শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

কাতারে আফগান-তালেবান আলোচনায় শুরু হয়েছে দরকষাকষি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১১:১৩ এএম

দীর্ঘ চেষ্টার পর অবশেষে প্রথমবার আলোচনায় বসেছেন আফগান সরকার ও তালেবান প্রতিনিধিরা। কয়েক মাস পেছানোর পর গতকাল শনিবার কাতারের রাজধানী দোহায় এই দরকষাকষির আলোচনা শুরু হয়েছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা এসব তথ্য জানিয়েছে।
উদ্বোধনী দিনে আফগান সরকারের প্রতিনিধিদল যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব করেছে। আর তালেবানের দাবি, আফগানিস্তানে ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠা করা। দুই দশকের রক্তঝরা দুঃসহ দিনগুলো ভুলে শান্তি ফেরাতেই ঐতিহাসিক এই বৈঠক।
অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আফগানিস্তানের জাতীয় পুনর্মিলনী পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আবদুল্লাহ, তালেবানের উপনেতা মোল্লা আবদুল গনি বরদার ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। সোমবার দুই পক্ষের মধ্যে আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু হবে।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আবদুল্লাহ আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, আমরা যদি একটি মর্যাদাপূর্ণ ও স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার কাজে হাত মেলাই এবং সততার সাথে কাজ করি, তাহলে দেশে চলমান দুর্দশার অবসান হবে।’ তিনি ‘মানবিক’ কারণে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান।
তালেবানের উপনেতা মোল্লা আবদুল গনি বরদার বলেন, ‘আমার দলের পক্ষ থেকে আমি আফগানিস্তানে ইসলামী ব্যবস্থা প্রণয়নের কথা পুনর্ব্যক্ত করছি। আমরা চাই আফগানিস্তান একটি স্বাধীন ও উন্নত দেশ হোক এবং এতে ইসলামিক ব্যবস্থা কায়েম হোক, যেখানে এর সব নাগরিক নিজেদের আদর্শের প্রতিফলন দেখতে পাবে।’
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পম্পেও বলেন, ‘আপনাদের ভবিষ্যৎ রাজনীতির রূপরেখা আপনাদেরই তৈরি করতে হবে। সেটা ঠিক করতে হবে খোলা মন নিয়ে আলাপ-আলোচনার মাধ্যম্যই।’ তিনি বলেন, দুই পক্ষকেই একে অপরের কথা বুঝতে হবে। দুই পক্ষকেই নিপুণভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। পুরো বিশ্ব আপনাদের দিকে তাকিয়ে আছে। তারা আপনাদের সফলতা দেখতে চায়।
উদ্বোধনী ভাষণে কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল্লাহ আল থানি বলেন, ‘দুই পক্ষকেই বিভাজনের ঊর্ধ্বে উঠতে হবে। কাউকে এককভাবে বিজয়ী হওয়ার মনোভাব ত্যাগ করতে হবে।’
আফগানিস্তানবিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ প্রতিনিধি জালমে খলিলজাদ বলেছেন, আলোচনার ফলে দেশে যুদ্ধের সমাপ্তির আশা বাড়লেও এখনো অনেক চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে।
আলোচনার টেবিলে পাঁচজন মহিলা প্রতিনিধি রয়েছেন, যারা আলোচনার সময় নারীর অধিকার রক্ষার এবং সুরক্ষার দায়িত্ব পালন করবেন। আফগান সরকার বর্তমান গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক ব্যবস্থা সমর্থন করে; কিন্তু তালেবান ইসলামী শাসনব্যবস্থার পুনঃপ্রতিষ্ঠা চায়। সূত্র : আল-জাজিরা

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (4)
Jack Ali ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১১:১৬ এএম says : 0
Taliban must not agree to led their country by kaffir law-- Democracy-- they must rule by the Law of Allah.. then Allah will solve their numerous social problems..
Total Reply(0)
নুরুল আনওয়ার ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ২:১১ পিএম says : 0
হে আহকামুল হাকিমিন! যারা তোমার জমিনে তোমার শাসন ব্যবস্থা কায়েম করতে চায়, তুমি তাদের বিজয় দান করো। যারা তোমার জমিনে গাইরুল্লাহর শাসন ব্যবস্থা কায়েম করতে চায়, তুমি তাদের ধ্বংস করে দাও।
Total Reply(0)
Faruk Mohammad Noyam ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৩:১৩ পিএম says : 0
আল্লাহ তালেবানদের বিজয় দাও
Total Reply(0)
Bhaskar Das ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৪:৪৭ পিএম says : 0
No Islamic Administration. We want a pure Democracy in Afghanistan
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন