বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

আবারও ব্যর্থ হাতি উদ্ধার অভিযান

প্রকাশের সময় : ৯ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

জামালপুর জেলা সংবাদদাতা : কুড়িগ্রামের সীমান্ত দিয়ে ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদীপথে বন্যার পানিতে ভেসে আসা বুনো হাতিটি সোমবার রাতে মাদারগঞ্জ উপজেলার সিঁধুলি ইউনিয়নের চর ভাটিয়ানি গ্রামের বন্যার পানি থেকে উঠে আসে।
এ সময় বাংলাদেশের উদ্ধারকারী দল হাতিটকে উদ্ধারের জন্য দ্বিতীয় দফা অভিযান চালিয়ে ব্যর্থ হয়েছেন। হাতিটিকে সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সরিষাবাড়ী উপজেলার ধারাবর্ষা গ্রামে ফসলি জমির মাঠে জলাশয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। এ সময় শতশত দর্শনার্থীকেও ওই জলাশয়ের তীরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। বাংলাদেশী ১৭ সদস্যের হাতি উদ্ধার দলের প্রতিনিধি ডা. সাইদ হোসেন জানান, হাতিটি উদ্ধারের জন্য ভারত থেকে আসা তিন সদস্যের উদ্ধার দলের উপস্থিতিতে শনিবার দুপুরে প্রথম দফায় একটি অভিযান পরিচালিত হয়েছে। ওই সময় বুনো হাতির তাড়া খেয়ে উদ্ধার কাজে ব্যর্থ হয়ে ভারতীয় তিন সদস্যের প্রতিনিধিরা ফিরে গেছেন ঢাকা। এছাড়াও চট্টগ্রাম থেকে আনা পোষা হাতিটিও ফেরত পাঠানো হয়েছে। দ্বিতীয় দফা অভিযানে উদ্ধার দলের সদস্য ভেটেরিনারী সার্জন ডাঃ সাইদ হোসেন সোমবার রাত ১২টার দিকে বুনো হাতিকে লক্ষ্য করে ট্যাংকুলাইজার গান দিয়ে অজ্ঞান করার ওষুধ নিক্ষেপ করলে হাতিটি দ্রুত অন্ধকারে হারিয়ে যায়। এরপর গভীর রাত পর্যন্ত অনেক খোঁজাখোঁজি করেও হাতিটিকে না পেয়ে তারা উদ্ধার অভিযান সাময়িকভাবে স্থগিত করে সরিষাবাড়ী উপজেলা শহরে ফিরে যান। তবে সোমবার দুপুরে হাতিটিকে সরিষাবাড়ী উপজেলার কামরাবাদ ইউনিয়নের ধারাবর্ষা গ্রামে ফসলি জমির মাঠে ও ঝিনাই নদীর তীর ঘেঁষে হাঁটতে দেখে বাংলাদেশের ১৭ সদস্যের উদ্ধার দলটি আবারো হাতিটি উদ্ধারের জন্য পিছু নেয়। কিন্তু হাতিটি ধারাবর্ষা গ্রামের একটি জলাশয়ে সোমবার সকাল ১১টা থেকে টানা চার ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেছে। ওই জলাশয়ের একপাশে ঝিনাই নদী এবং অপর পাশের্^ ধারাবর্ষা নদী। ওই দুটি নদীর মাঝ দিয়ে ক্ষুদ্র পরিসরের ডাঙ্গা ও জলাশয়ে হাতিটি অবস্থান করায় হাতিটিকে উদ্ধারের জন্য তৃতীয় দফায় অভিযান পরিচালনা করা সম্ভব হয়নি।
বন্যপ্রাণি পরিদর্র্শক অসিম মল্লিক জানান, সরিষাবাড়ীতে বুনো হাতিটি উদ্ধারের জন্য আসা ভারতীয় প্রতিনিধিদের কাছে তারা বুনো হাতি উদ্ধারের কৌশল ও অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। তাই ভারতীয় প্রতিনিধিরা চলে গেলেও তাদের জানানো অভিজ্ঞতা নিয়ে বাংলাদেশের উদ্ধার দলের ১৭ জন প্রতিনিধি বুনো হাতিটিকে খুব কাছ থেকে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করছেন। তাই যেকোন সময় সুযোগ বুঝে কোন ডাঙ্গায় হাতিটিকে অজ্ঞান করে শিকলে বেঁধে উদ্ধার করে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে ট্রাকে তোলে উন্নত চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু সাফারী পার্কে নেয়া হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন