ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন অঞ্চল-১ এর আয়োজনে গতকাল উত্তরা ৬ নং সেক্টরে অবস্থিত ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন কমিউনিটি সেন্টারে মেয়র আনিসুল হকের নেতৃত্বে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ভবন মালিক, ব্যবসায়ী, শিক্ষক-ছাত্রসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার প্রায় ৪০০ অংশগ্রহণকারী সরাসরি মেয়র আনিসুল হকের কাছে তাদের আশা-আকাক্সক্ষা, অভিযোগ ও পরামর্শ তুলে ধরেন। মেয়র মনোযোগ সহকারে সকলের কথা শোনেন। তিনি তাঁর বক্তব্যে উত্তরায় চলমান উন্নয়ন প্রকল্পসমূহের বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করেন। ১২০ কোটি টাকা ব্যয়ে উত্তরায় চলমান বছরের অন্যান্য কর্মসূচির বিষয়েও তিনি তাঁর পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন। নগরীর পরিচ্ছন্নতা রক্ষার্থে দোকান ও ভবনের সামনে আর্বজনা না ফেলা, রাস্তা ও ফুটপাতে অবৈধভাবে নির্মাণ সামগ্রী ফেলে না রাখা, ভবনের র্যাম্প ফুটপাত বা রাস্তা পর্যন্ত প্রসারিত না করা, নগরীর সবুজায়নের লক্ষ্যে বাসাবাড়ির ছাদ ও অব্যবহৃত স্থানে গাছ লাগানো, বিদ্যমান পার্ক ও বিনোদনস্থানগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ এসবক্ষেত্রে মেয়র উপস্থিত সকলের সহযোগিতা চান। বিদ্যমান ভবনসমূহে দীর্ঘদিন রং করা না হলে আগামী ছয় মাসের মধ্যে তিনি ভবনমালিকদের মার্জিত বর্ণের রং করার পরামর্শ দেন। উন্নয়ন কর্মকাÐ পরিচালনার জন্য কেটে ফেলা গাছের প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, আমরা পাঁচশ’ গাছ কেটে ত্রিশ হাজার নতুন গাছ লাগিয়েছি। তিনি বলেন, নিরাপত্তার স্বার্থে সিসি ক্যামেরা স্থাপনসহ ঢাকার ডিপ্লোমেটিক জোনের ভবনমালিক সোসাইটিগুলোর সহায়তায় বেসরকারি নিরাপত্তাবাহিনী এবং নির্দিষ্ট বর্ণের রিকশা চালু করা হচ্ছে। এই রিকশাচালকদের নিরাপত্তা বিষয়ে মৌলিক প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, শীঘ্রই ঐ এলাকায় ‘ঢাকা-চাকা’ নামে বিশেষ এয়ারকন্ডিশন্ড বাস সার্ভিস চালু হচ্ছে। মেয়র সম্প্রতি চালু হওয়া “নগর” অ্যাপ সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ দেন এবং বলেন, এই অ্যাপের মাধ্যমে আপনাদের যে কোন অভিযোগ আমি সরাসরি দেখতে পাব। এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, মেয়রকে আপনারা যে কোন প্রয়োজনে পাশে পাবেন; আপনারাও মেয়রের কাজে সহায়তা করুন এবং শৃঙ্খলার মাধ্যমে সকল সমস্যার সমাধান করুন।
অনুষ্ঠানে ডিএনসিসি’র প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা, অঞ্চল-১ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা, স্থানীয় কাউন্সিলর ও মহিলা কাউন্সিলরসহ ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। Ñপ্রেস বিজ্ঞপ্তি
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন