শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

অগ্রাধিকার দেবে সরকার

ভূমি ব্যবস্থাপনায় ও নগর প্রশাসন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:০১ এএম

বর্তমান সরকারের রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়ন ও আয়ের উচ্চাভিলাষী লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ভূমি ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানের দক্ষতা ও কার্যকারিতা বৃদ্ধি করতে হবে। এজন্য ভূমি ও নগর প্রশাসনে ২০৩১ সাল পর্যন্ত অগ্রাধিকার অব্যাহত রাখার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। বাংলাদেশের প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০২১-২০৪১ অর্থনীতিতে ভূমি ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব আরোপ করেছে মন্ত্রণালয়।

সস্প্রতি রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত এনইসি সম্মেলন কক্ষে রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবে রূপায়ন: বাংলাদেশের প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০২১-২০৪১’ শীর্ষক জন অবহিতকরণ এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে বাংলাদেশের এই দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনাটি ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ এ অনুমোদিত হয়। গতকাল রোববার ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়েছে, দক্ষতার সাথে বাজার পরিচালনার জন্য সহায়ক পরিবেশ তৈরি করতে অনুসরণ করা হবে। কার্যকর ভূমি ব্যবস্থা ও প্রশাসন, ২০১৩-এর সংশোধনীসহ শ্রম আইন ২০১০ এর কার্যকর বাস্তবায়ন, বুদ্ধিভিত্তিক সম্পদ সহ সম্পত্তিতে স্বত্বাধিকার রক্ষা, এবং প্রবেশের সকল বাধা অপসারণ করে উপযুক্ত নিয়ন্ত্রণ ও ভারসাম্য বজায় রেখে মুক্ত বাজার নীতির পরিচালনা নিশ্চিত করে বিপণন নিয়ন্ত্রণমূলক আইন। ভূমি ব্যবস্থাপনায় এসব দিক অন্তর্ভুক্ত করে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে আমূল সংস্কারসাধন থেকে ব্যাপক সুফল মিলবে বলে মনে করছে ভূমি মন্ত্রণালয়।

সভায় বলা হয়েছে, দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়নের জন্য সম্পত্তিতে কার্যকর স্বত্বাধিকারসহ দক্ষ ভূমি বাজার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। জমি, ব্যবসায় ও বুদ্ধিভিত্তিক সম্পদের জন্য সর্বাধিক প্রাসঙ্গিক হলো সম্পত্তিতে স্বাধিকার। সমাজের দ্রুত ও অন্তর্ভূক্তিমূলক উন্নয়ন সর্বদাই শক্তিশালী ও কার্যকর প্রতিষ্ঠান দ্বারা পরিচালিত হয়ে আসছে। এজন্য বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় এ প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বের ওপর প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০৪১-এ জোর দেয়া হয়।

কৃষি ও পল্লী উন্নয়নে অন্যান্য অনেক বিষয়ের সাথে সাথে বেদখলকৃত সরকারি জমি, বিশেষ করে ইতোমধ্যে খাল ও নদীর পাড়ে মাটি ভরাট করে অবৈধ দখলসহ বেহাত হয়ে যাওড়া খাস জমি পুনরুদ্ধার কল্পে কর্মসূচি নেয়ার কথা বলা হয়েছে। এছাড়া কৃষিজমির অনুচিত ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে কঠোর আইন প্রবর্তন করা ও কৃষি জমির রেকর্ড রক্ষণাবেক্ষণে ডিজিটায়নের ব্যবস্থা নেয়ার পরিকল্পনার ব্যাপারেও আলোচনা হয়েছে। এটুআই সার্ভিসের মাধ্যমে নাগরিকদের জন্য ই-মিউটেশন সেবা শুরু করা হয়েছে, যাতে নাগরিকরা সহজে এবং ঝামেলা মুক্তভাবে ভূমি সেবা পেতে পারেন। তার সাথে আইসিটি ব্যবহার করে ভূমি অধিদফতরের কার্যক্রম উন্নত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ এর অন্যতম অংশ ভূমি ব্যবস্থাপনা’কে কার্যকর ও শক্তিশালী করার মাধ্যমে দ্রুত সময়ে অর্থনৈতিক ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার সাংবিধানিক অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করা সম্ভব, যা টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য পূরণের অন্যতম নিয়ামক।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন