বিশেষ সংবাদদাতা : প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগে পর পর ২ মওশুমে ছিলেন আবাহনীতে। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে অমিতব্যয়ী বোলিং করবেন বলে লেগ স্পিনার জুবায়ের হোসেনকে একাদশে সুযোগ দেয়নি আবাহনী টীম ম্যানেজমেন্ট ২০১৪-১৫ মওশুমে। সর্বশেষ প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগে আবাহনীর হয়ে প্রথম ম্যাচে কলাবাগান ক্রীড়া চক্রের বিপক্ষে ৬ উইকেট পাবার পরও দলে ব্রাত্য, খেলার সুযোগ পেয়েছেন সব মিলে মাত্র ৭ ম্যাচ। অথচ, এই লেগ স্পিনারই হাতুরুসিংহের ট্র্যাম্প কার্ড। ২০১৪ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের টেস্ট সিরিজ জয়ে রেখেছেন অবদান, ৬ টেস্টে ১৬ উইকেটে দীর্ঘ পরিসরের ম্যাচেই মানাচ্ছে বেশ জামালপুরের এই ছেলেটিকে।
তিন ভার্সনের ক্রিকেটে যখনই পেয়েছেন সুযোগ, দিয়েছেন কোচের আস্থার প্রতিদান। বলে ফ্লাইট দিতে পারেন,আছে ভেরিয়েশন,গুগলিতেও পারদর্শি। এখন তার লক্ষ্য একটাই স্কিলে আরো উন্নতিÑ‘জাতীয় দলে ঢোকার পর থেকেই চেষ্টা ছিল নিজের বোলিংয়ের উন্নতি করা। স্কিল আরও বাড়িয়ে নেওয়া। ভেরিয়েশনের কারণে স্টক বলে একটু সমস্যা হচ্ছে। ’
টেস্টে অপরিহার্য হয়েও কেন ঘরোয়া ক্রিকেট লীগ প্রিমিয়ার ডিভিশনে ব্রাত্য, নিজের কাছেই সে প্রশ্ন জুবায়েরেরÑ‘ ধরতে গেলে এবারই কিন্তু আমার প্রথম প্রিমিয়ার লিগ। শুরুটা যেভাবে করেছিলাম শেষটা সেভাবে করতে পারিনি। পর পর দুটি ম্যাচে আমি উইকেট না পাওয়ার কারণে মনোবল ভেঙ্গে গিয়েছিল।’
এখন তার লক্ষ্য ফিটনেস ফিরে পাওয়াÑ‘ একটু মোটা হয়ে গিয়েছিলাম। এটা কমানো কোনও কঠিন বিষয় নয়। দুই এক মাস কষ্ট করলেই কমে যাবে। এটা নিয়েও কাজ করছি। ’ দীর্ঘদিন পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরছে বাংলাদেশ,তা নিয়ে অবশ্য সমস্যার কিছুই দেখছেন না এই লেগ স্পিনারÑ‘ কিছুদিন আগে প্রিমিয়ার লিগ খেলেছি, এখন ক্যাম্প করছি। ব্যক্তিগতভাবে মুশফিক ভাইয়ের সঙ্গে অনুশীলন করছি। অনেক আগে থেকেই আমি, তাইজুল ভাই এবং মুশফিক ভাই আলাদা ভাবে প্র্যাকটিস শুরু করে দিয়েছি। মুশফিক ভাইয়ের পরামর্শ নিচ্ছি।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন