শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ওসি-এসআইয়ের বিরুদ্ধে মাধবদীতে মামলা

ক্রসফায়ারের হুমকি দিয়ে চাঁদা দাবি

স্টাফ রিপোর্টার নরসিংদী থেকে | প্রকাশের সময় : ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:০১ এএম

ক্রসফায়ারের হুমকি দিয়ে চাঁদা দাবি ও আদায়ের অভিযোগে নরসিংদী সদর মডেল থানার সাবেক ও মাধবদী থানার বর্তমান ওসি সৈয়দুজ্জামানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। হুমায়ুন কবির মুন্সী নামে এক ফার্নিচার ব্যবসায়ী গত রোববার নরসিংদীর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন, একই থানার এসআই মুস্তাক ও তার সোর্স সবুজ মিয়া। আদালত মামলাটি তদন্ত করে ১৮ অক্টোবরের মধ্যে আদালতে রিপোর্ট পেশ করার জন্য র‌্যাব-১১ কে দায়িত্ব প্রদান করেছেন।
জানা গেছে, হুমায়ুন কবির মুন্সী নরসিংদী শহরের বানিয়াছল মহল্লার বটতলা বাজারের একজন পুরনো ফার্নিচার ব্যবসায়ী। গত ২১ জুন সন্ধ্যায় হুমায়ুন কবির ছেলে আতিককে দোকানে বসিয়ে বাসায় চলে যায়। এসময় নরসিংদী সদর মডেল থানার এসআই মুস্তাক ও তার সোর্স সবুজ মিয়া বটতলা বাজারে গিয়ে কবির মুন্সীর ছেলে আতিক, ইউসুফ মিয়া, মানিক মিয়া, রুবেল মিয়া ও শাহাদাত হোসেনসহ কতিপয় ব্যবসায়ীকে দোকান থেকে গ্রেফতার করে মারধর করে থানায় নিয়ে যায়। পরে এসআই মুস্তাক তারপর সবুজ মিয়াকে দিয়ে আতিককে থানা থেকে ছাড়িয়ে আনতে কবির মুন্সীকে খবর পাঠায়।
কবির মুন্সী ছেলে আতিককে ছেড়ে দেয়ার জন্য অনুরোধ জানালে ওসি সৈয়দুজ্জামান ও এসআই মুস্তাক তার নিকট ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে এবং চাঁদা না দিলে ক্রসফায়ারে দিবে বলে হুমকি প্রদান করে। কবির মুন্সী ছেলের প্রাণরক্ষা ও মুক্তির জন্য বাধ্য হয়ে ৫০ হাজার টাকা নগদ প্রদান করেন। এরপরও ওসি সৈয়দুজ্জামান ও এসআই মুস্তাক তার নিকট আরো দেড় লাখ টাকা দাবি করেন। দেড় লাখ টাকা দিতে না পারায় ওসি সৈয়দুজ্জামান এসআই মুস্তাক পরদিন একটি পুরনো ডাকাতির প্রস্তুতি মামলায় আসামি করে আতিককে কোর্টে চালান দেয়। পরে বিনা অপরাধে ২১ দিন হাজত খেটে সে জামিনে মুক্তি পায়। কবির মুন্সী বিষয়টি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানানোর প্রস্তুতি নিলে খবর পেয়ে এসআই মুস্তাক আতিককে ক্রসফায়ারের হুমকি দেয় এবং একটি পুরনো ডাকাতি মামলায় আসামি করে চার্জশিট প্রদান করে।
হুমায়ুন কবির মুন্সী সাংবাদিকদের জানান, তার ছেলে বা তার পরিবারের বিরুদ্ধে কোন থানায় একটি জিডিও নেই। শুধু মাত্র দেড় লাখ টাকা চাঁদা না দেয়ায় ওসি সৈয়দ্জ্জুামান ও এসআই মোস্তাক তাদের ওপর এই অমানবিক নির্যাতন চালাচ্ছে। মামলার ব্যাপারে ওসি সৈয়দুজ্জামান বলেন, তিনি এখনও কোন কাগজ পাননি। কোন ঘটনায় মামলা হয়েছে তাও তিনি জানেন না।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন