শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের দিকে এগুচ্ছে ইইউ

বেক্সিট-পরবর্তী প্রথম গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য চুক্তি জাপান-যুক্তরাজ্য

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:০১ এএম

চূড়ান্ত ব্রেক্সিট পরিকল্পনায় আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের সিদ্ধান্তে অনড় ব্রিটেন। প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন পার্লামেন্টে সিদ্ধান্তে অবিচল থাকার কথা জানিয়েছেন। এরপর ইউরোপীয় ইউনিয়নে মুখ্য সমঝোতাকারী মাইকেল বার্নিয়ের বলেছেন, ইইউ বছরের শেষ দিকে চুক্তিহীন ব্রেক্সিট পরিকল্পনার দিকেই এগুচ্ছে। বৃহস্পতিবার লন্ডনে ব্রিটেনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনার বার্নিয়ের বলেন, ব্রিটেন ইইউর মূল নীতি এবং স্বার্থের দিকটাকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। যদিও ব্রিটেন এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। রয়টার্সের খবরে বলা হয়, স্থানীয় সময় শুক্রবার বেক্সিট-পরবর্তী প্রথম গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য চুক্তি ঘোষণা করেছে যুক্তরাজ্য। আর এ চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে জাপানের সঙ্গে। ডিপার্টমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড জানিয়েছে, নতুন এ চুক্তি মোটাদাগে বর্তমানের ইউরোপীয় ইউনিয়ন-জাপান চুক্তির মতোই, যার মূল্যমান হবে ১ হাজার ৫২০ কোটি পাউন্ড। খবর এএফপি। যুক্তরাজ্য ও জাপানের মধ্যে এই বিস্তৃত অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সচিব লিজ ট্রাস ও জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তোশিমিৎসু মোতেগির মধ্যে। এক ভিডিওকলের মাধ্যমে তারা এ চুক্তি সম্পাদন করেন। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে বলেন, ‘আমরা এ চুক্তির মধ্য দিয়ে আমাদের বাণিজ্যনীতি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছি। একই সঙ্গে ভবিষ্যতেও একটি বাণিজ্যিক দেশ হিসেবে ইইউর বাইরে আমাদের সাফল্য অব্যাহত থাকবে।’ ট্রাস এ চুক্তিকে যুক্তরাজ্য ও জাপানের জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত হিসেবে উল্লেখ করেছেন, যা ট্রান্স-প্যাসিফিক পার্টনারশিপে যোগদানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। চুক্তিটি বর্তমান ইইউ চুক্তি থেকে অনেক বেশি এগিয়ে রয়েছে। এর মধ্য দিয়ে ব্রিটিশ ব্যবসা খাত, বিশেষ করে ম্যানুফ্যাকচারিং, খাদ্য ও পানীয় এবং প্রযুক্তি খাত দারুণ লাভবান হবে। অন্যদিকে জাপানের পক্ষে মোতেগি বলেন, চুক্তিতে পোশাক থেকে প্রযুক্তি ও স্কচ হুইস্কির মতো বিভিন্ন বাণিজ্য খাত অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, ১ জানুয়ারি থেকে চুক্তিটি কার্যকর হবে। তার মতে, চুক্তিটি নিয়ে বেশ কঠিন আলোচনা করতে হয়েছে। কিন্তু তিন মাসের মধ্যেই ঐকমত্যে পৌঁছানো গেছে, যা বেশ দ্রুতই বলা চলে। এ চুক্তির আওতায় দুই দেশের মধ্যে প্রায় ৯৯ শতাংশ রফতানি শুল্কমুক্তভাবে সম্পন্ন হবে। রফতানি ক্ষেত্রে বিশেষ নজর দেয়া হবে খাদ্য ও পানীয় এবং ফিন্যান্স ও প্রযুক্তি খাতে। রয়টার্স, এএফপি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন