যুক্তরাষ্ট্র-চীন উত্তেজনার মধ্যেই পদত্যাগ করছেন চীনে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টেরি ব্র্যানস্টেড। আজ সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এক ঘোষণায় এই রাষ্ট্রদূতের পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। খবর এএফপির।
ব্র্যানস্টেডকে সঠিকভাবে তার দায়িত্ব পালনের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে এক টুইট বার্তায় পম্পেও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে তিনি অবদান রেখেছেন।
বেশ কয়েকটি ইস্যু থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে সর্বশেষ যুক্ত হয়েছে কূটনীতিকদের চলাচলে বিধিনিষেধ। গত ৩রা সেপ্টেম্বর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত বেইজিংয়ের কূটনৈতিক কোরের সদস্যদের চলাচলে এমন বিধিনিষেধ আরোপ করেছে ওয়াশিংটন। এরপরই চীনের ভিতরে মার্কিন সিনিয়র কূটনীতিক ও ব্যক্তিদের চলাচলে অজ্ঞাত বিধিনিষেধ আরোপ করার ঘোষণা করে চীন সরকার।
তবে কেন এই রাষ্ট্রদূত পদত্যাগ করছেন সে বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার করা হয়নি। চীনের পররাষ্ট্র বিষয়ক দফতরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা রাষ্ট্রদূতের পদত্যাগের বিষয়ে পম্পেওর টুইট সম্পর্কে অবগত আছেন। তবে এ বিষয়ে তাদেরকে কোনো নোটিশ দেওয়া হয়নি বলেও দাবি করা হয়েছে।
২০১৭ সালে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে বেইজিংয়ে নিযুক্ত হন টেরি ব্র্যানস্টেড। গত বছরের জুনে তার ওপর সমন জারি করে বেইজিং। সে সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি আইনে স্বাক্ষর করেন। ওই আইনকে কেন্দ্র করেই তার ওপর সমন জারি করা হয়েছিল। সূত্র : সিএনএন
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর যে কয়েকজনকে রাষ্ট্রদূত হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন তার মধ্যে ব্রানস্টাড অন্যতম। ট্রাম্প তখন ব্রানস্টাড সম্পর্কে বলেছিলেন, ব্রানস্টাড তখনকার আইওয়ার গভর্নর। তার পাবলিক পলিসি, বাণিজ্য ও কৃষিভিত্তিক অভিজ্ঞতার জন্য তাকে বেছে নেয়া হয়েছে। বিশেষ করে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে রয়েছে তার দীর্ঘ সময়ের সম্পর্ক। ১৯৮৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র-চীন সরকার বিনিময়ের সময় থেকেই এই দুজনের মধ্যে জানাশোনা আছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন