ইহুদিবাদি ইসরায়েলের সাথে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইনের সম্পর্ক স্থাপনে সাফল্য দেখিয়ে আসন্ন মার্কিন নির্বাচনে বেশ সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ক্ষমতা ধরে রাখতে এবার একসঙ্গে আরও দুই প্রতিশ্রুতি দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি জানালেন, নভেম্বরের নির্বাচনে জিতে এলে প্রথম মাসেই ইরানের সঙ্গে নতুন চুক্তি করবেন। আর দ্বিতীয়ত, ফিলিস্তিনকে নিয়ন্ত্রণে এনে পশ্চিম এশিয়ায় শান্তি ফেরাবেন।
আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর হোয়াইট হাউসে যাচ্ছেন সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও ইসরায়েলের প্রতিনিধিরা। সেখানেই ইসরায়েলের সাথে বাকি দুই দেশের মধ্যে আনুষ্ঠানিক শান্তিচুক্তি সাক্ষর হওয়ার কথা। আগাম এই চুক্তির কথা মাথায় রেখে ইতিমধ্যেই ২০২১-এর নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য ট্রাম্পকে মনোনীত করেছেন নরওয়ের পার্লামেন্ট-সদস্য টিবরিং জেড্ডে। ভোটের মুখে এ থেকে বাড়তি সুবিধা নিয়েই ট্রাম্প দাবি করলেন, ‘এই চুক্তি সই হয়ে গেলে দেখবেন পশ্চিম এশিয়ার অনেক দেশই শান্তি চেয়ে আমেরিকার দ্বারস্থ হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘অনুদান হিসেবে এতদিন বছরে ৭৫ কোটি ডলার দেয়া হচ্ছিল ফিলিস্তিনকে। কিন্তু ওরা শান্তি স্থাপনে আগ্রহ দেখাচ্ছিল না বলে, সম্প্রতি ওই অনুদান বন্ধ করেছি। চুক্তি হয়ে গেলেই ব্যাপারটা নিয়ে ভাবব।’
ইরানের সঙ্গে নতুন চুক্তির ব্যাপারেও আত্মবিশ্বাসী ট্রাম্প। তার যুক্তি, ‘জিডিপি ২৫ শতাংশেরও বেশি কমে যাওয়া ইরান ধুঁকছে এখন। আমার আশা, আমেরিকার সঙ্গে চুক্তি করে ফের সাফল্যের মুখ দেখবে তেহরান।’ তবে, মার্কিন কূটনীতিকদের একাংশ বলছেন, দেশে বাড়তে থাকা বেকারত্ব আর করোনা-মোকাবিলায় প্রশাসনিক ব্যর্থতা থেকে ভোটারদের নজর ঘোরাতেই ট্রাম্প এখন ইরান-ইসরায়েলের কথা বলছেন। এ দিকে আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়া নাক গলাতে চাইছে, এই অভিযোগে শুক্রবারই তিন রুশ বংশোদ্ভূত এবং মস্কো-ঘনিষ্ঠ ইউক্রেনের এক পার্লামেন্ট সদস্যের উপরে নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে ট্রাম্পের প্রশাসন। ওই তিন রুশ নাগরিক রাশিয়ার ইন্টারনেট রিসার্চ এজেন্সিতে কর্মরত বলে দাবি ওয়াশিংটনের। সূত্র: বিবিসি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন