ক্ষমতার বাহাদুরীতে কম ছিলেন না ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা যুধিষ্টিপুর পোস্ট মাস্টার আমজাদ হোসেন। তার ছেলে মুমিনও ডাক পিয়ন।
সেকারণে যায় কোথায় ? বাপ-ছেলে মিলে বদ করতে চাইলেন এক প্রতিপক্ষকে। তাই মঞ্চস্থ করলেন সরকারী মালামাল ছিনতাইয়ের নাটক। কিন্তু বিধিবাম এখন তারা নিজেই ফেঁসে গেছেন পুলিশের জালে।
জানা যায়, গত ৮ই সেপ্টেম্বর ডাক পিয়ন মুমিন হোসেন নিজ এলাকায় ছিনতাইয়ের শিকার হোন। ছিনতাইকারীরা ৩০ টি রেজিস্ট্ররি চিঠি, নগদ ১লক্ষ ২০হাজার টাকা,কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক ও মুমিনের ৫৫ হাজার টাকা দামের মোবাইল ছিনতাই করে পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে স্থানীয় কয়েকজনের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন পোস্ট মাস্টার আমজাদ হোসেন।
এরপরও মালামাল উদ্ধারে ব্যাপক অভিযানে নামে ফেঞ্চুগঞ্জ থানা পুলিশ। রাতে পুলিশ টিমকে বিভিন্ন সন্দেহ জনক বাড়িতে নিয়ে যায় পোস্ট মাস্টারের পূত্র ডাক পিয়ন মুমিন হোসেন। কিন্তু মুমিনের আচরনে অফিসার ইনচাজের মনে সন্দেহের উদ্রেক হয়। তারপর মুমিন হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদে নিলে বেরিয়ে আসে প্রকৃত ঘটনা। সম্প্রতি প্রতিবেশী ১০বছরের এক শিশুর সাথে কথা-কাটাকাটি হয় মুমিনের। এক পর্যায়ে ওই শিশুকে চড়থাপ্পড় মাওে সে। পরবর্তীতে ওই শিশুর অভিভাবকদের সাথে বাকবিতন্ডতা হয় আমজাদ হোসেন ও মুমিন হোসেনের। এরই প্রতিশোধ নিতে সরকারি মালামাল ছিনতাইয়ের নাটক সাজিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে নিজেই ফেসে যান তারা।
ফেঞ্চুগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল বাসার মোহাম্মদ বদরুজ্জামান জানান, মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে জনসাধারণ ও পুলিশকে হয়রানির দায়ে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে পোস্টমাস্টার আমজাদ ও তার পূত্র মুমিনের বিরুদ্ধে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন