শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

অনিশ্চয়তায় বিদেশমুখী কর্মীরা

বিদেশে কর্মস্থলে যেতে মুখিয়ে লাখো শ্রমিক সউদী আরবসহ মধ্যপ্রাচ্য ও মালয়েশিয়ায় কর্মস্থলে যেতে না পেরে শ্রমিকরা দিশেহারা : কর্মী পাঠাতে মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে কূটনৈতিক তৎপরতার প্রতি জ

শামসুল ইসলাম | প্রকাশের সময় : ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:০০ এএম

চরম উৎকন্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন সউদী আরবসহ মধ্যপ্রাচ্য এবং বিদেশমুখী ৫ লক্ষাধিক প্রবাসী কর্মী। যাদের পাঠানো রেমিটেন্সে দেশের রিজার্ভ বাড়ছে; করোনা মহামারির কারণে ফ্লাইট চালু না হওয়ায় তারা (অপেক্ষমান কর্মী) নিজ কর্মস্থলে ফিরতে পারছেন না। এর মধ্যে বিভিন্ন দেশে নিয়োগপ্রাপ্ত এক লক্ষাধিক নতুন স্ট্যাম্পিং করা কর্মীর ভিসার মেয়াদও শেষ হয়ে যাচ্ছে। বিদেশ যাওয়ার প্রস্তুতি নেয়া নতুন ভিসার কর্মীদের অফেরতযোগ্য খাতে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়ে গেছে। অপেক্ষমান এই কর্মীরা যথাসময়ে নতুন কর্মস্থলে যেতে না পারলে তাদের পরিবার বড় ধরনের আর্থিক সঙ্কটের মুখে পড়বেন; দেশ ক্ষতিগ্রস্থ হবে। এ অবস্থায় বিশেষজ্ঞরা বলছেন,বিদেশে কর্মী পাঠাতে মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে কূটনৈতিক তৎপরতার প্রতি জোর দেয়া উচিত। শ্রমিকরা বিদেশ যেতে না পারলে রেমিটেন্স প্রবাহ কমে যাবে।

করোনার কারণে দেশে ফিরে এসে বাকিরা (লক্ষাধিক) বিভিন্ন দেশ থেকে ছুটিতে এসে আটকে পড়েছেন। প্রবাসী এই কর্মীদের যথাসময়ে কর্মস্থলে পৌঁছাতে না পাড়লে তারা চাকরি হারাবেন। আর সম্ভাবনাময় শ্রমবাজার হাতছাড়া হয়ে যাবে। আটকেপড়া প্রবাসী কর্মীদের দ্রুত কর্মস্থলে ফেরাতে বায়রার নেতৃবৃন্দ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ চাচ্ছেন। মধ্যপ্রাচ্যের সর্বোচ্চ শ্রমবাজার সউদী আরবে প্রায় ২০ লাখ বাংলাদেশি কাজ করেন।
বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশ থেকে প্রতিদিন চাকরি হারিয়ে দেশে ফিরছেন বিপুল সংখ্যক প্রবাসী কর্মী। এসব কর্মী পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। অনেক প্রত্যাগত কর্মী অভিবাসন ব্যয়ের টাকাও তুলতে পারেননি। দেশে আসা প্রবাসী কর্মীদের পুর্নবাসনের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী দু’দফায় প্রায় ৭শ’ কোটি টাকা ঋণ দেয়ার অনুমতি দিয়েছেন। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের মাধ্যমে প্রত্যাগতদের এ ঋণ দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। প্রবাসী সচিব ড.আহমদ মনিরুছ সালেহীন এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। অবশেষে সউদীতে প্রবেশের অনুমতি পেয়েছে বাংলাদেশী কর্মীরা। এতোদিন করোনা প্রতিরোধে সউদী আরবে প্রবেশ নিষেধ থাকলেও এবার প্রবেশের অনুমতি পাচ্ছে বাংলাদেশ। সাথে আরো অনুমতি পাচ্ছে ২৫টি দেশ। সম্প্রতি সউদী সিভিল এভিয়েশন জেনারেল অথরিটি কিছু শর্তসাপেক্ষে এসব দেশের নাগরিকদের দেশটিতে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে। তবে কবে থেকে সউদীতে প্রবেশ করা যাবে তার নির্দিষ্ট তারিখ এখনো জানানো হয়নি। এই ২৫ দেশের তালিকায় নেই পার্শ্ববর্তী ভারত, পাকিস্তান, নেপাল ও শ্রীলঙ্কা রয়েছে। সম্প্রতি সউদী গেজেট জানিয়েছে, কতিপয় শর্ত পূরণ করে বাংলাদেশসহ ২৫টি দেশের নাগরিক সউদী আরবে ফিরে যেতে পারবেন।

এদিকে, ভিসা ও আবাসিক অনুমোদনের মেয়াদ আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছে সউদী আরব। এজন্য কোনো বাড়তি ফি দিতে হবে না। এর ফলে সুবিধা পাবেন শ্রমিক ও গৃহকর্মে নিয়োজিতরাও। যেসব শ্রমিক বা গৃহকর্মী করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে বিদেশে আটকা পড়েছে, আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ থাকার কারণে সউদী আরবে ফিরতে পারেননি বা পারছেন না, তারা এই সুবিধা পাবেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আরব নিউজ।

এতে বলা হয়, করোনাভাইরাসের কারণে বিদেশে আটকে পড়া অভিবাসীদের ‘রি-এন্ট্রি ভিসা’র বৈধতার মেয়াদ বৃদ্ধি করেছে সউদী আরবের জেনারেল ডিরেস্টরেট অব পাসপোর্ট (জাওয়াজাত)। এক মাসের মতো এই বর্ধিত মেয়াদে কোনো ফি নির্ধারণ করা হয়নি। কোভিড ১৯ মহামারির কারণে আন্তর্জাতিক যোগাযোগ নিষিদ্ধ থাকার ফলে অনেক মানুষ বিদেশে আটকা পড়েছেন। তারা সউদী আরবে ফিরতে পারেননি যথাসময়ে। ফলে এই নীতি কার্যকর হবে বিদেশি শ্রমিক ও গৃহকর্মে নিযুক্ত শ্রমিকদের জন্যও। এ ছাড়া যেসব বিদেশি সউদী আরব ত্যাগ করতে পারেননি অথচ তাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তারাও এই সুযোগ নিতে পারবেন ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। তবে বাণিজ্যিক পেশায় কর্মরত যেসব বিদেশি সউদী আরবে ফেরার অপেক্ষায় রয়েছেন তারাও এই সুযোগ নিতে পারবেন ইকামা বর্ধিতকরণসহ। এই সময়সীমা বর্ধিতকরণ স্বয়ংক্রিয়ভাবে ন্যাশনাল ইনফরমেশন সেন্টারের সঙ্গে সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করবে।

সম্প্রতি জি-২০ ভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের মধ্যে ভার্চুয়াল মিটিং হয় আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু করা নিয়ে। এর চারদিন পরে সউদী আরব এমন সিদ্ধান্ত প্রকাশ করল। সউদী আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান বলেছেন, এর ফলে জি-২০ এর সদস্য দেশগুলোর মধ্যে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে সহায়ক হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, আগস্ট মাসে দেশে প্রথমবারের মতো বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৯ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার বা তিন হাজার ৯৪০ কোটি ডলার অতিক্রম করেছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ তিন লাখ ৩১ হাজার কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এখন বৈধপথে রেমিট্যান্স আসছে। এছাড়া আমদানি ব্যয়ের চাপ কম, দাতা সংস্থা বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ ও জাইকার বৈদেশিক ঋণসহায়তা এবং বিশ্ব সংস্থার অনুদানের কারণে রিজার্ভ বেড়েছে। গত আগস্ট মাসের ২৭ দিনে ১৭২ কোটি ৫৮ লাখ ডলার দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসী কর্মীরা। গত বছরের পুরো আগস্ট মাসে ১৪৪ কোটি ৪৭ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল। এছাড়া চলতি বছরের জুলাইয়ে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ২৫৯ কোটি ৯৫ লাখ ডলার সমপরিমাণ রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন। একক মাস হিসেবে যা বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আহরণ। এর আগে সর্বোচ্চ রেকর্ড রেমিট্যান্স এসেছিল চলতি বছরের জুনে। ওই মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৮৩ কোটি ৩০ লাখ ডলার।

বিদেশের শ্রমবাজার ধরে রাখতে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশি মিশনগুলোর মাধ্যমে কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেছেন, বিদেশের শ্রমবাজারে দক্ষ জনশক্তি প্রেরণের লক্ষ্যে সরকার কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোতে যুগোপযোগী ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন নতুন নতুন ট্রেড চালুর পরিকল্পনা করছে। দক্ষ কর্মী তৈরির লক্ষ্যে ইতোমধ্যেই মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে একটি বিশেষায়িত বায়ো-মেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি ইনস্টিটিউট নির্মাণ করা হচ্ছে। দেশকে ভালবাসে বলেই প্রবাসী কর্মীরা দেশে বিপুল অংকের রেমিট্যান্স প্রেরণ করছে। ছুটিতে এসে আটকে পড়া প্রবাসী কর্মীরা যাতে স্ব স্ব কর্মস্থলে ফিরে যেতে পারেন সেব্যাপারে প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

বিএমইটি’র সূত্র জানায়, গত জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ১ লাখ ৮১ হাজার ২১৮ জন কর্মী বিদেশে চাকরি লাভ করেছে। এর মধ্যে শুধু সউদী আরবেই গেছে ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৯৭ জন কর্মী। মহিলা গৃহকর্মীই গেছে ১০ হাজার ৯৩০ জন। ২০১৯ সালে দেশটি ৬২ হাজার ৫৭৮ জন মহিলা গৃহকর্মী চাকরি লাভ করেছে।

বায়রার যুগ্ম মহাসচিব মিজানুর রহমান গতকাল ইনকিলাবকে বলেন, বায়রার চিঠি দেয়ার পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন দেশ থেকে ছুটিতে এসে আটকা পড়া ৫ লক্ষাধিক কর্মী যাতে দ্রুত নিজ নিজ কর্মস্থলে ফিরতে পারে এবং তাদের চাকরির চুক্তির মেয়াদ বহাল থাকে সেব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় বিদেশে মিশনগুলোর মাধ্যমে এবং সংশ্লিষ্ট দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের সাথে আটকা পড়া প্রবাসী কর্মীদের চাকরি বহাল রাখা এবং ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধির ব্যাপারে কূটনৈতিক উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।

মালয়েশিয়া থেকে ছুটিতে এসে বিপুল সংখ্যক প্রবাসী করোনাভাইরাসের কারণে ফিরে যেতে পারেনি। করোনাভাইরাসের কারণে মালয়েশিয়ায় বিদেশিদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের ফেরা হয়নি। কবে উঠবে নিষেধাজ্ঞা, কবে তারা ফিরতে পারবেন, তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। তাই অনিশ্চয়তায় হতাশা বাড়ছে ছুটিতে আসা মালয়েশিয়া প্রবাসীদের। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার আকাশপথে যোগাযোগ বন্ধ হয় গত মার্চে। পরবর্তীতে জুলাই মাসে শর্ত সাপেক্ষে ট্রানজিট যাত্রী ও মালয়েশিয়ার রেসিডেন্স পারমিটধারী, পেশাজীবী, শিক্ষার্থীদের প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়। তবে বাংলাদেশি প্রবাসী কর্মীদের মালয়েশিয়ায় যেতে ও দেশে ফেরার সুযোগ দেয়া হয়নি। তবে ৪ সেপ্টেম্বর ঢাকায় মালয়েশিয়া হাই কমিশন জানিয়েছে, ৭ সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশসহ ২৩ দেশের রেসিডেন্স পারমিটধারী, পেশাজীবী, শিক্ষার্থীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য।

রিক্রুটিং এজেন্সিজ ঐক্য পরিষদের সভাপতি মো. টিপু সুলতান ইনকিলাবকে বলেন, করোনা মহামারির করণে তিন লক্ষাধিক প্রবাসী কর্মী ছুটিতে এসে দেশে আটকা পড়েছেন। আরো লক্ষাধিক কর্মী নতুন ভিসায় স্ট্যাম্পিং করেও কর্মস্থলে যেতে পারছে না। করোনার কারণে বিভিন্ন দেশে লকডাউন কিছুটা শিথিল হয়েছে। কিন্ত ফ্লাইট চালু না হওয়ায় আটকে পড়া প্রবাসী কর্মীরা কর্মস্থলে যেতে না পারায় চরম উৎকন্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন। আবার প্রতিদিন চাকরি হারিয়ে বিভিন্ন দেশ থেকে প্রচুর প্রবাসী কর্মী খালি হাতে দেশে ফিরছে। আটকে পড়া প্রবাসী কর্মীদের দ্রুত কর্মস্থলে পাঠাতে ভ্রাতৃ-প্রতীম মুসলিম দেশগুলোর সাথে ব্যাপক কূটনৈতিক উদ্যোগ নিতে হবে। অন্যথায় সম্ভাবনাময় শ্রমবাজার হাত ছাড়া হবার আশঙ্কা রয়েছে। তিনি আরো বলেন, লক্ষাধিক নতুন কর্মীর ওকালা করা, পাসপোর্ট, স্বাস্থ্য পরীক্ষা, ট্রেনিং, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স, বহির্গমন ছাড়পত্র, ভিসা স্ট্যাম্পিং ও বিমানের টিকিট ক্রয় বাবদ প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়ে গেছে। যা’ অফেরতযোগ্য খাতে ব্যয় হয়েছে। এসব খাতগুলোতে যাতে নতুন করে বর্ধিত ব্যয় করতে না হয় দিকে সরকারকে কার্যকরি উদ্যোগ নিতে হবে।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, সউদী আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, কুয়েত, ইতালিসহ বিশ্বের ২৭ টি দেশ থেকে গত এপ্রিল মাস থেকে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পাঁচ মাসে এক লাখ ২ হাজার ২২৬ জন প্রবাসী দেশে ফিরেছে। এদের মধ্যে পুরুষ ৯৪ হাজার ২১০ জন এবং মহিলা কর্মী ৮ হাজার ১৬ জন। বিদেশ থেকে দেশে প্রত্যাগতদের কেউ বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ কওে আউটপাস, কেউ করোনার কারণে কাজ না থাকায় বা চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায় আবার কেউ ভিসার মেয়াদ না থাকায় এবং কেউ সাধারণ ক্ষমার আওতায় দেশে ফেরত এসেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ৩১ হাজার ৩৯৪ জন, সউদী আরব থেকে ২২ হাজার ৪২৭ জন, কুয়েত থেকে ৮ হাজার ২৩৭ জন এবং মালদ্বীপ থেকে দেশে ফিরেছে ৮ হাজার ৮২৩ জন। কাতার থেকে ফিরেছে ৮ হাজার ২২১ জন, ওমান থেকে ফিরেছে ৬ হাজার ৭১৫ জন এবং মালয়েশিয়া থেকে ফিরেছে ৩ হাজার ৪৩৫ জন। এদিকে, মালয়েশিয়া থেকে ছুটিতে এসে আটকে পড়া প্রবাসী কর্মীরা দেশটিতে দ্রুত ফিরে যাওয়া, পুর্নবাসনের জন্য সহজ শর্তে জরুরিভিত্তিতে ঋণ এবং ক্ষতিপূরণের দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। প্রত্যাগত প্রবাসী কর্মীরা অবিলম্বে কূটনৈতিক উদ্যোগ নিয়ে তাদের কর্মস্থলে যোগদান এবং ঋণ বরাদ্দের জোর দাবি জানান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (11)
Mohammed Roton Malik ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৩:১৪ এএম says : 0
ভিসার মেয়াদ শেষ,,করনার কারণে দেশে আটকে পড়া,, এখন আমার কি হবে সংসার চালাব কি ভাবে ?
Total Reply(0)
Jane Alam ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৩:১৫ এএম says : 0
অধিকার আদায় করলে এ দেশে দেশদ্রোহী বলা হয়...রেমিটেন্স যোদ্ধা টাকা দিতে পারলে,আর তারা খাদে পরলে উল্টা দেশের সুনামক্ষুন্ন কারী... তবে রেমিটেন্স যোদ্ধাদের সকল সুযোগ সুবিদা যথারীতি করে দেয়া এটা সরকারের দায়িত্ব আমাদের ও সময়ের দাবী
Total Reply(0)
পারভেজ ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৩:২৪ এএম says : 0
বিদেশের শ্রমবাজার ধরে রাখতে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়কে বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশি মিশনগুলোর মাধ্যমে কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত রাখতে হবে।
Total Reply(0)
আরাফাত ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৩:২৪ এএম says : 0
তাদের এই উৎকন্ঠা দূর করতে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে।
Total Reply(0)
রোদেলা ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৩:২৫ এএম says : 0
বিদেশে কর্মী পাঠাতে মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে কূটনৈতিক তৎপরতার প্রতি জোর দেয়া উচিত। শ্রমিকরা বিদেশ যেতে না পারলে রেমিটেন্স প্রবাহ কমে যাবে।
Total Reply(0)
আবদুর রহমান ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৩:২৬ এএম says : 0
লক্ষাধিক নতুন কর্মীর ওকালা করা, পাসপোর্ট, স্বাস্থ্য পরীক্ষা, ট্রেনিং, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স, বহির্গমন ছাড়পত্র, ভিসা স্ট্যাম্পিং ও বিমানের টিকিট ক্রয় বাবদ প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়ে গেছে। যা’ অফেরতযোগ্য খাতে ব্যয় হয়েছে। এসব খাতগুলোতে যাতে নতুন করে বর্ধিত ব্যয় করতে না হয় দিকে সরকারকে কার্যকরি উদ্যোগ নিতে হবে।
Total Reply(0)
মিনহাজ ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৩:২৭ এএম says : 0
প্রত্যাগত প্রবাসী কর্মীরা অবিলম্বে কূটনৈতিক উদ্যোগ নিয়ে তাদের কর্মস্থলে যোগদান এবং ঋণ বরাদ্দের ব্যবস্থা করা হোক
Total Reply(0)
Mohammed Shah Alam Khan ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৭:৫৯ এএম says : 0
বিদেশে কর্মরত প্রবাসী বংলাদেশীদের পাঠানো রেমিটেন্সের কারনেই বাংলাদেশ বৈদেশিক মুদ্রার অভাবে পড়ছে না। পূর্বে আমরা দেখেছি বাংলাদেশ বৈদেশিক মুদ্রার অভাবে মাঝে মধ্যে বেকায়দায় পরে যেত। এখন অবশ্য সরকার এসব বিষয় মাথায় রেখে মধ্যপ্রাচ্যের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করছে।
Total Reply(0)
বাবুল ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১০:৩০ এএম says : 0
বিষয়টি নিয়ে নিউজ করায় দৈনিক ইনকিলাব ও রিপোর্টারকে মোবারকবাদ জানাচ্ছি
Total Reply(0)
দুলাল ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১০:৩১ এএম says : 0
প্রবাসীদের ব্যাপারে আমাদের আরও আন্তরিক হওয়া জরুরী
Total Reply(0)
Jack Ali ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:০৩ পিএম says : 0
Government do not care about us-- whether we die or not-- Government from top to bottom -- they are enjoying their life by our remittance and our hard earned tax payer money..
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন