শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ব্যাটারি রিকশায় সর্বনাশ

ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে বন্ধের ঘোষণা মেয়রের

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:০২ এএম

বহু বছর ধরে নিষিদ্ধ ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক ও রিকশায় ঢাকাসহ সারাদেশই সয়লাব। ঢাকায় এসব চলাচলের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা থাকায় গড়ে উঠেছে চাঁদাবাজ সিন্ডিকেট। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতারা এই সিন্ডিকেটের হোতা। তারা প্রতিদিন কোটি টাকা চাঁদা তুলছে। এই চাঁদার টাকায় অনেকেই বাড়ি-গাড়ির মালিক বনে গেছেন। এই সিন্ডিকেটের বদৌলতে বিদ্যুতের এক শ্রেণির দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা ও পুলিশের পেটেও যাচ্ছে লাখ লাখ টাকা। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বার বার নিষিদ্ধ এসব যান বন্ধ করার কথা বলা হলেও বাস্তবে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। বরং দিন দিন এসব যানের সংখ্যা বাড়ছেই। বাড়ছে দুর্ঘটনা, প্রাণহানি। সাথে পরিবহন সেক্টরের বিশৃঙ্খলাতো আছেই।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, ব্যাটারিচালিত কোন রিকশা, ইজিবাইক, ভ্যান আর সড়কে চলবে না। এগুলো নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ ধরনের রিকশা বা যানবাহন ঢাকা দক্ষিণ সিটির সড়কে পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গত রোববার নগর ভবন প্রাঙ্গণে রিকশা, ভ্যান, ঠেলা গাড়ি, টালি গাড়ি ও ঘোড়ার গাড়ি নিবন্ধন, নবায়ন ও মালিকানা পরিবর্তন কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মেয়র এ কথা বলেন। মেয়রের এ ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন অনেকেই। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের সভাপতি মোহাম্মদ হানিফ খোকন ইনকিলাবকে বলেন, আশা করছি মেয়র মহোদয় কোনো পরাশক্তির কাছে নতি স্বীকার না করে শিগগিরি এ ঘোষণার বাস্তবায়ন করবেন। এতে করে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরে আসার পাশাপাশি সাধারণ মানুষ, শিক্ষার্থী, পথচারি, চালক, শ্রমিক সবাই উপকৃত হবে।

সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সারাদেশে ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইকের সংখ্যা কমপক্ষে ১৭ লাখ। এর মধ্যে ১০ লাখ ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ভ্যান। বাকি ৭ লাখ ইজিবাইক। আর ঢাকায় এই সংখ্যা ১২ লাখের বেশি। এর মধ্যে ১০ লাখ রিকশা বাকি ২ লাখ ইজিবাইক।

২০১৭ সালে যখন আইন করে মহাসড়কে এসব যান চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছিল তখন এই সংখ্যা ছিল এর অর্ধেকেরও কম। আইন করার পর হাইকোর্টও এক আদেশে এসব যান চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করে পুলিশকে কিছু নির্দেশনা দিয়েছিলেন। কিন্তু কোনো নিষেধাজ্ঞাই কার্যকর হয়নি। সিন্ডিকেটের কারণে বরাবরই ভেস্তে গেছে সরকারের উদ্যোগ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন আওতাধীন এলাকায় শুধু ব্যটারিচালিত রিকশার সংখ্যা এক লাখেরও বেশি। ইজিবাইক ৩/৪ হাজার। দক্ষিণের কদমতলী, শ্যামপুর, ডেমরা, যাত্রাবাড়ী, সবুজবাগ, মান্ডা, খিলগাঁও, রামপুরা, ডেমরা এলাকায় ব্যাটারি রিকশা ও ইজিবাইকের সংখ্যা তুলনামূলক বেশি। আর উত্তর সিটিতে মিরপুর, পল্লবী, শাহআলী, উত্তরখান, দক্ষিণখান, তুরাগ, মানিকদী, এলাকায় এসব যানবাহন প্রকাশ্যেই চলাচল করে। এর বাইরে ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-মাওয়া, ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-ময়মনসিংহ, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে চলাচল তো আছেই। টোকেন সংগ্রহের মাধ্যমে এগুলোর বেশিরভাগ মহাসড়কের উল্টো দিকে চলে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, রাজধানীর কদমতলী থানা এলাকাতেই ব্যটারিচালিক রিকশার সংখ্যা ৬ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। দক্ষিণে ইজিবাইক আছে দুই সহস্রাধিক। স্থানীয় সরকারদলীয় প্রভাবশালী নেতা ও থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে চলছে এসব নিষিদ্ধ যান। আলাপকালে ভুক্তভোগিরা জানান, ব্যটারিচালিত যানের ভিড় এতোটাই বেড়েছে যে এখন রাস্তা দিয়ে হাঁটাই যায় না।

দক্ষিণ সিটির শ্যামপুর, কদমতলী ও যাত্রাবাড়ী এলাকায় হাজার হাজার ইজিবাইক ও মোটরচালিক রিকশার পরিচালনার নেপথ্যে রয়েছে স্থানীয় নেতা ও প্রভাবশালীরা। কদমতলী থানা এলাকায় ইজিবাইকের বেশ কয়েকটি রুটের মধ্যে রায়েরবাগ ও মোহাম্মদবাগ রুটে চলাচল করে পাঁচ শতাধিক ইজিবাইক ও ব্যাটারিচালিত রিকশা। রায়েরবাগের এই রুট নিয়ন্ত্রণ করে জাহাঙ্গীর নামে এক ব্যক্তি। এছাড়া বড়ইতলা থেকে বিক্রমপুর প্লাজা, পোস্তগোলা থেকে পাগলা, ধোলাইরপাড় থেকে শনিরআখড়া, জুরাইন মেইন রাস্তা থেকে মুরাদপুর হয়ে কোদারবাজার পর্যন্ত আছে একটি করে রুট। প্রতিটি ইজিবাইক থেকে প্রতিদিন দেড়শ’ টাকা করে চাঁদা তোলা হয়। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের সভাপতি মোহাম্মদ হানিফ খোকন ইনকিলাবকে বলেন, নিষিদ্ধ এসব রিকশা ও ইজিবাইক টোকেন সিস্টেমে রাস্তায় চলাচল করে। প্রতিটি রিকশা বা ইজিবাইকের জন্য মাসে ১২শ’ টাকা করে টোকেন সংগ্রহ করতে হয় চালকদের। প্রভাবশালীরা এই টোকেন বাণিজ্য করছে। তারাই টাকার বিনিময়ে পুলিশকে ম্যানেজ করছে।

জানা গেছে, সহস্রাধিক ইজিবাইক ও ব্যাটারিচালিত রিকশার ব্যাটারির চার্জ দেয়ার জন্য ঢাকা দক্ষিণের মুরাদপুর এলাকাতেই আছে কয়েকটি গ্যারেজ। যেগুলোতে অবৈধ বিদ্যুতের সংযোগ নেয়া আছে বিদ্যুত বিভাগের স্থানীয় প্রকৌশলীকে ম্যানেজ করে। ভুক্তভোগিরা ঘন ঘন লোড শেডিংয়ের জন্য এসব নিষিদ্ধ যানকে দায়ি করে জানান, এগুলোর বেশিরভাগই অবৈধ সংযোগ থেকে চার্জ দেয়া হয়। স্থানীয়রা জানান, এই এলাকায় বিদ্যুত চুরির নেপথ্যে নাসির ও তার সিন্ডিকেটের লোকজন। ব্যাটারিচালিত রিকশা তৈরী করা হয় পাটেরবাগ, দনিয়া, রায়েরবাগ, ডেমরা, কাজলা, ভাঙ্গাপ্রেসসহ বিভিন্ন এলাকায়। দনিয়া এলাকায় চলাচলকারি ৫ শতাধিক ইজিবাইক ও রিকশার চাঁদা তোলে মরণ নামে একজন। প্রভাবশালীদের হয়ে সে চাঁদার টাকা তোলে। সেখান থেকে মোটা অঙ্ক যায় থানায়।

অন্যদিকে, নগরীর মিরপুর ১০ নং গোলচক্কর থেকে ইজিবাইক,প্রাইভেট সিএনজি ও চ্যাম্পিয়ন নামের কিছু বাস চলাচল করে। ১৫০ টাকা থেকে শুরু করে প্রতিদিন ৪০০ টাকা হারে চাঁদা দিয়ে চলছে এসব অবৈধ যানবাহন। স্থানীয় যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতারা এসব অবৈধ যান থেকে চাঁদা তোলে। স্থানীয়রা জানান, এই এলাকায় ৫শতাধিক যান চলাচল করে। এর মধ্যে কিছু চলে ১০ নং গোলচক্কর থেকে মিরপুর ১৪ হয়ে ভাষানটেক এবং কিছু মিরপুর ১৪ হয়ে কচুক্ষেত পর্যন্ত চলাচল করে। এ ছাড়া শতাধিক প্রাইভেট সিএনজি ও চ্যাম্পিয়ন বাস রুট পারমিট ও চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়াই চলাচল করে। মিরপুর ১১ নং সেকশনের পল্লবী মিডটাউন শপিং মলের সামনে থেকে রূপনগর আবাসিক এলাকা পর্যন্ত চলাচল করে প্রায় দুশ’ ইজিবাইক। এগুলো নিয়ন্ত্রণ করেন স্থানীয় সরকারদলীয় কয়েকজন নেতা। মিরপুর ১ নম্বর থেকে আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় চলে দুই শতাধিক ইজিবাইক। এগুলো নিয়ন্ত্রণ করেন স্থানীয় শ্রমিক লীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন। তার নিয়োগকৃত লাইনম্যানরা প্রত্যেক ইজিবাইক থেকে টাকা আদায় করে। আর রিকশা চলে ৫ হাজারেরও বেশি। এগুলোর জন্য মাসে ১২শ টাকা করে টোকেন নিতে হয় বলে চালকরা জানিয়েছেন।

ঢাকা বিমানবন্দর রেলস্টেশনের পাশে আশকোনা এলাকায় কয়েকশ’ ইজিবাইক চলাচল করছে। স্থানীয়দের মতে, এখানে ইজিবাইকের সংখ্যা ৭ শতাধিক ছাড়িয়ে গেছে। বিমানবন্দর রেল ক্রসিং থেকে আশকোনা হয়ে বউড়া ও হলান পর্যন্ত চলাচল করে আড়াইশ ইজিবাইক। বিমানবন্দর রেল ক্রসিং থেকে দক্ষিণখান ও কাঁচকুড়া পর্যন্ত চলাচল করে প্রায় সাড়ে ৪শ’। এই এলাকায় ইজিবাইক চালানোর জন্য প্রতিদিন ১৫০ টাকা চাঁদা দিতে হয়। রিকশার জন্য চাঁদার হার ৬০ টাকা। স্থানীয়রা জানান, নিষিদ্ধ এ যানগুলো মাঝে মধ্যেই উত্তরার প্রধান সড়কে উঠে যায়। পুলিশকে টাকা দিয়ে চলাচল করে বলে এরা প্রধান সড়কে উঠতেও দ্বিধা করে না। চালকরা জানান, এই এলাকায় ইজিবাইক নামানোর সময় ১৫শ’ টাকা করে দিতে হয়। রামপুরা টিভি সেন্টারের কাছ থেকে বনশ্রী হয়ে সিপাহীবাগ চলাচল করে দুই শতাধিক ইজিবাইক। এ ছাড়া বেশ কিছু লেগুনা চলাচল করে। যেগুলোর কোনো বৈধ কাগজপত্র নেই এবং সেগুলোর ফিটনেসও নেই। লেগুনাগুলো রামপুরা টিভি সেন্টারের কাছ থেকে বনশ্রী হয়ে মাদারটেক প্রজেক্টের মুখ পর্যন্ত যায়। একজন ইজিবাইক চালক জানান, বাইক চলাচলের জন্য তারা প্রতিদিন ১৫০ টাকা করে দেন। এ টাকা নেয় সিপাহীবাগের এক নেতা। এ ছাড়া তারা মাসে ২০০ টাকা করে ট্রাফিক পুলিশকে দিতে হয়। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের একজন কর্মকর্তা জানান, নিষিদ্ধ যান চলাচল বন্ধে শিগগিরি অভিযান শুরু হবে। এ ব্যাপারে মেয়র কাউকে ছাড় দিবেন না।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (21)
Rofikul Hossain ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:৪৫ এএম says : 0
এটি অবান্তর সিদ্ধান্ত। যখন ব্যাটারি চালিত রিক্সা উৎপাদন করা হল তখন সিটিকর্পেরশন কোথায় ছিলো? রাস্তা ঠিক নেই, ড্রেনেজ ব্যাবস্থা ঠিক নাই,পরিচ্ছন্নতা নেই,,যত অত্যাচার খেটেখাওয়া রিক্সা চালকদের উপর। এসব ফাজলামি বন্ধ হওয়া উচিত।
Total Reply(0)
Kuddus Ul Alam ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:৪৫ এএম says : 0
পলিথিনের মতো বিষয়। কারখানা বন্ধ না করে খুচরা দোকানে জরিমানা। এই অটোগাড়ীগুলো শহরে ছোট-বড় শোরুমে সবার সামনে বিক্রি হচ্ছে সেই শোরুমগুলোকে জরিমানা বা সিলগালা করে দেয়া উচিৎ। তাহলে তো কেউ কিনতে পারবে না। আরেক কথা এই গাড়ীগুলো যারা চালায় তারা নিয়মিত ৯৫% লোক বিদ্যুৎ বিল দেয়। বড় বড় আমলারা কোটি কোটি টাকার গ্যাস বিল, বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রেখে এই সব টকশোতে এসে দেশের উন্বয়নের প্যাচাল পারে। খোজ নিয়ে দেখেইন এরা কারো কাছে হাত পাতে না। গায়ে খেটে সংসার চালায়
Total Reply(0)
Md. Alauddin ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:৪৬ এএম says : 0
আমাদের দেশটা চলছে, একে অপরের উপর ভরকরে এবং দোষ চাপায়ে, কিন্তু বলা যাবেনা যে মহা দায়ীত্ব যার উপর বর্তায় তিনাকে বলা যাবেনা যে অন অভিজ্ঞ। উদাহরন সরূপ! অটো রিক্সা ১/২ করে যখন শুরূ হয়েছে তখন মনে হয় সকলেই ঘুমন্ত ছিল, যখন ব্যপক শুরূ হয়ে গেছে তখন বৈঠক সেমিনা তদান্ত কমিটি বহু কছু, তারপরও পতিরোধ হতে চায়না, পুলিশ ভলেন্টিয়ার আন্চার ইত্যাদি শুরূ হয়ে যায় !!!!!
Total Reply(0)
Rokonuzzaman Sozol ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:৪৬ এএম says : 0
আগে আমাদের উচিত যেন ব্যাটারীচালিত ভ্যান না বানাতে পারে
Total Reply(0)
Roman Mia ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:৪৭ এএম says : 0
এই অটো রিক্সা কিজে বিপদজনক তা আমি বুঝেচ্ছি। কিছু দিন আমি বাইক নিয়ে যাচ্ছিলাম একটা অটো রিক্সা অলটা দিক দিয়ে আসচ্ছিলো এতো স্পীডে এসে রাস্তা পারতে চায় সে বাইকের চেয়ে আগে যাতে চাই আমি ব্রেক করার পরেও বাইকের সামনে এসে লাগিয়ে দেয় রিক্সা টা। এতে আমরা হাতে কেটে যায়। এই অটো রিক্সা খুব বিপদজনক। সিদ্ধান্তটা খুবি সুন্দর। তবে কাযকর করতে হবে।
Total Reply(0)
Md. Abdullah Al Mamun ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:৪৭ এএম says : 1
সারাদেশে বন্ধ করা উচিত!!এরাই দূর্ঘটনার প্রধান কারণ! স্পীড কম! সাথে আবার অদক্ষ চালক! কিছু অভাবগ্রস্থ পুলিশ আর স্থানীয় পাতি নেতাদের কারণে এসব বন্ধ হচ্ছেনা!
Total Reply(0)
Nill Biplob ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:৪৭ এএম says : 2
দেশের এই খারাপ সময়ে এই সিদ্ধান্ত ভুল অনেকের চাকুরী চলে গেছে এই অটো চালিয়ে খাচ্ছে। কাজের ব্যাবস্থা না করে এটা করা উচিত হবেনা।
Total Reply(0)
Amrita Roy ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:৪৭ এএম says : 0
আমার মনে হয় আমাদের দেশে যদি চার লেনের রাস্তা হয় তবেই এর সুষ্ঠু সমাধান হবে।
Total Reply(0)
দূর আকাশের তারা ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:৪৮ এএম says : 0
আগে এই অটোরিকশা চালকের কর্ম সংস্থানের ব্যবস্থা করেন, তারপর অটোরিকশা বন্ধ করবেন। গরীবের পেটে লাথি মারার নতুন কৌশল খুজতে লেগেছেন সবাই।
Total Reply(0)
Md Sadikul Bari ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:৪৮ এএম says : 0
সারাদেশে বন্ধ করা হোক।।
Total Reply(0)
Ali Ulla ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:৪৯ এএম says : 0
মানুষের কর্মসংস্থান বন্ধ করে ক্ষতি ছাড়া লাভ হবে না!
Total Reply(0)
মোঃ আব্দুল কুদ্দুছ ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৭:৩৭ এএম says : 0
বন্ধ করলে সকলেই খুশি হবে দেশ উপকৃত হবে হাজারো মানুষের জান বেঁচে যাবে গত পরশু ধোলাইখালে ড্রাইভার এবং প্যাসেঞ্জার উভয় বাস চাপায় মারা যায়। অথচ বাস ওয়ালার কোন অপরাধ ছিলনা স্থানীয়রা সকলেই দেখেছে। অতএব দেশ বাচান মানুষ বাচান।
Total Reply(0)
Mohammed Shah Alam Khan ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৮:৫৫ এএম says : 0
আমি সাধারণত মেয়র তাপসের উপর লিখা সংবাদ পড়ে মন্তব্য করে থাকি। আমার খুবই ভাল লাগে তাঁর উদ্যোগ কিন্তু গতকাল এই ইজিবাইক বা মটর চালিত রিকশা তুলে দেয়ার সংবাদ পড়ে মনটা খারাপ হয়েছিল কোন মন্তব্য করিনি। আজ আবার একই বিষয়ে সংবাদ পড়ছি, এখানে পরিষ্কার লিখা আছে এই কাজ করে কয়েক লক্ষ লোক তাদের জীবিকা নির্বাহ করছে। এখন এদের যানবাহনকে বন্ধ করে দিলে এসব গরীব খেটে খাওয়া লোকজন বেকার হয়ে যাবে। এরপর এরা শুরু করবে নানা অন্যায় কাজ কর্ম ফলে দেশে সন্ত্রাস ও দুর্নীতি বৃদ্ধি পাবে। সেজন্যে মেয়র তাপশকে প্রথমেই বিকল্প কিছু চিন্তা করে এদের উচ্ছেদ করার দিকে নজর দেয়া উচিৎ ছিল। এখনও কোন ক্ষতি সাধান হয়নি কাজেই সরাসরি এদেরকে বন্ধ না করে এদের উৎস গুলো বন্ধ করা দরকার। যেমন ইজিবাইক উৎপাদনকারি কারখানা গুলো চিহ্নিত করে সেগুলো বন্ধ করা দরকার। এরপর যারা বিদ্যুৎ চুরি করছে তাদেরকে প্রতিহত করতে হবে। এরপর এসব গাড়ী মেরামত কারখানা গুলোকেও চিহ্নিত করে বন্ধ করে দিতে হবে তাহলে একবার নষ্ট হলে আর সারাতে না পেরে এমনিতেই বন্ধ হয়ে যাবে। এভাবে ইজিবাইক বা মটর চালিত রিকশা চালকদেরকে এসব যানবাহন চালাতে নিরুৎসাহিত করতে হবে। তাহলে এরা অন্য পেশার দিকে আস্তে আস্তে চলে যাবে এবং এই যানবাহন চিরতরে বন্ধ হয়ে যাবে।
Total Reply(0)
আব্দুল হক ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:২১ পিএম says : 0
এইটা একটা বহুমুখি সমস্যা। জিবন জিবিকার বিকল্প ব্যাবস্থা করা। সে সব রাস্তায় বিকলল্প গাড়ি দেয়া । উদাহরণ হাজিক্যাম্প থেকে হলান,বরুরা,দক্কিনখান,কাচকুরা ব্যাটারিচালিত রিস্কা ছারা অন্য গাড়ি নেই, রাস্তা সরু। লক্কাদিক মানুষ আসবে কি করে। বিকল্প গাড়ি নেই। সুতরাং রিস্কাগুলুকে নাম্বার প্লেট দিয়ে নিদ্রিস্ট রাস্তা পরজন্ত অনুমতি দেয়া জেতে পারে।
Total Reply(0)
dilip sarker ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৬:৪৬ পিএম says : 0
NO comments no change in Bangladesh,only earn money .....sodhu taka... taka kamao abhoido vabey , kosto lagey ainer manus golo akhon vokkok ? bodlatey hobey maushikota ........na holey porer projonmo gala gali korbey .
Total Reply(0)
Monir ৩০ অক্টোবর, ২০২০, ৪:০৩ এএম says : 0
আমার কোন ঘর বারই নাই সারা জন্ম মারা থাকি কিস্তিতে 30হাজার রিক্সা কিনলাম অনেক পরিশ্রম কিস্তি সুর করলাম বেটার মটর লাইগালাম কিস্তি নিলাম 40হাজার আমার প্রশ্ন ???? হল আমি কি সরকারকে ভেট দেই নাই ওনি এসব ভেট ছারা বাংলাদেশে ঢোকাইতে দিছে তাহলে আমাদের পেটে লাথি মারতাছন কেন এখন আমি কোথায় যাব চুরি করব না ছিনতাই আমি 5পরজনত লেখাপরা করছি আগে দেন তা নাহলে আমার সংসারে অশান্তি একবারে সব মাইরা ফালান
Total Reply(0)
Monir ৩০ অক্টোবর, ২০২০, ৪:০৭ এএম says : 0
আমার কোন ঘর বারই নাই সারা জন্ম মারা থাকি কিস্তিতে 30হাজার রিক্সা কিনলাম অনেক পরিশ্রম কিস্তি সুর করলাম বেটার মটর লাইগালাম কিস্তি নিলাম 40হাজার আমার প্রশ্ন ???? হল আমি কি সরকারকে ভেট দেই নাই ওনি এসব ভেট ছারা বাংলাদেশে ঢোকাইতে দিছে তাহলে আমাদের পেটে লাথি মারতাছন কেন এখন আমি কোথায় যাব চুরি করব না ছিনতাই আমি 5পরজনত লেখাপরা করছি আগে দেন তা নাহলে আমার সংসারে অশান্তি একবারে সব মাইরা ফালান
Total Reply(0)
Monir ৩০ অক্টোবর, ২০২০, ৪:০৭ এএম says : 0
আমার কোন ঘর বারই নাই সারা জন্ম মারা থাকি কিস্তিতে 30হাজার রিক্সা কিনলাম অনেক পরিশ্রম কিস্তি সুর করলাম বেটার মটর লাইগালাম কিস্তি নিলাম 40হাজার আমার প্রশ্ন ???? হল আমি কি সরকারকে ভেট দেই নাই ওনি এসব ভেট ছারা বাংলাদেশে ঢোকাইতে দিছে তাহলে আমাদের পেটে লাথি মারতাছন কেন এখন আমি কোথায় যাব চুরি করব না ছিনতাই আমি 5পরজনত লেখাপরা করছি আগে দেন তা নাহলে আমার সংসারে অশান্তি একবারে সব মাইরা ফালান
Total Reply(0)
Zahangir Alam ১১ নভেম্বর, ২০২০, ২:২৩ পিএম says : 0
মিষ্টার সাংবাদিক সাহেব খুব তো হিসাব করেই লিখেছেন? একবার ও লিখলেন না কেন এগুলো হু হু করে বাড়লো? আমরা সাধারন মানুষ কি করে পেট চালাবো একবার ও লিখলেন না। মেয়র সাহেব সরকারী টাকায় গাড়ী বাড়ি করে, ঘুষ নিয়ে সেই বড় লোকদের ই চাকরী দেয়? কোথায় পাব ঘুষ? আপনি একবার ও লিখলেন না। নিশ্চয়ই আপনার চোখে রিক্সা চালানো টাকা অবৈধ? একবার ও লিখলেন না রিক্সা চালিয়ে কতগুলো পরিবার জীবন যাপন করে? এরা কি করে খাবে? মেয়রকে প্রশ্ন করেছিলেন? শুধু সরকারের সাফাই গেয়ে গরীবের পেটে লাথী মারবেন না। মনে রাখবেন, আমাদের শুধু মাত্র আল্লাহর উপর ভরসা।
Total Reply(0)
Zahangir Alam ১১ নভেম্বর, ২০২০, ২:২৫ পিএম says : 0
মিষ্টার সাংবাদিক সাহেব খুব তো হিসাব করেই লিখেছেন? একবার ও লিখলেন না কেন এগুলো হু হু করে বাড়লো? আমরা সাধারন মানুষ কি করে পেট চালাবো একবার ও লিখলেন না। মেয়র সাহেব সরকারী টাকায় গাড়ী বাড়ি করে, ঘুষ নিয়ে সেই বড় লোকদের ই চাকরী দেয়? কোথায় পাব ঘুষ? আপনি একবার ও লিখলেন না। নিশ্চয়ই আপনার চোখে রিক্সা চালানো টাকা অবৈধ? একবার ও লিখলেন না রিক্সা চালিয়ে কতগুলো পরিবার জীবন যাপন করে? এরা কি করে খাবে? মেয়রকে প্রশ্ন করেছিলেন? শুধু সরকারের সাফাই গেয়ে গরীবের পেটে লাথী মারবেন না। মনে রাখবেন, আমাদের শুধু মাত্র আল্লাহর উপর ভরসা।
Total Reply(0)
হাবিব ১৩ ডিসেম্বর, ২০২০, ১:০৯ এএম says : 0
সাংবাদিক সাহেব আপনার লেখায় কিছু মিথ্যা কথা আছে! যেমন ইজিবাইক গাড়ী গুলো অবৈধ নেয়। সরকারকে শুল্ক দিয়ে আমদানী করা হয়। বিদুৎ অবৈধ নেয়। ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক গাড়ী পরিচয়ে বিদুৎ সংয়েগ দেয়া হয়েছে। আপনি চাঁদা বাজী বন্ধ করার কথা না বলে গরিবের পেটে লাথি মারতে চান?
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন