বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রবাস জীবন

নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত ডা. রুহুল আবিদ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:০০ পিএম

যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস বিশ্ববিদ্যালয়-এর প্রস্তাবে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন বাংলাদেশি আমেরিকান চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. রুহুল আবিদ ও তার অলাভজনক সংস্থা হেলথ অ্যান্ড অ্যাডুকেশন ফর অল (এইচএইএফএ)। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ব্রাউন ইউনিভার্সিটি আলপার্ট মেডিকেল স্কুলের একজন অধ্যাপক।

ম্যাসাচুসেটস বিশ্ববিদ্যালয় (ইউমাস)-এর নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জিন- ফিলিপ বেলিউয়ের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো এ খবর প্রকাশ করেছে।

খবরে বলা হয়, ২০২০ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য ২১১ জন ব্যক্তিকে মনোনীত করা হয়েছে। ডা. আবিদ তাদের মদ্যে একজন। তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে স্নাতক এবং জাপানের নাগোয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মলিকুলার বায়োলজি এবং জৈব রসায়নে পিএইচডি অর্জন করেছেন। পরে ২০০১ সালে হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুল থেকে ফেলোশিপ করেন। তিনি ব্রাউন গ্লোবাল হেলথ ইনিশিয়েটিভের একজন নির্বাহী অনুষদও।

হেলথ অ্যান্ড অ্যাডুকেশন ফর অল বাংলাদেশের সুবিধাবঞ্চিতদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা সরবরাহে নিযুক্ত হন ডা. আবিদ। গত তিন বছরে বাংলাদেশে প্রায় ৩০ হাজার পোশাক শ্রমিককে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দিয়েছে সংস্থাটি। প্রায় ৯ হাজার সুবিধাবঞ্চিত নারী ও পোশাক শ্রমিককে করা হয়েছে জরায়ু ক্যানসার স্ক্রিনিং।

এ ছাড়া কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের দেড় হাজারেরও বেশি মানুষকে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা দিয়েছে। এর আগে ২০১৩ সালে সাভারে রানা প্লাজা ধসের পর ড. আবিদ সারাদেশে তৈরি পোশাক শ্রমিকদের স্বাস্থ্যসেবা দিতে এইচএইএফএ প্রতিষ্ঠা করেন। সে সময় হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের ডা. রোজমেরি দুদার সঙ্গে তিনি বাংলাদেশের গার্মেন্টস কারখানাগুলোতে শ্রমিকদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা দেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
ম নাছিরউদ্দীন শাহ ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ২:১৫ পিএম says : 0
নোবেল শান্তি পুরুস্কারের জন্যে মনোনীতদের মাঝে ডাক্তার রুহুল আবিদ কে অভিনন্দন। আমাদের প্রধান মন্ত্রীর অশান্তির পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তির শহর বানিয়েছিলেন রক্তাক্ত যুদ্ধের মযদানের মত লাশের নগরী শান্তির শহর পার্বত্য চট্টগ্রাম বানিয়েছিলেন। বিশালাকার শান্তি পক্ষের শান্তির নগরী বানিয়ে শান্তির পায়রা উড়িয়ে বিশ্বের মাঝে শান্তির নজির স্থাপনকারী বাংলাদেশের প্রধান মন্ত্রীর শান্তির পক্ষে নোবেলজয়ী হওয়া উচিত ছিল আবারও সমগ‍্য বিশ্বের মানুষের সামনে আন্তর্জাতিক বিশ্ব সম্প্রদায়ের আদেশ নিষেধ উপেক্ষা করে বার্মার সামরিকতন্ত্রী সামরিক জান্তা। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর উপর ভয়ংকর গনহত‍্যা নির্মম নিষ্টুর জঘন্যতম বর্বরতা অত‍্যাচারে বিশ্ব বিবেক কেদেছিল। দিশেহারা রক্তাক্ত ক্ষত বিক্ষত আশ্রয়হীন মানুষের লক্ষ লক্ষ কাফেলার শারীবদ্ধ স্রোতের ঢেউ বাংলাদেশে নারী শিশু বৃদ্ধ যুবকের কান্না আকাশ বাতাস ভারী হয়ে গিয়েছিল। হাজার হাজার মানুষের নির্মম গনহত‍্যার স্বীকার। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অনুরোধ বাংলাদেশের মাঠিতে আশ্রয় দেওয়ার। বাংলাদেশ সহ বিশ্বের মানুষের পক্ষে মানবতার মহান আদশ‍্য দ্বারণ করে। বাংলাদেশের প্রধান মন্ত্রী বলেছিলেন। যদি প্রয়োজন হয় একবেলা খাবো। এই আশ্রয়হীন মানুষের আশ্রয় দিয়ে লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন বানানোর জন্যে। শান্তির পক্ষে নজির বিহীন দৃষ্টান্ত স্থাপনসহ এখনো বাংলাদেশের মাঠিতে আশ্রমকেন্দ্রিক হওয়াই। শতভাগ শতভাগ বিশ্বের বিবেক সম্পন‍্য মানুষের পক্ষে বলা লিখা উচিত। কারো নামের তালিকাভুক্তির আগে মানবতার মা মাননীয় প্রধান মন্তী শেখ হাসিনার নাম নোবেল শান্তি পুরুস্কারের জন্যে মনোনীত করা উচিত। বাংলাদেশের সমস্ত প্রিন্ট মিডিয়া ইলেকট্রনিক মিডিয়া আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বিশ্ব মিডিয়াই দাবী করুন। আমি ক্ষুদ্র মানুষের পক্ষে আন্তর্জাতিক বিশ্ব মিডিয়াই বিশ্ব বিবেকের কাছে নরওয়ে নোবেল কমিটির কাছে জানানো সম্ভব নয়। সম্মিলিতভাবে বলুন। আশাবাদী বাংলাদেশ সম্মানিত হবেই। মাননীয় প্রধান মন্তী নোবেলজয়ী হবেন একদিন। ইনশাআল্লাহ। ইনশাআল্লাহ।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন