করোনা ক্রান্তিকালের মধ্যে নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধিতে দক্ষিণাঞ্চলের সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ এখন সীমাহীন পর্যায়ে। পেঁয়াজ, আদা, গোলআলুসহ সব ধরনের শাক-সবজির দাম সাম্প্রতিক সময়ের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। চালের দাম গত তিন মাসে কেজি প্রতি ৫-৭ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। গত একমাসে দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ২-৩ টাকা। দেশি পেঁয়াজ ইতোমধ্যে হাফ সেঞ্চুরী অতিক্রম করেছে। আদা ডাবল সেঞ্চুরীতে পৌঁছেছে। বরিশালের পাইকারি বাজারেই গতকাল প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪৫-৪৭ টাকা। আমদানিকৃত পেঁয়াজ ছিল ৪০ টাকা। যা ঠিক একমাস আগে কেজি প্রতি ১৫ টাকা কমে বিক্রি হয়েছে। খুচরা বাজারে গতকাল দেশি পেঁয়াজ ৫০-৫২ টাকা। আর আমদানিকৃত পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪৫ টাকা কেজি দরে। আদার খবর আরো খারাপ। প্রতি কেজি আদা ২শ’ টাকা কেজি দরে পাইকারি আর খুচরা ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি গোল আলু বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৩৭ টাকা।
এদিকে গত মাসের প্রবল বর্ষণ আর প্লাবনে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সবজি বাগান নষ্ট হবার কারণে বাজারে শাক-সবজির সঙ্কটের সাথে দামও বেড়েছে। ৫০ টাকা কেজির নিচে খুচরা বাজারে কোন সবজি মিলছে না। লাল শাক, পুই শাক, লাউ শাকের ছোট একটি আঁটির দাম এখন সর্বনিম্ন ৪০ টাকা।
গত নভেম্বরে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল এবং মে মাসে আম্পানের প্রবল বর্ষণে মাঠে থাকা শাক-সবজিসহ রবি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। সে ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার আগেই গত মাসে ভাদ্রের বড় অমাবশ্যায় সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে ফুসে ওঠা সাগরের জোয়ারের সাথে উজানের ঢল আর প্রবল বর্ষণে সব ধরনের শাক-সবজি নষ্ট হয়েছে।
ফলে বাজারে সব ধরনের শাক-সবজির সঙ্কটের সাথে দামও ঊর্ধ্বমুখী। অন্যান্য বছর বাজারে সবজির দাম বাড়লেও গোল আলুর ওপর নির্ভরশীল থাকত নিম্নবিত্ত ও নিম্ন-মধ্যবিত্তরা। কিন্তু এবার তাও সম্ভব হচ্ছে না আলুর মূল্যবৃদ্ধির কারণে। ফলে নিম্নবিত্তের কোন বিকল্প পথও নেই।
এদিকে এসব নিত্যপণ্যের সাথে সব ধরনের ডালের দামও বেড়েছে। মসুর ও মুগ ডাল ১২০-১২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। চিনি ও ভোজ্যতেলসহ অন্যান্য কিছু নিত্যপণ্যের দামও প্রতি কেজিতে ২-৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন