টাঙ্গাইলের সখিপুরে ১৪ বছরের এক আদিবাসী মেয়েকে তুলে নিয়ে গিয়েছিলেন শাহজালাল (২৫) নামের এক যুবক। এর দুইদিন পর সোমবার গভীর রাতে মেয়ের বাড়িতে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও সাবেক ছাত্রলীগের নেতার সমন্বয়ে এক শালিসি বৈঠক হয়। তখন মেয়ের পরিবারকে এক লাখ টাকা দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। উপজেলার কাকড়াজান ইউনিয়নের দোয়ানিচালা এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার রাতে প্রকৃতির ডাকে মেয়েটি বাইরে গেলে শাহজালাল তাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যান। এ ঘটনায় সোমবার রাতে মেয়ের ভাই কৃষ্ণ কুমার বর্মন বাদী হয়ে থানায় তিনজনের নামে একটি অভিযোগ দেন।
এরপর সোমবার গভীর রাতে মেয়ের বাড়িতে ওই শালিসি বৈঠক হয়। ছেলের পরিবারের পক্ষ থেকে মেয়ের পরিবারের জন্য খরচ বাবদ এক লাখ টাকা দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
শালিসি বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা স্বীকার করে ইউপি সদস্য জয়নাল আবেদীন বলেন, কাকড়াজান ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ফরিদুজ্জামান এবং আমি থাকাকালীন সময়ে টাকার কোনো আলাপ হয়নি। বিষয়টি মীমাংসা হয়েছে কিন্ত টাকার কোনো কথা আমি জানি না।
এ ঘটনায় শাহজালালের বাড়িতে গেলে ওই পরিবারের কোনো লোকজন পাওয়া যায়নি। শাহজালালের মামা সবুজ বলেন, মেয়েকে তার পরিবারের কাছে তুলে দিয়ে বিষয়টি মীমাংসা করা হয়েছে।
ইউপি চেয়ারম্যান তারিকুল ইসলাম বিদ্যুৎ বলেন, এ ঘটনায় সোমবার রাতে আপোষ মীমাংসা হয়েছে। এক লাখ টাকা লেনদেনের কথাও শুনেছি।
সখিপুর থানার সাব ইনস্পেক্টর মো. বদিউজ্জামান বলেন, এখনও আপস-মীমাংসার কোনো কথা শুনিনি। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন