বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

ভারতে অনেক মন্দিরে প্রসাদ হিসাবে দেয়া হয় গাঁজা!

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৪:৩৭ পিএম

ভারতের মদ খাওয়ার অনুমতি থাকলেও গাঁজা নিষিদ্ধ। সম্প্রতি, অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর তদন্তে বলিউডের বিভিন্ন তারকাদের গাঁজা খাওয়ার বিষয়টিও প্রকাশ হয়ে যাওয়ায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। কিন্তু, নিষিদ্ধ হলেও ভারতে অনেক মন্দির আছে যেখানে প্রসাদ হিসাবে দেয়া হয় গাঁজা।

উত্তর কর্নাটকে কয়েকটি মন্দির রয়েছে যেখানে, গাঁজাকে পবিত্র প্রসাদ হিসাবে মানেন সেখানকার কিছু সম্প্রদায়ের মানুষ। কর্নাটকের ইয়াদগির জেলার তিনথিনিতে রয়েছে মৌনীশ্বর মন্দির। জানুয়ারিতে বাৎসরিক মেলার সময় কৃষ্ণা নদীর পারের এই মন্দিরে প্রচুর ভক্ত জড়ো হন। সেই ভক্তদের প্রসাদ হিসাবে দেয়া হয় এক প্যাকেট করে গাঁজা। মৌনীশ্বর মন্দিরে প্রার্থনা করার পর তা সেবন করেন ভক্তরা। মন্দির কমিটির সদস্য গঙ্গাধর নায়ক বিষয়টি স্বীকারও করে জানিয়েছেন, গাঁজা প্রসাদ মৌনীশ্বরের ঐতিহ্য।

ইয়াদগির ও রাইচুরের বেশ কয়েকটি আশ্রমেও এই রীতি প্রচলিত আছে। রাইচুর জেলার সিন্ধানুর তালুকে রয়েছে অম্বা মঠ। সেখানকার সদস্য মহন্তেশের মতে ধ্যানশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে গাঁজা। তিনি বলেছেন, ‘এটা নেশার দ্রব্য নয়। অনন্ত আনন্দে পৌঁছানোর রাস্তা। অনেকে সপ্তাহে একদিন গাঁজা সেবন করেন ও ধ্যান করেন।’ একই বিশ্বাস ইয়াদগিরি জেলার শোরাপুর তালুকের সিদ্ধাবতা দামা শিবাযোগী আশ্রমের সদস্যদেরও। সেখানকার সিদ্ধারামেশ্বরা শিবাযোগী বলেছেন, ‘ধ্যানে মনোবনিবেশ করার জন্য গাঁজা খাই আমরা।’

সম্প্রদায়ের লোকেদের ভাবাবেগকে আঘাত করা থেকে বিরত থাকতে সব কিছু জেনে শুনেও ‘চোখ বন্ধ’ রাখে পুলিশ। এ ব্যাপারে রাইচুরের পুলিশ সুপার প্রকাশ নিত্যম বলেছেন, ‘গাঁজা যেখানেই পাওয়া যাচ্ছে, আমরা তা বাজেয়াপ্ত করছি। কিন্তু মন্দির বা মঠের ব্যাপারে নির্দিষ্ট করে কিছু জানা নেই।’ সূত্র: এবিপি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

আমার এক নিকটাত্মীয় মদ-গাঁজা সেবন করত। স্বামী-স্ত্রী প্রায় সময়মই ঝগড়া হতো, স্বামী তার স্ত্রীর গায়ে অনেক সময় হাত তুলত। স্ত্রীও খুব বেশী একটা ছাড় দিত না। আবার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অন্য পুরুষের সাথে দীর্ঘ দিন রাতে-বিরাতে গোপন ফোনালাপের অভিযোগ ছিল। তাদের দুই ছেলে আছে। স্বামী তার স্ত্রীর নামে ব্যাংক একাউন্টে ১৫-১৮ লাখ টাকার সম্পদ রেখেছিল। স্ত্রী বাপের বাড়ি গিয়ে সেগুলো হাত করে নেয় এবং নেশাখোর স্বামীর সংসার করবেনা বলে জানায়। এ অবস্থায় কয়েকটি ব্যর্থ আলোচনা বা বৈঠক হয়। প্রায় এক বছরের বেশী সময় পর স্ত্রী ওই স্বামীকে এক উকিলের মাধ্যমে ডাকযোগে ডিভোর্সলেটার পাঠায়। স্বামী বলে সে ওই লেটার রিসিভ ও সাইন করেনি। এর প্রায় এক বছর পর তার স্ত্রী ওই গোপন ফোনালাপের অভিযুক্ত ব্যক্তিকেই বিয়ে করে। প্রশ্ন হলো স্ত্রীর এ তালাক ও পরবর্তী বিয়ে ইসলামের বিধান মতে সঠিক ভাবে হয়েছে কি না? আর না হলে এখন করনীয় কি?

২১ জানুয়ারি, ২০২২, ৭:৪৮ পিএম

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন