সিলেটের পাথর কোয়ারী খুলে দেবার দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছে বৃহত্তর সিলেট পাথর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। মঙ্গলবার স্থানীয় একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সিলেটের কোম্পানিগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর উপজেলায় পাথর কোয়ারিসমূহ খুলে দিয়ে লাখো শ্রমিক ব্যবসায়ীর জীবন-জীবিকা রক্ষা করা আহবান ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ। সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দরা বলেন, অত্র এলাকার শ্রমজীবী ও ব্যবসায়ী পাথর আহরণ করে যুগ যুগ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। সিলেটে বৃহৎ শিল্প-কারখানা না থাকার দরুণ কর্মসংস্থানের বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় এ পাথর কোয়ারিকে অবলম্বন করে বৃহৎ জনগোষ্ঠী নির্ভরশীল। বিগত কয়েক বছর পরিবেশ বিনষ্টের কারণে স্থানীয় প্রশাসন পাথর কোয়ারি সমুহ বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে এ পেশার সাথে সংশ্লিষ্ট লাখো মানুষের জীবনে নেমে এসছে গভীর অনিশ্চয়তা।
নেতৃবন্দরা আরো বলেন, কিছু দুবৃর্ত্ত প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় বোমা মেশিন দিয়ে পাথর উত্তোলনের কারণে পরিবেশের ক্ষতি ও শ্রমজীবি মানুষ পাথর আহরণ থেকে বঞ্চিত হয়। সাংবাদিকদের লেখনি ও প্রশাসনের কার্যকর ভুমিকার কারণে পাথর কোয়ারিগুলো বোমা মেশিন মুক্ত হয়। কিন্তু বোমা মেশিন বন্ধ করতে গিয়ে এলাকার পাথর কোয়ারি সমুহ বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। ফলে রোজগার বঞ্চিত লাখো জনগোষ্ঠী এ করোনাকালে চরম দু:সহ কষ্টে দিন কাটা্েচ্ছ।
এ অবস্থা উত্তরণের জন্য প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে বাঁচাতে পাথর আহরনের সুযোগ প্রদান অত্যন্ত জুরুরী বলে মত দেন নেতৃবৃন্দ।
সংবাদ সম্মেলনে বোমা মেশিন মুক্ত, পরিবেশ বান্ধব পাথর আহরণের সুযোগ করে অত্র অঞ্চলের শ্রমিক -ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষা করার জোর দাবী জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য ও উপস্থিত ছিলেন, আবদুল জলিল, দেলওয়ার হোসেন, রফিকুল হক, ইলিয়ান উদ্দিন সেলিম, সাইফুল ইসলাম, নুরুল আমিন, সিরাজুল ইসলাম, শওকত আলী বাবলু, সাব্বির আহমদ, রফিকুল ইসলাম, আজিজ উদ্দিন, আতিক প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন