নোয়াখালী পৌরসভার আইয়ুবপুর অভিযান চালিয়ে কিডনীর নকল ওষুধ জব্দ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। ঘটনায় জড়িত থাকায় ডা. সালাহ উদ্দিন মাহমুদ নামের এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। পরবর্তীতে জব্দকৃত ওষুধগুলো ধ্বংস ও আটককৃত ব্যক্তিকে কারাদন্ড প্রদান করা হয়। জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) এর তথ্যেও ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে আটককৃত ডা. সালাহ উদ্দিন মাহমুদকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানিয়া আক্তার। দন্ডপ্রাপ্ত সালাহ উদ্দিন মাহমুদ উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর গ্রামের জয়নাল আবেদিনের ছেলে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, এনএসআই এর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানিয়া আক্তার এর নেতৃত্বে পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড আইয়ুবপুর গ্রামের ঝ.ঈ.ও চাঃ. খরসরঃবফ নামের একটি ভুয়া ওষুধ তৈরির কারখানায় অভিযান চালানো হয়। এসময় ওই কোম্পানীর লগো সম্বলিত প্যাকেট ব্যবহার করা কিডনী রোগের নকল ওষুধসহ বিভিন্ন রোগের অন্তত ১৫-২০লাখ টাকার ওষুধ জব্দ করা হয়। উক্ত ওষুধগুলো কর্তৃপক্ষের কোন প্রকার অনুমোদন ছাড়া, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, বিপদজনক ভাবে তৈরি ও বাজার জাত করার অপরাধে প্রতিষ্ঠানটির মালিক ডা. সালাহ উদ্দিন মাহমুদকে আটক করা হয়। রাতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আটককৃত সালাহ উদ্দিনকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান ও একই সাথে জেলা ড্রাগ সুপার কার্যালয়ের সহকারি পরিচালকের উপস্থিতিতে জব্দকৃত ওষুধগুলো ধ্বংস করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন