টাঙ্গাইল জেলায় যমুনা ও ধলেশ্বরী নদীর ভাঙ্গনে দুই সহস্রাধিক বাড়ি-ঘর নদীগর্ভে বিলিন হয়েছে। সেই সাথে বিস্তুৃর্ণ ফসলী জমি নদীগর্ভে চলে গেছে। ভাঙ্গণ কবলিত এসব পরিবার গুলোর মধ্যে যাদের সামর্থ রয়েছে তারা অন্যত্র ঘর-বাড়ি তুলেছে। আর বেশির ভাগই এখনও মানবেতর জীবনযাপন করছে। সরকারি তেমন কোন সাহায্য পায়নি বলে অভিযোগ রয়েছে তাদের। প্রতি বছরই যমুনা ধলেশ্বরী নদীর ভাঙ্গনে শত শত পরিবার নিস্ব হয়ে পরে। ভাঙ্গন কবলিত এসব এলাকার মানুষ স্থায়ী বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ ও গাইড বাঁধ নির্মানের দাবি জানিয়েছে।
টাঙ্গাইল সদর উপজেলার কাকুয়া, হুগড়া, মাহমুদ নগর ও কাতুলী ইউনিয়েনর বিস্তৃর্ণ এলাকা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ৪ শতাধিক বসত ভিটা নদী গর্ভে চলে যাওয়ায় সর্বশান্ত হয়েছে পড়েছে নদী পাড়ের মানুষজন।
এদিকে ভূঞাপুর উপজেলার অর্জুনা, গাবসারা, গোবিন্দাসী এই তিনটি ইউনিয়নের নদীপাড়ের সহ¯্রাধিক বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। নাগরপুর উপজেলার ছলিমাবাদ, মোকনা, দপ্তিয়র ইউনিয়নের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ তিনশতাধিক বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলিন হয়েছে। বাসাইলের ঝিনাই নদী ভাঙ্গনে শতাধিক ঘর-বাড়ি বিলিন হয়েছে। কালিহাতী উপজেলার যমুনা সেতুর পূর্বপাড়ে গোহালিয়াবাড়ী ইউনিয়নের গড়িলাবাড়ী ও বেলটিয়া গ্রামের শতাধিক পরিবারের বাড়িঘড় নদী গর্ভে চলে গেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন