শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অনুমতি ছাড়া মামলা নয়

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নিদের্শনা জারি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:০০ এএম

এখন থেকে সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুমতি ছাড়া কোনো মামলা করা যাবে না। এ আদেশ বাস্তবায়ানে আইন ও বিচার বিভাগের সচিবকে চিঠি দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। অনুমতি ছাড়া সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ায় মাঠপর্যায়ে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা ও অপরাধ প্রতিরোধ বা দমনে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ প্রায় বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে চিঠিতে বলা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব, সব মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিভাগীয় কমিশনার এবং জেলা প্রশাসকদের চিঠির অনুলিপি পাঠানো হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জেলা ম্যাজিষ্ট্রেসি পরিবীক্ষণ শাখার সিনিয়র সহকারি সচিব তৌহিদ ইলাহী স্বাক্ষরিত চিঠি এ তথ্য জানা গেছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, বিচারক, ম্যাজিস্ট্রেট বা কোনো সরকারি কর্মকর্তার কর্তব্য/দায়িত্ব পালনে কোনো কাজের জন্য সরকারের পূর্বানুমতি ছাড়া কোনো অপরাধ আমলে গ্রহণ করা যাবে না বলে কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর, ১৮৯৮ এর সাব-সেকশন-১ এর বিধান রয়েছে। জুডিশিয়াল অফিসার্স প্রটেকশন অ্যাক্ট, ১৮৫০ এর সেকশন-১ এ কোনো জজ, ম্যাজিস্ট্রেট বা কালেক্টরকে তার বিচারিক প্রকৃতির কার্যক্রম বা দেওয়া কোনো আদেশের কারণে ব্যক্তিগতভাবে দায়ী করে দেওয়ানি আদালতে মামলা দায়ের করা যাবে না।
চিঠিতে বলা হয়েছে, অপরাধ প্রতিরোধ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কার্যক্রম অধিকতর কার্যকর ও গতিশীলতার সঙ্গে সম্পাদনের জন্য পরিচালিত মোবাইল কোর্টের কার্যক্রমের বিষয়ে মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ এর ১৪ ধারায় বিধান রয়েছে যে, এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধির অধীন সরল বিশ্বাসে কৃত বা কৃত বলে বিবেচিত কোনো কাজের জন্য কোনো ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হলে, তিনি মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকারী এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট বা ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট বা মোবাইল কোর্ট পরিচালনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্য কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারীর বিরুদ্ধে কোনো দেওয়ানি বা ফৌজদারি মামলা বা অন্য কোনো প্রকার আইনগত কার্যধারা রুজু করতে পারবেন না। এছাড়াও কোড অব সিভিল প্রসিডিউর, ১৯০৮ এর সেকশন-৯ এবং অর্ডার-৭ রুল-১১(ডি) এ প্রযোজ্য ক্ষেত্রে দেওয়ানি আদালতে এখতিয়ার বারিত হওয়া ও আরজি খারিজের বিষয়ে সুস্পষ্ট বিধান রয়েছে।
চিঠিতে আরো বলা হয়েছে, স¤প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে, বিভিন্ন জেলায় জেলা প্রশাসক/জেলা ম্যাজিস্ট্রেট/ কালেক্টর, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সরকারি কর্মচারীদের সরকারি দায়িত্ব পালনের কাজের জন্য তাদের ব্যক্তিগতভাবে দায়ী করে মামলা রুজু করা হচ্ছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে সরকারের পূর্বানুমোদন নেওয়ার আইনি বাধ্যবাধকতা থাকলেও তা প্রতিপালিত হচ্ছে না। এতে করে আইনের ব্যত্যয় ছাড়াও মাঠপর্যায়ে শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষা ও অপরাধ প্রতিরোধ/দমনে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ প্রায় বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বিশেষ করে নদী, খাল, বিল, বন, জলাশয়সহ সরকারি সম্পত্তি ও স্বার্থরক্ষা, অবৈধ ক্ষতিসাধন, জবরদখল প্রতিরোধ ও উচ্ছেদ অভিযানে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের চিঠিতে বলা হয়েছে, যেকোনো সরকারি কার্যক্রম বা সিদ্ধান্তের বিষয়ে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি আইনে নির্ধারিত কর্তৃপক্ষের কাছে আপিল দায়ের কিংবা প্রতিকার চেয়ে ঊর্ধ্বতন প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করতে পারেন। কোনো কর্মচারীর আইনের গুরুতর অপপ্রয়োগ, এখতিয়ারবিহীন ক্ষমতা অনুশীলন কিংবা কোনো সিদ্ধান্তে মৌলিক অধিকার ক্ষুন্ন হওয়ার ক্ষেত্রে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি উচ্চ আদালতের আশ্রয় গ্রহণ করতে পারেন। অন্যদিকে অধঃস্তন আদালতগুলোর এখতিয়ার এবং কানো কোনো ক্ষেত্রে সেটি বারিত থাকবে, তা আইন দ্বারা সুনির্দিষ্ট রয়েছে।
এমতাবস্থায় বিচারক, ম্যাজিস্ট্রেট ও সরকারি কর্মচারীদের সরল বিশ্বাসে করা কাজের সুরক্ষা প্রদান সম্পর্কিত এবং বিচারিক/সরকারি দায়িত্ব পালনে কৃত বা এ মর্মে দাবিকৃত কাজের জন্য তাদের ব্যাক্তিগতভাবে দায়ী করে ফৌজদারি মামলা আমলে গ্রহণের আগে সরকারের পূর্বানুমতি গ্রহণের বিধান যথাযথ প্রতিপালন নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Jack Ali ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১১:৪২ এএম says : 0
In Islam even Khalipah is not above the Law... If we really call ourselves as muslim then we must rule our country by the Law of Our Creator The Al-Might The Omnipotent Allah[SWT] then all sort of crime will come down to 0 level.
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন