৫/২০জন রামদা, চাইনিজ কুড়াল, চাপাতি নিয়ে তাদের ধাওয়া করে বাথরুমের দিকে নিয়ে যেয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করে। যা কফি হাউজের সিসি টিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ে। নিহত হাসিবের পিতা বাদী হয়ে খালিশপুর থানায় ২০ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করি। ভিডিও ফুটেজ থাকা ও এলাকার ছেলে হওয়ায় হত্যাকারীদের চিনতে কোন রকম ভুল হয়নি, এমনকি প্রশাসনেরও হওয়ার কথা নয়।
আরও বলেছেন, হত্যা মামলাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে এবং ন্যায় বিচার বাঁধাগ্রস্ত করতে নানা কুটকৌশল চলছে। খালিশপুর থানা মহিলা আ.লীগের নেত্রী শিখা নানাভাবে বাদী পরিবার-পরিজনকে হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন হতাহতের অভিভাবকরা। আ.লীগ নেত্রী শিখার ছেলে অন্তু এজাহারনামীয় ২নং আসামি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নিহত হাসিবের আব্বা মো. হাবিবুর রহমান ও আম্মা মোসা. নাছিমা বেগম, জখম জুবায়েরের আব্বা মো. আলতাফ হোসেন ও আম্মা মোসা. ফাতেমা বেগমসহ এলাকাবাসী।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন খালিশপুর থানা মহিলা লীগের সভাপতি শারমিন রহমান শিখা। তিনি বলেন, আমার ছেলে অন্তুর সাথে ওদের কোন শত্রুতা ছিল না। আরাফাত আমার ছেলের বন্ধু; সে ডেকেছিল বলে সেখানে গেছিল। তবে অন্তু হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত নয়। এঘটনার সঠিক তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন