বিনা চিকিৎসায় স্ত্রীর মৃত্যু হলো। প্রতিবাদ করায় ছেলেকে পিটিয়ে পুলিশে দেয়া হলো। ছেলের সামনেই বুকে-পিঠে লাথি মারা হলো মুক্তিযোদ্ধার। তারপরও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা যখন হাত ধরে ক্ষমা চাইলেন তখন মন গলে গেল মুক্তিযোদ্ধার। ক্ষমা করে দিলেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অভিযুক্ত ইন্টার্ন চিকিৎসকদের। এই মুক্তিযোদ্ধার নাম ইসাহাক আলী। চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে তার বাড়ি।
গতকাল সোমবার সকাল ১০টার দিকে রাজশাহী সার্কিট হাউসে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে বসেন জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল। সেখানে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জামিলুর রহমান, মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল ডা. নওশাদ আলীও ছিলেন। তাদের উপস্থিতিতে অভিযুক্ত ইন্টার্ন চিকিৎসক শোভন সাহা ও আবদুর রহিম মুক্তিযোদ্ধার কাছে ক্ষমা চান।
পরে মুক্তিযোদ্ধারা নগরীর রেলগেট এলাকায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে পূর্বঘোষিত সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে রাজশাহী মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার ডা. আবদুল মান্নান বলেন, উভয়পক্ষের মধ্যে সমঝোতা করে দিলেন জেলা প্রশাসক। সেখানে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ক্ষমা চেয়েছেন। মামলার বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা ডা. আবদুল মান্নান বলেন, আমরা বলেছি মামলা নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করতে পারব না। তখন প্রশাসন বলেছে, মামলা তারা দেখবেন।
সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযুদ্ধকালীন গেরিলা কমান্ডার শফিকুর রহমান রাজা, কবি কুঞ্জের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক রুহুল আমিন প্রামানিক, মুস্তাফিজুর রহমান খান আলম, রবিউল ইসলাম, নাজিম উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন