বিচারিক আদালতে জামিন প্রদান এবং তা বাতিলের বিষয়ে ৪ দফা নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো.হাবিবুল গনি এবং বিচারপতি মো.বদরুজ্জামানের ডিভিশন বেঞ্চ সম্প্রতি এ রায় দেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট ওয়েবসাইটে রায়ের পূর্ণাঙ্গ আদেশ প্রকাশিত হয়েছে।
নির্দেশনাগুলোর মধ্যে রয়েছে (এক) হাইকোর্ট ডিভিশন থেকে কোনো আসামি যদি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য জামিনে মুক্তি পান, তবে অধস্তান আদালত জামিনের সুস্পষ্ট অপব্যবহার ব্যাতীত সেই জামিন বাতিল করতে পারবেন না। (দুই) নির্দিষ্ট সময়ের জন্য জামিনে মুক্তি পাওয়া ব্যক্তি যদি অধস্তন আদালতে নিয়মিত হাজিরা দেন, শুধু হাইকোর্টের জামিনের এক্সেনশন অর্ডার না থাকার কারণে অধস্তন আদালত তার জামিন বাতিল করে জেলহাজতে পাঠাতে পারবেন না। (তিন) নির্দিষ্ট সময়ে জামিন পাওয়ার পর যদি সেই সময় পার হয়ে যায় তবে হাইকোর্টে আসামি যেই রুল বা আপিলে জামিন পেয়েছেন সেই রুল বা আপিল নিষ্পত্তি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। (চার) বিচারিক আদালত হাইকোর্টের দেয়া জামিন কোনো অবস্থাতেই হাইকোর্ট যেই রুলে বা আপিলে জামিন দিয়েছেন তা খারিজ না হওয়া পর্যন্ত বাতিল করতে পারবেন না। তবে যদি হাইকোর্ট কোনো শর্তসাপেক্ষে জামিন দেন, সেই শর্ত ভঙ্গ করলে জামিন বাতিল করা যাবে।
এদিকে হাইকোর্টের এ আদেশের ফলে সংশ্লিষ্ট বিচারপ্রার্থীদের ভোগান্তি কমবে বলে মনে করছেন আইনজীবীরা।নিম্ন আদালতের বিচারকগণও স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে এসব নির্দেশনা মেনে কাজ করতে পারবেন। আগে বিভিন্ন মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিনের মেয়াদ বর্ধিত না হওয়ায় জামিনের কোনো অপব্যবহার না করলেও আসামিদের জেলে যেতে হতো। এ রায়ের ফলে বিচারপ্রার্থীদের আর সেই ভোগান্তি থাকল না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন