ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাময়িক বরখাস্ত দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক খন্দকার এনামুর বাছির জামিন চেয়ে আবারও হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছেন। গতকাল বুধবার তার পক্ষে জামিন প্রার্থনা করেন অ্যাডভোকেট জাহিদুল আলম। সাংবাদিকদের তিনি জানান, জামিন আবেদনটি হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি হতে পারে। এ নিয়ে খন্দকার এনামুল বাছির পশ্চমবারের মতো জামিন চাইলেন হাইকোর্টে। প্রতিবারই তা নামঞ্জুর হয়।
এদিকে দুদকের কৌঁসুলি খুরশিদ আলম খানা জানান, পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানকে দায়মুক্তি দিতে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নেয়ার জন্য ‘চুক্তি’ করেন খন্দকার এনামুল বাছির। সঙ্গে দাবি করেন একটি গ্যাসচালিত গাড়ি। ৪০ লাখ টাকার মধ্যে ২৫ লাখ টাকা গত ১৫ জানুয়ারি রমনা পার্কে বাজারের ব্যাগে করে নগদে নিয়েছেন দুদকের বরখান্ত হওয়া এই পরিচালক। তিনি দুদকের অনুসন্ধান ও তদন্ত-২ অনুবিভাগের দায়িত্বে ছিলেন। ঘুষ লেনদেনের অভিযোগের ঘটনা তদন্ত করে সত্যতা পাওয়ায় এনামুল বাছিরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পরে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দেয়া হয়। ২০১৯ সালের ২২ জুলাই দুদকের আরেক পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যা এনামুল বাছিরকে গ্রেফতার করেন।
খন্দকার এনামুল বাছির ১৯৯১ সালে অ্যান্টি করাপশন অফিসার (এসিও) হিসেবে তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরোতে যোগ দেন। দুর্নীতি দমন কমিশন গঠিত হওয়ার পর তিনি সহকারী পরিচালক, উপ-পরিচালক ও পরিচালক হিসেবে পদোন্নতি পান। ডিআইজি মিজান পুলিশের উচ্চপদে থেকে তদবির, নিয়োগ, বদলিসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িয়ে শত কোটি টাকার মালিক হওয়ার অভিযোগ পায় দুদক। দুদকের অনুসন্ধানের জন্য গত বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি কমিশনের উপ-পরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারীকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়। পরে ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারীকে বাদ দিয়ে এ ঘটনা তদন্তের দায়িত্ব পান এনামুল বাছির।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন